‘কূপমণ্ডূক’ বাগধারাটি দ্বারা কী বোঝায়?
A
বিশ্বাসপ্রবণ
B
সীমিত জ্ঞানের মানুষ
C
সাধারণ মানুষ
D
অলস
উত্তরের বিবরণ
‘কূপমণ্ডূক’ বাগধারাটি দ্বারা বোঝায় সীমিত জ্ঞানের মানুষ।
-
অর্থ: এটি এমন ব্যক্তিকে নির্দেশ করে যার জ্ঞান বা দৃষ্টিভঙ্গি সীমিত, বাইরের দুনিয়ার ব্যাপারে অবগত নয়।
-
মূল কারণ: প্রবাদটি কূপের মধ্যে থাকা ব্যাঙ বা মণ্ডূকের উদাহরণ থেকে এসেছে, যা কূপের বাইরে কোনো দৃশ্য বা বাস্তবতা জানে না।
-
ভুল বিকল্প বিশ্লেষণ:
-
‘বিশ্বাসপ্রবণ’ অর্থগতভাবে সঙ্গত নয়।
-
‘সাধারণ মানুষ’ অনেক ক্ষেত্রেই জ্ঞানের সীমা নেই, তাই প্রবাদটি সঠিকভাবে প্রকাশ করে না।
-
‘অলস’ মানে কাজকর্মে অনাগ্রহী, যা ‘কূপমণ্ডূক’-এর সঙ্গে সম্পর্কিত নয়।
-
-
ব্যবহার: সাহিত্য, রচনা বা কথ্য ভাষায় সীমিত জ্ঞানের মানুষকে সমালোচনার অর্থে বোঝাতে ব্যবহৃত হয়।
-
উদাহরণ: “সে কূপমণ্ডূক; নিজের সীমিত অভিজ্ঞতার বাইরে কিছু বোঝে না।”
0
Updated: 13 hours ago
'গাছপাথর' বাগধারাটির অর্থ-
Created: 2 months ago
A
ভূমিকা করা
B
হিসাব-নিকাশ
C
অসম্ভব বস্তু
D
বাড়াবাড়ি করা
'গাছপাথর' বাগ্ধারাটির অর্থ হচ্ছে - হিসাব নিকাশ।
বাক্য গঠন: আমরা সেকেলে, আমাদের বয়সের কি কোনো গাছপাথর আছে!
এরূপ কিছু গুরুত্বপূর্ণ বাগ্ধারা হলো:
• 'কাঠালের আমসত্ব' অর্থ - অসম্ভব বস্তু।
• 'গৌরচন্দ্রিকা' অর্থ - ভূমিকা।
• ‘ব্যাঙের সর্দি’ অর্থ - অসম্ভব ব্যাপার।
• 'কুমিরের সন্নিপাত' অর্থ - অসম্ভব ব্যাপার।
উৎস: বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা, ড. সৌমিত্র শেখর এবং ভাষা-শিক্ষা, ড. হায়াৎ মামুদ।
0
Updated: 2 months ago
‘হাড় হাভাতে’-বাগধারাটির অর্থ কোনটি?
Created: 3 days ago
A
হতভাগ্য
B
ক্ষুধার্ত
C
রোগা
D
দরিদ্র
হতভাগ্য – ‘হাড় হাভাতে’-বাগধারার অর্থ।
-
‘হাড় হাভাতে’ হলো বাংলা প্রবাদ-বাগধারার একটি রূপক, যা ব্যক্তির দুর্ভাগ্য বা বিপদকে প্রকাশ করে।
-
এটি সাধারণত এমন পরিস্থিতিতে ব্যবহৃত হয়, যেখানে কোনো ব্যক্তি বা পরিবার বড় সমস্যা বা কষ্টের মুখোমুখি হয়।
-
ব্যাকরণগতভাবে এটি দুইটি অংশ থেকে গঠিত: ‘হাড়’ (কাঠিন্য, দুর্ভোগ) এবং ‘হাভা’ (অসুবিধা বা শ্রীহীনতা)।
-
দৈনন্দিন কথ্য ভাষায় এটি প্রায়শই হতাশা, দুর্ভাগ্য বা ক্ষতির প্রেক্ষাপটে ব্যবহৃত হয়।
-
অন্যান্য বিকল্প যেমন ‘ক্ষুধার্ত’, ‘রোগা’, বা ‘দরিদ্র’ এর সঙ্গে সরাসরি সম্পর্ক নেই।
0
Updated: 3 days ago
উড়নচন্ডী (বাগধারা) এর অর্থ কী?
Created: 1 week ago
A
সাহসী
B
অমিতব্যয়ী
C
নির্ভীক
D
উদার
'উড়নচন্ডী' একটি বাংলা বাগধারা বা প্রতীকী শব্দ, যার অর্থ হলো—অমিতব্যয়ী বা অর্থে অবিচল। এটি এমন একজন ব্যক্তিকে বোঝাতে ব্যবহৃত হয়, যে তার আয়ের সীমা ছাড়িয়ে বা প্রচুর পরিমাণে অর্থ খরচ করে, কোনো সীমাবদ্ধতা ছাড়াই। বাগধারাটি সাধারণত এমন মানুষের জন্য ব্যবহৃত হয় যারা ব্যয়ের ক্ষেত্রে খুব কমই সতর্ক থাকে বা যাদের মধ্যে প্রয়োজনের অতিরিক্ত খরচের প্রবণতা থাকে।
এটি বাংলা সাহিত্যে বা কথ্য ভাষায় সাধারণত এমন একজনের বর্ণনায় ব্যবহার হয়, যিনি অপরিকল্পিতভাবে বা বাহুল্যভাবে অর্থব্যয় করেন, কিন্তু এই শব্দটি সবসময় নেতিবাচক অর্থে ব্যবহৃত হয় না। কখনো কখনো এটি কোনো ব্যক্তির দুর্দান্ত জীবনযাত্রার গুণের কথাও বলতে পারে, তবে সাধারণত এর উদ্দেশ্য হলো এই ধরনের অপরিকল্পিত খরচের প্রতি একটি সমালোচনামূলক দৃষ্টিভঙ্গি প্রদর্শন করা।
এই বাগধারা দিয়ে বুঝানো হয়, কেউ যদি নির্দিষ্ট পরিকল্পনা বা হিসাব-নিকাশ ছাড়াই অর্থ খরচ করে, তাহলে তাকে উড়নচন্ডী হিসেবে অভিহিত করা হয়। অর্থাৎ, উড়নচন্ডী এমন একজন ব্যক্তি, যিনি তার খরচের প্রতি কোনো ধরনের নিয়ন্ত্রণ রাখতে পারেন না।
মূল তথ্য:
-
‘উড়নচন্ডী’ শব্দের অর্থ—অমিতব্যয়ী বা অপরিকল্পিতভাবে খরচকারী।
-
এর ব্যবহার সাধারণত মানুষকে নির্দেশ করার জন্য হয়, যারা ব্যয়ের ক্ষেত্রে সীমাহীন বা অত্যধিক।
-
কখনো কখনো এটি সামাজিক বা চরিত্রগত বিশ্লেষণ করতে ব্যবহৃত হয়।
0
Updated: 1 week ago