‘জন্ডিস ও বিবিধ বেলুন’ নাটকটির রচয়িতা কে?
A
মামুনুর রশীদ
B
হুমায়ূন আহমেদ
C
আবুল হায়াত
D
সেলিম আল দীন
উত্তরের বিবরণ
‘জন্ডিস ও বিবিধ বেলুন’ নাটকটির রচয়িতা হলো সেলিম আল দীন।
সেলিম আল দীন বাংলাদেশের আধুনিক নাট্যধারার অন্যতম প্রধান নাট্যকার।
-
তিনি গ্রামীণ সমাজ, লোককথা ও সামাজিক বাস্তবতা কেন্দ্র করে নাটক রচনা করেন।
-
‘জন্ডিস ও বিবিধ বেলুন’ নাটকে তিনি সমসাময়িক সমাজের সমস্যা, মানব চরিত্র ও সম্পর্কের সূক্ষ্ম বিশ্লেষণ তুলে ধরেছেন।
-
নাটকের চরিত্র ও কাহিনী পাঠক বা দর্শককে গভীরভাবে ভাবায়।
-
সেলিম আল দীন তাঁর রচনায় কল্পনা ও বাস্তবতার সমন্বয় ঘটান, যা দর্শককে প্রভাবিত করে।
-
এই নাটক থিয়েটার আন্দোলনে নতুন দৃষ্টিভঙ্গি এবং সৃজনশীলতা নিয়ে এসেছে।
-
বাংলা নাট্যসাহিত্যে তাঁর অবদান চিরস্মরণীয় এবং সমসাময়িক নাটকের মান উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ।
0
Updated: 16 hours ago
'নীল দর্পণ' নাটকটির বিষবস্তু কী?
Created: 2 months ago
A
নীলকরদের অত্যাচার
B
ভাষা আন্দোলন
C
অসহযোগ আন্দোলন
D
তে-ভাগা আন্দোলন
নীল-দর্পণ
-
‘নীল-দর্পণ’ (১৮৬০) দীনবন্ধু মিত্রের শ্রেষ্ঠ নাটক এবং সর্বাধিক খ্যাত রচনা।
-
নাটকটি প্রথম প্রকাশিত হয় ১৮৬০ সালে, ঢাকা থেকে।
-
মূল বিষয়বস্তু ছিল— তৎকালীন নীলচাষিদের উপর নীলকর সাহেবদের অমানবিক অত্যাচার এবং শাসকশ্রেণীর অন্যায় আচরণ।
-
প্রকাশের পর নাটকটি সমাজে ব্যাপক আলোড়ন তোলে এবং কৃষকদের নীলবিদ্রোহে সাহস জোগায়।
-
মাইকেল মধুসূদন দত্ত ‘A Native’ ছদ্মনামে ইংরেজি অনুবাদ করেন এবং নাম দেন Nil Darpan or The Indigo Planting Mirror (১৮৬১)। পরে প্রকাশের কারণে পাদ্রি জেমস লং আদালতের দ্বারা অর্থদণ্ডে দণ্ডিত হন।
-
বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় নাটকটিকে মার্কিন সাহিত্যের বিখ্যাত গ্রন্থ ‘Uncle Tom’s Cabin’-এর সঙ্গে তুলনা করেছিলেন।
-
নাটকটি আজও জাতীয় চেতনার পথিকৃৎ হিসেবে স্বীকৃত এবং এটিই প্রথম বাংলা নাটক যা বিদেশি ভাষায় অনূদিত হয়।
-
প্রথম প্রকাশিত হয়েছিল ‘কস্যচিৎ পথিকস্য’ ছদ্মনামে (ঢাকা, ১৮৬০) এবং ১৮৭২ সালের ৭ ডিসেম্বর এটিই ছিল সাধারণ রঙ্গালয়ের প্রথম মঞ্চনাটক।
দীনবন্ধু মিত্র
-
জন্ম: ১৮৩০ সালে, পশ্চিমবঙ্গের নদীয়া জেলার চৌবেড়িয়া গ্রামে এক দরিদ্র পরিবারে।
-
তিনি ছিলেন রায়বাহাদুর উপাধিপ্রাপ্ত খ্যাতনামা নাট্যকার।
-
প্রথমে ঈশ্বরচন্দ্র গুপ্তের অনুপ্রেরণায় কবিতা লিখতেন এবং কলেজ জীবনে তাঁর সংস্পর্শে এসে ‘সংবাদ প্রভাকর’, ‘সংবাদ সাধুরঞ্জন’ ইত্যাদি পত্রিকায় কবিতা প্রকাশ করতেন।
-
যদিও কবিতায় হাতেখড়ি, তবুও নাটক ও প্রহসন রচনার মাধ্যমেই তিনি সর্বাধিক খ্যাতি অর্জন করেন।
-
তাঁর শ্রেষ্ঠ রচনা হলো ‘নীল-দর্পণ’।
-
মৃত্যু: ১৮৭৩ সালের ১ নভেম্বর, অকালপ্রয়াণ ঘটে।
অন্যান্য নাটক
-
নবীন তপস্বিনী
-
লীলাবতী
-
কমলে কামিনী
উৎস: বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা – ড. সৌমিত্র শেখর
এবং বাংলাপিডিয়া
0
Updated: 2 months ago
‘কিত্তনখােলা’ নাটকটির বিষয়-
Created: 2 months ago
A
