বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক ৬ দফা ঘোষণা করা হয় ১৯৬৬ সালের ____
A
জানুয়ারি মাসে
B
ফেব্রুয়ারি মাসে
C
জুলাই মাসে
D
আগস্ট মাসে
উত্তরের বিবরণ
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৬৬ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে ঐতিহাসিক ৬ দফা ঘোষণা করেন, যা বাংলাদেশের স্বাধীনতা আন্দোলনের ভিত্তি স্থাপন করে। এটি বাঙালির রাজনৈতিক মুক্তির রূপরেখা হিসেবে ইতিহাসে চিরস্মরণীয় হয়ে আছে।
• ঘোষণার তারিখ: ১৯৬৬ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি।
• স্থান: পাকিস্তানের লাহোরে বিরোধী দলগুলোর জাতীয় সম্মেলনে।
• উদ্দেশ্য: পূর্ব পাকিস্তানের রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও প্রশাসনিক স্বায়ত্তশাসনের দাবি তুলে ধরা।
• গুরুত্ব: একে বলা হয় বাংলার ম্যাগনা কার্টা (Charter of Freedom), কারণ এটি বাঙালির মুক্তিসংগ্রামের দিকনির্দেশনা দেয়।
• ফলাফল: এই দাবির মধ্য দিয়েই বাংলাদেশের স্বাধীনতার আন্দোলন শক্ত ভিত্তি পায়।
0
Updated: 14 hours ago
বঙ্গবন্ধু ৬-দফা দাবী পেশ করেন কত সালে?
Created: 3 weeks ago
A
১৯৪৭
B
১৯৫২
C
১৯৬৬
D
১৯৭১
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছয় দফা দাবি ছিল পূর্ব পাকিস্তানের রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও প্রশাসনিক স্বায়ত্তশাসনের রূপরেখা। এটি ছিল বাঙালির স্বাধীনতার আন্দোলনের মূল ভিত্তি, যা পরবর্তীতে মুক্তিযুদ্ধের পথ সুগম করে। এই দাবিগুলো ১৯৬৬ সালে আনুষ্ঠানিকভাবে উপস্থাপিত হয় এবং পরবর্তীতে বাঙালির মুক্তির সনদ হিসেবে পরিচিতি লাভ করে।
১. সময়কাল: ১৯৬৬ সালের ৫ ও ৬ ফেব্রুয়ারি লাহোরে অনুষ্ঠিত সর্বদলীয় সম্মেলনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এই ৬ দফা দাবি পেশ করেন।
২. উদ্দেশ্য: পাকিস্তানের কেন্দ্রীয় সরকারের অর্থনৈতিক বৈষম্য ও রাজনৈতিক নিপীড়নের বিরুদ্ধে পূর্ব পাকিস্তানের স্বায়ত্তশাসন প্রতিষ্ঠা করা ছিল এই দাবির মূল লক্ষ্য।
৩. দাবিগুলোর মূল বিষয়:
-
বৈদেশিক বাণিজ্য ও মুদ্রানীতি পূর্ব পাকিস্তানের নিয়ন্ত্রণে থাকা।
-
রাজস্ব আদায়ের ক্ষমতা পূর্ব পাকিস্তানের হাতে থাকা।
-
বৈদেশিক সাহায্য ও ঋণ ব্যবস্থাপনা পূর্ব পাকিস্তানের অংশের ভিত্তিতে বণ্টন করা।
-
কেন্দ্রীয় সরকারের শুধু প্রতিরক্ষা ও পররাষ্ট্র নীতি নিয়ন্ত্রণের অধিকার থাকা।
-
মুদ্রা ব্যবস্থায় দুই প্রদেশের স্বতন্ত্রতা বজায় রাখা।
-
পূর্ব পাকিস্তানে নিজস্ব বাণিজ্য নীতি ও শিল্পায়নের অধিকার থাকা।
৪. প্রভাব: ছয় দফা ঘোষণার পর বঙ্গবন্ধু গ্রেফতার হলেও এই দাবিগুলো তৎকালীন বাঙালি জনগণের মধ্যে ব্যাপক সাড়া ফেলে। এটি পরবর্তীতে আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক আন্দোলনের মূল ভিত্তি হয়ে ওঠে।
৫. ঐতিহাসিক গুরুত্ব: ছয় দফা ছিল বাংলাদেশের স্বাধীনতার পূর্বভূমিকা। এটি বাঙালির রাজনৈতিক চেতনা ও আত্মনিয়ন্ত্রণের দাবিকে সুস্পষ্টভাবে তুলে ধরে, যা ১৯৭১ সালের স্বাধীনতা সংগ্রামে রূপ নেয়।
0
Updated: 3 weeks ago
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহামান কবে ও কোথায় ছয় দফা ঘোষণা করেন?
