কোন বাগধারাটি স্বাতন্ত্র্য অর্থ প্রকাশ করে?
A
সাতেও না পাঁচেও না
B
দা-কুমড়া
C
সাপে-নেউলে
D
আদায়-কাঁচকলায়
উত্তরের বিবরণ
স্বাতন্ত্র্য অর্থ প্রকাশ করে সাতেও না পাঁচেও না।
‘সাতেও না পাঁচেও না’ বাগধারার অর্থ হলো কোনো দলের অন্তর্ভুক্ত নয় বা স্বতন্ত্র থাকা।
-
উদাহরণ: “সে সবসময় সাতেও না পাঁচেও না অবস্থানে থাকে”—এখানে ব্যক্তি কোনো গোষ্ঠী বা দলে নিজেকে আবদ্ধ করে না বোঝানো হয়েছে।
-
অন্যান্য বিকল্প:
-
দা-কুমড়া, সাপে-নেউলে, আদায়-কাঁচকলায়—এগুলো মূলত শত্রুতা বা বিবাদ বোঝায়।
-
-
বাংলা ভাষায় বাগধারা স্বল্প শব্দে গভীর অর্থ প্রকাশ করে।
-
সাহিত্য ও কথ্যভাষায় এটি স্বাতন্ত্র্য বা স্বকীয়তা বোঝাতে ব্যবহৃত হয়।
-
শিক্ষার্থীদের জন্য বাগধারা বোঝা, প্রয়োগ ও অর্থ বিশ্লেষণের গুরুত্বপূর্ণ উদাহরণ।
0
Updated: 15 hours ago
'রামগরুড়ের ছানা' কথাটির অর্থ-
Created: 3 months ago
A
কাল্পনিক জন্তু
B
গোমড়ামুখো লোক
C
মুরগি
D
পুরাণোক্ত পাখি
• ‘রামগরুড়ের ছানা’ বাগ্ধারার অর্থ - গোমড়ামুখো লোক।
এরূপ গুরুত্বপূর্ণ কিছু বাগ্ধারা হলো:
• ‘ধামাধরা’ বাগ্ধারার অর্থ - তোষামোদকারী।
• ‘যমের দোসর’ বাগ্ধারার অর্থ - নিষ্ঠুর ব্যক্তি।
• ‘ভাঁড়ে মা ভবানী’ বাগ্ধারার অর্থ - একেবারে দরিদ্র বা হত দরিদ্র অবস্থা।
• 'বুদ্ধির ঢেঁকি' বাগ্ধারার অর্থ - নির্বোধ লোক।
• ‘ফেকলু পার্টি’ বাগ্ধারার অর্থ - কদরহীন লোক।
উৎস: বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা, ড. সৌমিত্র শেখর।
0
Updated: 3 months ago
‘ইতর বিশেষ’ বাগধারাটির অর্থ কী?
Created: 6 hours ago
A
অপমানজনক আচরণ
B
সাধারণ মানুষ
C
পার্থক্য
D
বিশেষ সম্মান
একটি বাগধারা সাধারণত সংক্ষিপ্ত শব্দে গভীর অর্থ বহন করে, আর ‘ইতর বিশেষ’ এমনই একটি বাগধারা যার অর্থ মূলত পার্থক্য বা ভিন্নতা বোঝানো। বাংলা ভাষায় এটি ব্যবহার করা হয় কোনো কিছুর স্বাভাবিক নিয়ম থেকে আলাদা অবস্থা বোঝাতে। নিচে প্রয়োজনীয় তথ্যগুলো তালিকা আকারে দেওয়া হলো।
-
‘ইতর’ শব্দটি সাধারণত নিচু, সাধারণ বা ব্যতিক্রম বোঝায়; আবার ‘বিশেষ’ শব্দটি বাড়তি বা আলাদা বৈশিষ্ট্যকে নির্দেশ করে।
-
দুটি শব্দ মিলিয়ে অর্থ দাঁড়ায়—স্বাভাবিক নিয়মের বাইরে কোনো ব্যতিক্রমী পার্থক্য।
-
বাগধারাটি প্রধানত ব্যবহার হয় কারো আচরণ, স্বভাব বা অবস্থানে অস্বাভাবিক ভিন্নতা বোঝাতে।
-
উদাহরণ হিসেবে, “ওর আচরণ আজ ইতর বিশেষ মনে হলো”—এখানে বোঝানো হয়েছে স্বাভাবিকের তুলনায় আলাদা আচরণ।
-
‘ইতর বিশেষ’ কখনো নেতিবাচক অর্থেও ব্যবহৃত হয়, যখন কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত ভিন্নতা বোঝাতে হয়।
-
বাংলা সাহিত্যে এ ধরনের বাগধারা ভাষাকে আরও মধুর, সংক্ষিপ্ত এবং গভীর অর্থবহ করে।
-
অর্থ নির্বাচনে সবচেয়ে সঠিক মানে হলো—পার্থক্য, যা বাগধারার मुख्य ব্যবহারকে যথাযথভাবে তুলে ধরে।
0
Updated: 6 hours ago
‘রাবণের চিতা’ - বাগধারাটির অর্থ কী?
Created: 3 days ago
A
চির অশান্তি
B
উভয় সংকট
C
শেষ বিদায়
D
চূড়ান্ত অশান্তি
‘রাবণের চিতা’ বাগধারার অর্থ হলো চির অশান্তি।
এই বাগধারা সেই পরিস্থিতি বা অবস্থা বোঝায় যা দীর্ঘস্থায়ী অশান্তি বা কলহ সৃষ্টি করে।
-
এটি সাধারণত দীর্ঘস্থায়ী সংঘাত বা বিরোধের প্রতীক।
-
ব্যবহারিক অর্থে কোনো স্থায়ী সমস্যার বা দুশ্চিন্তার ইঙ্গিত দেয়।
-
বাক্যে প্রায়শই চিরস্থায়ী অশান্তি বা বিপর্যয় বোঝাতে ব্যবহৃত হয়।
-
অন্যান্য বিকল্প যেমন উভয় সংকট, শেষ বিদায় বা চূড়ান্ত অশান্তি—এ বাগধারার প্রকৃত অর্থ বহন করে না।
-
তাই ‘রাবণের চিতা’ মূলত দীর্ঘস্থায়ী অশান্তি বা চির অশান্তি বোঝায়।
0
Updated: 3 days ago