যন্ত্রণাদগ্ধ শহরজীবন
B
স্নিগ্ধ-শ্যামল প্রকৃতির রূপ
C
লোকায়ত জীবন-সংস্কৃতি
D
দেশবিভাগজনিত জীবন যন্ত্রণা
‘কিত্তনখোলা’ নাটকটি সেলিম আল দীন রচিত একটি জীবনঘনিষ্ঠ নাট্যকর্ম, যা বাংলা নাট্যশিল্পে নতুন দিগন্ত উন্মোচন করেছে। নাটকটির মাধ্যমে সেলিম আল দীন পাশ্চাত্য নাট্যরীতি পরিহার করে প্রাচ্যীয় রীতি ও বাঙালির প্রান্তিক জনগণের জীবন-সংস্কৃতিকে নাট্যরূপে উপস্থাপন করেন।
তিনি নিজেও বলেছেন যে, কিত্তনখোলা রচনার সময় তিনি মানিকগঞ্জের লোকায়ত জীবন, সংস্কৃতি এবং অপূর্ব নিসর্গের সঙ্গে পরিচিত হয়েছেন, যা নাটকে স্পষ্ট প্রতিফলিত হয়েছে।
মূল তথ্যগুলো:
-
‘কিত্তনখোলা’ নাটকটির রচয়িতা সেলিম আল দীন।
-
নাটকটি বাঙালির প্রান্তিক জনমানুষের প্রথাগত জীবন এবং সাংস্কৃতিক আচার-আচরণের ইতিবৃত্তকে তুলে ধরেছে।
-
নাট্যরচনার মাধ্যমে প্রাচ্যীয় নাট্যরীতি বাংলা নাট্যশিল্পে প্রবর্তন হয়।
সেলিম আল দীন:
-
জন্ম: ১৮ নভেম্বর ১৯৪৮, সোনাগাজি, নোয়াখালি জেলার সেনেরখিল গ্রামে।
-
তিনি মূলত কবিতা লিখতেন, তবে ১৯৭২ সালে তার নাটক ‘নীল শয়তান: তাহিতি ইত্যাদি’ টেলিভিশন ও বেতারে প্রচার হওয়ার পর নাট্যকার হিসেবে পরিচিতি পান।
-
একই বছর ডাকসু মঞ্চে ‘জন্ডিস ও বিবিধ বেলুন’ মঞ্চস্থ হয় এবং নাট্য প্রতিযোগিতায় প্রথম পুরস্কার পায়।
-
১৯৭৩ সালে ডাকসু নাট্যচক্র ‘এক্সপ্লোসিভ ও মূল সমস্যা’ মঞ্চস্থ করলে তিনি নাট্যকার হিসেবে সর্বজন পরিচিত হন।
সেলিম আল দীনের অন্যান্য নাট্যগ্রন্থ:
-
সর্প বিষয়ক গল্প ও অন্যান্য
-
বাসন
-
কেরামতমঙ্গল
-
কিত্তনখোলা
-
হাতহদাই
-
শকুন্তলা
-
মুনতাসীর ফ্যান্টাসি
-
জন্ডিস ও বিবিধ বেলুন
-
চাকা
-
যৈবতী কন্যার মন
-
হরগজ
-
নিমজ্জন
0
Updated: 2 months ago
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর 'তাসের দেশ' নাটকটি কাকে উৎসর্গ করেন?
Created: 2 months ago
A
কাজী নজরুল ইসলামকে
B
মহাত্মা গান্ধীকে
C
নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুকে
D
ভিক্টোরিয়া ওকাম্পোকে
'তাসের দেশ' — নাটক
– রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
-
ধরন: রূপক নাট্য
-
প্রকাশ: ১৯৩৩
-
ভিত্তি: রবীন্দ্রনাথের এক আষাঢ়ে গল্প নামক গল্পের কাহিনি
-
কাহিনী: রাজপুত্র এবং সদাগর পুত্র এক অপরিচিত দ্বীপে পৌঁছায়, যেখানে জীবন শাসিত হয় যান্ত্রিক নিয়মানুবর্তিতায়, যুক্তি ও হৃদয়হীন শাসনতন্ত্রের আনুগত্যে। রাজপুত্র এবং সদাগর এই নিয়মবন্দি জীবনে বিদ্রোহ নিয়ে আসেন।
-
উৎসর্গ: নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুকে
-
উদ্দেশ্য: উপনিবেশ শাসিত ভারতীয়দের জড়ত্ব ঘোচাতে রবীন্দ্রনাথ মুক্তিদূত রূপী রাজপুত্রের আগমন কামনা করেছিলেন।
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর কর্তৃক অন্যান্য উৎসর্গকৃত গ্রন্থ:
-
তাসের দেশ — নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু
-
পূরবী — ভিক্টোরিয়া ওকাম্পো
-
বসন্ত — কাজী নজরুল ইসলাম
-
খেয়া — জগদীশচন্দ্র বসু
উৎস: বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা; বাংলাপিডিয়া
0
Updated: 2 months ago