Created: 1 week ago
A
১৩ ফেব্রুয়ারি ১৯৬৬ সালে লাহোরে
B
৬ ফেব্রুয়ারি ১৯৬৬ সালে লাহোরে
C
৭ জুন ১৯৬৬ সালে ঢাকার পল্টন ময়দানে
D
১৪ আগস্ট ১৯৬৬ সালে করাচীতে
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশের স্বাধীনতার মহান স্থপতি। তাঁর প্রদত্ত ছয় দফা কর্মসূচি ছিল বাঙালি জাতির মুক্তির সনদ। এই ঐতিহাসিক কর্মসূচি তিনি ঘোষণা করেন ৬ ফেব্রুয়ারি ১৯৬৬ সালে পাকিস্তানের লাহোরে অনুষ্ঠিত জাতীয় সম্মেলনে। এটি বাংলাদেশের স্বাধীনতার আন্দোলনের একটি মাইলফলক হয়ে ওঠে এবং পরে মুক্তিযুদ্ধের পথ সুগম করে।
• বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তৎকালীন পাকিস্তানের রাজনৈতিক অবিচার ও বৈষম্যের বিরুদ্ধে পূর্ব বাংলার জনগণের ন্যায্য দাবি তুলে ধরার জন্য ছয় দফা প্রণয়ন করেন।
• এই কর্মসূচিতে পূর্ব পাকিস্তানের অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক স্বায়ত্তশাসনের বিষয়গুলো স্পষ্টভাবে উল্লেখ করা হয়।
• ছয় দফার মূল লক্ষ্য ছিল পাকিস্তান রাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় শাসনের পরিবর্তে একটি ফেডারেল শাসনব্যবস্থা গড়ে তোলা, যেখানে প্রদেশগুলোর অধিক ক্ষমতা থাকবে।
• এই কর্মসূচিতে বলা হয়, কেন্দ্রীয় সরকারের হাতে শুধু পররাষ্ট্রনীতি ও প্রতিরক্ষা বিষয় দুটি থাকবে, বাকি সব ক্ষমতা থাকবে প্রাদেশিক সরকারের হাতে।
• দ্বিতীয় দফায় বলা হয়েছিল, শুধুমাত্র বৈদেশিক বাণিজ্য ও মুদ্রানীতি কেন্দ্রের অধীনে থাকবে, তবে পূর্ব পাকিস্তান নিজস্ব বৈদেশিক বাণিজ্য নিয়ন্ত্রণ করতে পারবে।
• তৃতীয় দফায় বলা হয়, প্রদেশগুলোর হাতে রাজস্ব আদায় ও কর ব্যবস্থা থাকবে, যাতে তারা নিজেদের অর্থনৈতিক পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে পারে।
• চতুর্থ দফায় ছিল দুটি পৃথক মুদ্রা চালু করার প্রস্তাব, যাতে পশ্চিম পাকিস্তান অর্থনৈতিকভাবে পূর্ব পাকিস্তানকে শোষণ করতে না পারে।
• পঞ্চম দফায় বলা হয়, প্রাদেশিক সরকার বৈদেশিক মুদ্রা উপার্জনের অধিকার রাখবে এবং তার ব্যবহার নিজের মতো করতে পারবে।
• ষষ্ঠ দফায় প্রাদেশিক সরকারের হাতে বাণিজ্য ও বৈদেশিক ঋণ গ্রহণের ক্ষমতা দেওয়ার কথা বলা হয়, যাতে অর্থনৈতিক স্বাধীনতা নিশ্চিত হয়।
• বঙ্গবন্ধু এই কর্মসূচির মাধ্যমে মূলত ঘোষণা করেন যে, অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক স্বাধিকার ছাড়া বাঙালি জাতির মুক্তি অসম্ভব।
• পশ্চিম পাকিস্তানের শাসকগোষ্ঠী প্রথমে এই দফাগুলোকে দেশবিরোধী হিসেবে অভিহিত করে বঙ্গবন্ধুকে নানাভাবে বাধা দেয়, এমনকি গ্রেপ্তারও করে।
• কিন্তু বাঙালি জনগণ এই ছয় দফাকে নিজেদের মুক্তির সনদ হিসেবে গ্রহণ করে আন্দোলনে নেমে পড়ে।
• পরবর্তীতে এই ছয় দফাই হয়ে ওঠে বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের মূল ভিত্তি।
• ১৯৬৯ সালের গণঅভ্যুত্থান এবং ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধ পর্যন্ত এই ছয় দফা আন্দোলনের কেন্দ্রবিন্দুতে ছিল।
এইভাবে ৬ ফেব্রুয়ারি ১৯৬৬ সালে লাহোরে বঙ্গবন্ধুর ঘোষণা করা ছয় দফা হয়ে ওঠে ইতিহাসের এক যুগান্তকারী অধ্যায়, যা অবশেষে বাঙালি জাতিকে স্বাধীনতার পথে নিয়ে যায়।
0
Updated: 1 week ago
Created: 5 months ago
A
ছয় দফা আন্দোলন
B
শিক্ষা আন্দোলন
C
ভাষা আন্দোলন
D
এগারো দফা আন্দোলন
সংগ্রাম:
- বাঙালির জাতীয় মুক্তি সংগ্রামের প্রথম ঘটনা ভাষা আন্দোলন।
- এই আন্দোলনের মধ্য দিয়েই বাঙালি জাতীয়তাবোধের উন্মেষ ঘটে।
- ভাষার আন্দোলনের সূত্রপাত ঘটে ১৯৪৭ সালে এবং চূড়ান্ত রূপ লাভ করে ১৯৫২ সালে।
অন্যদিকে,
- শিক্ষা আন্দোলন সংঘটিত হয় ১৯৬২ সালে।
- ছয়দফা আন্দোলন আন্দোলন সংঘটিত হয় ১৯৬৬-৬৮ সালে।
- এগারো দফা ঘোষনা করা হয় ১৯৭১ সালে।
তথ্যসূত্র - বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয়, নবম-দশম শ্রেণি।
0
Updated: 5 months ago