‘মাঠে ধান ফলেছে’- বাক্যে ‘মাঠে’ কোন কারক?
A
ভাবাধিকরণ
B
বিষয়াধিকরণ
C
কালাধিকরণ
D
স্থানাধিকরণ
উত্তরের বিবরণ
‘মাঠে ধান ফলেছে’ বাক্যে ‘মাঠে’ হলো স্থানাধিকরণ।
স্থানাধিকরণ কারক বোঝায় যে কোনো ক্রিয়ার স্থান বা অবস্থান নির্দেশ করে।
-
উদাহরণ: “শিশুরা উদ্যানেতে খেলছে”—এখানে ‘উদ্যানেতে’ ক্রিয়ার অবস্থান বা স্থান নির্দেশ করছে।
-
অন্যান্য কারক:
-
ভাবাধিকরণ: ক্রিয়ার ভাব বা কারণে নির্দেশ;
-
বিষয়াধিকরণ: ক্রিয়ার বিষয় নির্দেশ করে;
-
কালাধিকরণ: ক্রিয়ার সময় নির্দেশ করে।
-
-
বাংলা ব্যাকরণে স্থানাধিকরণ ব্যবহারের মাধ্যমে বাক্য অর্থবোধক ও স্পষ্ট হয়।
-
সাহিত্য, রচনা ও দৈনন্দিন কথ্যভাষায় স্থান নির্দেশ করতে এটি গুরুত্বপূর্ণ।
-
শিক্ষার্থীদের জন্য কারক চিহ্নিতকরণ ও বাক্য বিশ্লেষণের একটি গুরুত্বপূর্ণ উদাহরণ।
0
Updated: 15 hours ago
'গৃহহীন চিরদিন থাকে পরাধীন'। নিম্নরেখ শব্দটি কোন কারকে কোন বিভক্তি?
Created: 1 week ago
A
কর্তৃকারকে শূন্য
B
কর্মকারক শূন্য
C
করণে শূন্য
D
অপাদানে শূন্য
বাক্যে যে বিশেষ্য বা সর্বনাম পদ কোনো ক্রিয়া সম্পন্ন করে, তাকে ক্রিয়ার কর্তা বা কর্তৃকারক বলা হয়। অর্থাৎ, কর্তা সেই পদ যা কাজটি করে বা করণীয় ক্রিয়ার কার্যকারী সত্তা বোঝায়।
যেমন—
গরু ঘাস খায়। এখানে ‘গরু’ হলো কর্তা, এবং কর্তৃকারকে শূন্য বিভক্তি রয়েছে।
গৃহহীন চিরদিন থাকে পরাধীন। এখানেও কর্তৃকারকে শূন্য বিভক্তি ব্যবহৃত হয়েছে।
0
Updated: 1 week ago
খিলিপান (এর ভিতরে) দিয়ে ওষুধ খাবে- কোন কারক?
Created: 1 month ago
A
করণ কারক
B
অপাদান কারক
C
অধিকরণ কারক
D
কর্মকারক
অধিকরণ কারক: ক্রিয়া সম্পাদনের কাল এবং আধারকে (সময় এবং স্থানকে) অধিকরণ কারক বলে। অর্থাৎ ক্রিয়া সম্পাদনের কাল এবং আধারকে বলা হয় অধিকরণ কারক।
বাক্যের ক্রিয়াপদকে কোথায়, কখন ও কোন বিষয় বোঝাতে অধিকরণ কারক হয়। খিলিপান (এর ভিতরে) দিয়ে ওষুধ খাবে- এখানে ক্রিয়া সম্পাদনের স্থান বা আধারকে বোঝাচ্ছে। এবং দ্বারা, দিয়া, কর্তৃক, হচ্ছে তৃতীয়া বিভক্তি।
তাই, খিলিপান (এর ভিতরে) দিয়ে ওষুধ খাবে- অধিকরণ কারকে তৃতীয়া বিভক্তির উদাহরণ। অধিকরণ কারকে বিভক্তির প্রয়োগ: ক. প্রথমা বা শূন্য বিভক্তি: আমি ঢাকা যাব। বাবা বাড়ি নেই। সারারাত বৃষ্টি ছিলো। খ. তৃতীয়া বিভক্তি: খিলিপান (এর ভিতরে) দিয়ে ঔষধ খাবে। গ. পঞ্চমী বিভক্তি: বাড়ি থেকে নদী দেখা যায়। ঘ. সপ্তমী বা তে বিভক্তি: এ বাড়িতে কেউ নেই।
0
Updated: 1 month ago
বাক্যস্থিত ক্রিয়াপদের সাথে কোন পদের সম্পর্ককে কারক বলে?
Created: 17 hours ago
A
বিশেষণ পদের
B
অব্যয় পদের
C
নাম পদের
D
ক্রিয়া বিশেষণ পদের
বাক্যস্থিত ক্রিয়াপদের সাথে নামপদের সম্পর্ককেই কারক বলা হয়।
-
“কারক” শব্দের অর্থ হলো ‘সম্পর্ক’। এটি ক্রিয়া ও নামপদের মধ্যে কার্যসম্পর্ক নির্দেশ করে।
-
কারক সাধারণত বোঝায়, ক্রিয়াটি কার দ্বারা, কার জন্য, কিসে, কাকে বা কোথায় সম্পন্ন হচ্ছে।
-
উদাহরণ: “রাহিম বই পড়ে”—এখানে “রাহিম” হলো কর্তৃকারক, কারণ সে পড়ার কাজটি করছে।
-
নামপদ কার্যের অংশগ্রহণ অনুযায়ী বিভিন্ন রূপ ধারণ করে, যেমন কর্তৃ, কর্ম, করণ, সম্পাদন, অধিকরণ ইত্যাদি।
-
কারকের মাধ্যমে বাক্যে ক্রিয়া ও নামপদের মধ্যে সঠিক যোগসূত্র স্থাপন হয়।
-
ব্যাকরণে এটি বাক্যগঠনের একটি মৌলিক উপাদান, যা অর্থ ও সম্পর্ক পরিষ্কারভাবে নির্ধারণ করে।
-
কারক ছাড়া বাক্যের ব্যাকরণগত গঠন অসম্পূর্ণ থেকে যায়।
0
Updated: 17 hours ago