ব্যাকরণের কোন অংশে কারক সম্বন্ধে আলোচনা করা হয়?
A
ধ্বনিতত্ত্বে
B
অর্থতত্ত্বে
C
বাক্যতত্ত্বে
D
রূপতত্ত্বে
উত্তরের বিবরণ
কারক সম্বন্ধে আলোচনা করা হয় বাক্যতত্ত্বে।
-
অর্থ: ব্যাকরণে ‘কারক’ হলো সেই উপাদান যা ক্রিয়ার সঙ্গে সম্পর্কিত এবং কাক্সক্ষত্র বা কার্য সম্পর্ক নির্দেশ করে।
-
বিষয়বস্তু: বাক্যতত্ত্বে মূলত শব্দ ও পদগুলোর বাক্যে অবস্থান, সংযোগ এবং অর্থের দিক বিশ্লেষণ করা হয়।
-
কারকের ধরন: বাংলায় ছয় ধরনের কারক রয়েছে—কর্তৃকারক, কর্মকারক, সম্প্রদানকারক, অধিকারকারক, আপাদানকারক ও সম্পর্ককারক।
-
ভুল বিকল্প বিশ্লেষণ:
-
ধ্বনিতত্ত্বে ধ্বনি ও উচ্চারণ সম্পর্কিত আলোচনা হয়।
-
অর্থতত্ত্বে শব্দ বা বাক্যের অর্থ বিশ্লেষণ হয়।
-
রূপতত্ত্বে শব্দের প্রকার, পদবিন্যাস ও উৎপত্তি আলোচিত হয়।
-
-
ব্যবহার: বাক্যতত্ত্বে কারক বোঝার মাধ্যমে সঠিক বাক্যগঠন, অর্থ প্রকাশ এবং সাহিত্য বা রচনার শুদ্ধতা নিশ্চিত করা যায়।
0
Updated: 13 hours ago
খিলিপান (এর ভিতরে) দিয়ে ওষুধ খাবে- কোন কারক?
Created: 1 month ago
A
করণ কারক
B
অপাদান কারক
C
অধিকরণ কারক
D
কর্মকারক
অধিকরণ কারক: ক্রিয়া সম্পাদনের কাল এবং আধারকে (সময় এবং স্থানকে) অধিকরণ কারক বলে। অর্থাৎ ক্রিয়া সম্পাদনের কাল এবং আধারকে বলা হয় অধিকরণ কারক।
বাক্যের ক্রিয়াপদকে কোথায়, কখন ও কোন বিষয় বোঝাতে অধিকরণ কারক হয়। খিলিপান (এর ভিতরে) দিয়ে ওষুধ খাবে- এখানে ক্রিয়া সম্পাদনের স্থান বা আধারকে বোঝাচ্ছে। এবং দ্বারা, দিয়া, কর্তৃক, হচ্ছে তৃতীয়া বিভক্তি।
তাই, খিলিপান (এর ভিতরে) দিয়ে ওষুধ খাবে- অধিকরণ কারকে তৃতীয়া বিভক্তির উদাহরণ। অধিকরণ কারকে বিভক্তির প্রয়োগ: ক. প্রথমা বা শূন্য বিভক্তি: আমি ঢাকা যাব। বাবা বাড়ি নেই। সারারাত বৃষ্টি ছিলো। খ. তৃতীয়া বিভক্তি: খিলিপান (এর ভিতরে) দিয়ে ঔষধ খাবে। গ. পঞ্চমী বিভক্তি: বাড়ি থেকে নদী দেখা যায়। ঘ. সপ্তমী বা তে বিভক্তি: এ বাড়িতে কেউ নেই।
0
Updated: 1 month ago
‘মাঠে ধান ফলেছে’- বাক্যে ‘মাঠে’ কোন কারক?
Created: 15 hours ago
A
ভাবাধিকরণ
B
বিষয়াধিকরণ
C
কালাধিকরণ
D
স্থানাধিকরণ
‘মাঠে ধান ফলেছে’ বাক্যে ‘মাঠে’ হলো স্থানাধিকরণ।
স্থানাধিকরণ কারক বোঝায় যে কোনো ক্রিয়ার স্থান বা অবস্থান নির্দেশ করে।
-
উদাহরণ: “শিশুরা উদ্যানেতে খেলছে”—এখানে ‘উদ্যানেতে’ ক্রিয়ার অবস্থান বা স্থান নির্দেশ করছে।
-
অন্যান্য কারক:
-
ভাবাধিকরণ: ক্রিয়ার ভাব বা কারণে নির্দেশ;
-
বিষয়াধিকরণ: ক্রিয়ার বিষয় নির্দেশ করে;
-
কালাধিকরণ: ক্রিয়ার সময় নির্দেশ করে।
-
-
বাংলা ব্যাকরণে স্থানাধিকরণ ব্যবহারের মাধ্যমে বাক্য অর্থবোধক ও স্পষ্ট হয়।
-
সাহিত্য, রচনা ও দৈনন্দিন কথ্যভাষায় স্থান নির্দেশ করতে এটি গুরুত্বপূর্ণ।
-
শিক্ষার্থীদের জন্য কারক চিহ্নিতকরণ ও বাক্য বিশ্লেষণের একটি গুরুত্বপূর্ণ উদাহরণ।
0
Updated: 15 hours ago
'সর্বাঙ্গে ব্যথা, ঔষধ দিব কোথা'-এই বাক্যে 'ঔষধ' শব্দ কোন কারকে কোন বিভক্তির উদাহরণ?
Created: 3 months ago
A
কর্ম কারকে শূন্য
B
সম্প্রদানে সপ্তমী
C
অধিকরণে শূন্য
D
কর্তৃকারকে শূন্য
কর্মকারক
কর্তা যে বস্তু বা প্রাণিকে আশ্রয় করে কাজ সম্পাদন করে, তাকে কর্মকারক বলা হয়। কর্ম দুই ধরনের হয়: মুখ্য কর্ম এবং গৌণ কর্ম।
উদাহরণস্বরূপ:
-
বাবা আমাকে (গৌণ কর্ম) একটি কলম (মুখ্য কর্ম) কিনে দিয়েছেন।
-
সাধারণত মুখ্য কর্ম হয় বস্তুবাচক, আর গৌণ কর্ম হয় প্রাণিবাচক।
-
এছাড়াও, কর্মকারকের গৌণ কর্মে সাধারণত বিভক্তি যুক্ত হয়, কিন্তু মুখ্য কর্মে বিভক্তি যুক্ত হয় না।
প্রথমা (অবিভক্তি বা শূন্য বিভক্তি)
-
ডাক্তার ডাক।
-
আমাকে একখানা বই দাও। (যেখানে দ্বিকর্মক ক্রিয়ার মুখ্য কর্ম ব্যবহৃত হয়েছে)
-
রবীন্দ্রনাথ পড়লাম, নজরুল পড়লাম — এখানে গ্রন্থবিশেষ অর্থে গ্রন্থকারের ব্যবহার করা হয়েছে।
-
সর্বাঙ্গে ব্যথা ঔষধ দিব কোথা।
তথ্যসূত্র: বাংলা ভাষার ব্যাকরণ, নবম-দশম শ্রেণি (২০১৯ সংস্করণ)
0
Updated: 3 months ago