‘অহরহ’ শব্দের সন্ধি-বিচ্ছেদ কোনটি?
A
অহ + রহ
B
অহ + অহ
C
অহঃ + রহ
D
অহঃ + অহ
উত্তরের বিবরণ
‘অহরহ’ শব্দের সন্ধি-বিচ্ছেদ হলো অহঃ + অহ।
-
অর্থ: ‘অহরহ’ শব্দের মানে হলো প্রতিদিন বা প্রতিদিনের অনিয়মিত ক্রিয়াকলাপ, সাধারণত দৈনন্দিন কার্যাবলী নির্দেশ করে।
-
সন্ধি ধরণ: এটি বিসর্গসন্ধির উদাহরণ, যেখানে বিসর্গ (ঃ) প্রয়োগ করা হয় এবং র/রেফ-এর স্থলে বিসর্গ আসে।
-
উপাদান: শব্দটি গঠিত হয়েছে ‘অহঃ’ + ‘অহ’ থেকে, যেখানে ‘অহঃ’ মানে প্রতিদিন এবং দ্বিতীয় ‘অহ’ যুক্ত হয়ে শব্দের অর্থ সম্পূর্ণ করে।
-
ভুল বিকল্প বিশ্লেষণ:
-
‘অহ + রহ’ বা ‘অহ + অহ’ ঠিক নয়, কারণ এখানে বিসর্গ সংযোজন প্রয়োজন।
-
‘অহঃ + রহ’ বানান ও অর্থগতভাবে মিলছে না।
-
-
ব্যবহার: প্রাচীন সাহিত্য ও আধুনিক বাংলা ভাষায় নিয়মিত বা দৈনন্দিন ক্রিয়াকে বোঝাতে ব্যবহৃত হয়।
0
Updated: 14 hours ago
কোনটি ‘নিরাময়’ শব্দের সন্ধি বিচ্ছেদ?
Created: 1 day ago
A
নিরা + ময়
B
নির্ + আময়
C
নির্ + ময়
D
সঠিক উত্তর নেই
‘নিরাময়’ শব্দের সন্ধি-বিচ্ছেদ হলো নিঃ + আময়।
ব্যাখ্যা:
-
‘নিরাময়’ শব্দের অর্থ হলো রোগমুক্ত বা সুস্থ।
-
এটি বিসর্গ (ঃ) সন্ধি দ্বারা গঠিত, যেখানে নিঃ + আময় সংযুক্ত হয়ে ‘নিরাময়’ শব্দ তৈরি হয়েছে।
-
বিসর্গ সন্ধিতে সাধারণত র, শ, ষ, স এর পরিবর্তে বিসর্গ ব্যবহার করা হয়।
-
উদাহরণ:
-
নিঃ + রহ = নিরহ (নিরাময় নয় কিন্তু রূপক উদাহরণ)
-
নিঃ + অপরাধ = নিরপরাধ
-
-
এই ধরনের সন্ধি-বিচ্ছেদ বাংলা ব্যাকরণে শব্দগঠন বোঝার জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
-
শিক্ষার্থীরা এটি শিখলে শব্দের মূল অংশ ও অর্থ ভালোভাবে বুঝতে পারে।
-
প্রমিত বাংলা অভিধান অনুযায়ী, ‘নিরাময়’ শব্দ নিঃ + আময় এর সংমিশ্রণ।
0
Updated: 1 day ago
নিচের কোনটি সঠিক নয়?
Created: 1 month ago
A
দয়া + মতুপ্ = দয়ামান
B
বুদ্ধি + মতুপ্ = বুদ্ধিমান
C
শ্রী + মতুপ্ = শ্রীমান
D
বতুপ্ (বৎ) এবং মতুপ্ (মৎ) প্রত্যয়:
-
প্রথমার একবচনে যথাক্রমে 'বান্' এবং 'মান্' হয়
-
বিশেষণ গঠনে ব্যবহৃত হয়
উদাহরণসমূহ:
-
গুণ + বতুপ্ = গুণবান
-
দয়া + বতুপ্ = দয়াবান
-
শ্রী + মতুপ্ = শ্রীমান
-
বুদ্ধি + মতুপ্ = বুদ্ধিমান
0
Updated: 1 month ago
নাবিক শব্দের সন্ধি বিচ্ছেদ হলো-
Created: 9 hours ago
A
নৌ + ইক
B
নবৌ + ইক
C
নবো + ইক
D
ন + ইক
‘নাবিক’ শব্দটির সঠিক সন্ধি-বিচ্ছেদ হলো নৌ + ইক।
-
এখানে “নৌ” শব্দের অর্থ হলো ‘জলযান’ বা ‘জাহাজ’, এবং “ইক” হলো কর্মবাচক প্রত্যয়, যার অর্থ ‘সম্পর্কিত ব্যক্তি’।
-
দুটি অংশ মিলিয়ে ‘নৌ + ইক’ → ‘নাবিক’ হয়, অর্থাৎ ‘নৌযান চালানো ব্যক্তি’।
-
ধ্বনিগত নিয়মে, ঔ + ই → আই হয়। তাই ‘নৌইক’ উচ্চারণে ‘নাবিক’ রূপে রূপান্তরিত হয়।
-
এ নিয়মকে বলা হয় স্বরসন্ধি, যেখানে ধ্বনির সামঞ্জস্য রক্ষার্থে স্বর পরিবর্তিত হয়।
-
উদাহরণস্বরূপ, গৌ + ইন্দ = গাবিন্দ → গোবিন্দ, বা নৌ + অট = নাবট → নাবাট।
-
এই নিয়মে ‘নৌ’ শব্দের ধ্বনি পরিবর্তিত হয়ে ‘না’ হয়, যা থেকে চূড়ান্ত রূপ ‘নাবিক’।
-
অর্থের দিক থেকেও এটি যথাযথ—‘নৌ’ (জাহাজ) সম্পর্কিত ব্যক্তি মানে ‘নাবিক’।
0
Updated: 9 hours ago