‘মরণ রে, তুঁহুঁ মম শ্যাম সমান।’ পক্তিটির রচয়িতা কে?
A
বিহারীলাল চক্রবর্তী
B
অতুলপ্রসাদ সেন
C
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
D
সুফিয়া কামাল
উত্তরের বিবরণ
‘মরণ রে, তুঁহুঁ মম শ্যাম সমান’ পঙ্ক্তিটির রচয়িতা হলো রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর।
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এই পঙ্ক্তি তাঁর গ্রন্থ ‘ভানুসিংহ ঠাকুরের পদাবলী’-তে অন্তর্ভুক্ত করেছেন।
-
এখানে তিনি মৃত্যুকে প্রিয়জনের সমান হিসেবে তুলনা করেছেন, যা জীবন ও মৃত্যুর গভীর দার্শনিক ভাব প্রকাশ করে।
-
পঙ্ক্তিতে ব্যক্তিগত প্রেম ও আধ্যাত্মিকতার মেলবন্ধন লক্ষ্য করা যায়।
-
রবীন্দ্রনাথের কবিতায় এমন চিত্রকল্প ও সরল yet গভীর ভাষার ব্যবহার প্রচলিত।
-
এটি বাংলা সাহিত্যে জীবন, মৃত্যু এবং মানবিক সম্পর্কের সূক্ষ্ম বিশ্লেষণের উদাহরণ।
-
কবির শৈলীতে চিত্রকল্প ও ভাষার মাধুর্য একসাথে অনুভূত হয়।
-
সাহিত্যিক ও মনস্তাত্ত্বিক দিক থেকে এই পঙ্ক্তি একটি অমর সৃষ্টি হিসেবে স্বীকৃত।
0
Updated: 16 hours ago
পূর্ববঙ্গের পল্লীপ্রকৃতি ও জীবনচিত্র রবীন্দ্রনাথের কোন কাব্যের পরিপ্রেক্ষিত তৈরী করেছিল?
Created: 4 weeks ago
A
শৈশব-সংগীত
B
সোনার তরী
C
বলাকা
D
চিত্রা
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ১৮৯২ খ্রিষ্টাব্দে কলকাতা থেকে কুষ্টিয়ার শিলাইদহে আসেন, যেখানে তিনি কিছু সময় জমিদারি কাজের পাশাপাশি সাহিত্যসাধনায় মনোনিবেশ করেন। শিলাইদহের প্রকৃতি, পদ্মার তীরের সৌন্দর্য ও গ্রামীণ জীবনের নানান দৃশ্য তাঁর কাব্যচেতনায় গভীর প্রভাব ফেলে।
-
শিলাইদহে অবস্থানকালে তিনি একাধারে জীবন, প্রকৃতি ও মানুষের অন্তর্লীন সম্পর্ক নিয়ে ভাবনা প্রকাশ করেন।
-
এই সময়েই তিনি রচনা করেন তাঁর বিখ্যাত কাব্যগ্রন্থ ‘সোনার তরী’, যা ১৮৯৪ সালে প্রকাশিত হয়।
-
কাব্যটির কবিতাগুলোতে মানুষের আত্মসমর্পণ, ভালোবাসা, বিচ্ছেদ ও জীবনের অস্থায়িত্ব গভীরভাবে প্রতিফলিত হয়েছে।
-
শিলাইদহ পর্ব রবীন্দ্রনাথের সৃষ্টিশীল জীবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় হিসেবে বিবেচিত।
0
Updated: 4 weeks ago
'বিসর্জন' নাটোকের জয়সিংহের' সংস্কারাচ্ছন্ন মনের মুক্তি ঘটে কার আহ্বানে?
Created: 4 weeks ago
A
রাজা গোবিন্দ মাণিক্য
B
ব্রাক্ষ্মণ রঘুপতি
C
রাণী গুনবতি
D
বালিকা অপর্ণা
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘বিসর্জন’ নাটকে ধর্মীয় কুসংস্কার ও গোঁড়ামির বিরুদ্ধে মানবপ্রেম এবং উদারতার জয়গান গাওয়া হয়েছে। নাটকের অন্যতম চরিত্র জয়সিংহ, যিনি প্রথমে ধর্মীয় বিশ্বাস ও কুসংস্কারের অন্ধ অনুসারী ছিলেন, শেষে অপর্ণার ভালোবাসা ও মানবিক আহ্বানে নিজের ভেতরের অন্ধকার থেকে মুক্তি লাভ করেন। অপর্ণার প্রভাবেই তার হৃদয়ে মানবতার আলো জ্বলে ওঠে এবং ধর্মীয় গোঁড়ামির শৃঙ্খল ভেঙে তিনি আলোর পথে এগিয়ে যান।
বিসর্জন নাটক সম্পর্কিত তথ্য:
-
নাটকটি ১৮৯০ সালে প্রকাশিত হয়।
-
এটি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সবচেয়ে মঞ্চসফল ও জনপ্রিয় নাটকগুলির মধ্যে একটি।
-
নাটকের দুটি সময়ে রবীন্দ্রনাথ নিজেই অভিনয় করেন— ১৮৯০ সালে রঘুপতির ভূমিকায় এবং ১৯২৩ সালে জয়সিংহের ভূমিকায়।
-
নাটকটি অমিত্রাক্ষর ছন্দে রচিত।
-
এর মূল ভাবনা হলো: ধর্মীয় কুসংস্কার ও গোঁড়ামির বিপরীতে মানবপ্রেমই মুক্তি ও শান্তির পথ।
-
নাটকের বিষয়বস্তুতে দেখা যায়, উদার ধর্মবোধ ও সংকীর্ণ বিশ্বাসের মধ্যে দ্বন্দ্ব, যা মানবিক মূল্যবোধ ও সম্পর্কের গভীরতার সঙ্গে যুক্ত।
-
নাটকের কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে এক আধ্যাত্মিক সংঘাত— যেখানে বিশ্বাসের উগ্রতা একদিকে ধ্বংস ডেকে আনে, আর মানবপ্রেম ও সহমর্মিতা অন্যদিকে জীবনের মুক্তির পথ দেখায়।
উল্লেখযোগ্য চরিত্রসমূহ:
-
রঘুপতি
-
গোবিন্দমাণিক্য
-
গুণবতী
-
অপর্ণা
-
জয়সিংহ
0
Updated: 4 weeks ago
নিচের কোন চরিত্র দুটি রবীন্দ্রনাথের 'ঘরে বাইরে' উপন্যাসের?
Created: 2 months ago
A
বিহারী-বিনোদিনী
B
নিখিলেস-বিমলা
C
মধুসূদন-কুমুদিনী
D
অমিত-লাবণ্য
‘ঘরে-বাইরে’ উপন্যাস
-
রচনাবর্ষ ও প্রকাশনা: ‘ঘরে-বাইরে’ (১৯১৬) রবীন্দ্রনাথের প্রথম চলিত ভাষার উপন্যাস। এটি ১৯১৫ সালে সবুজপত্রে প্রকাশিত হয়েছিল।
-
প্রেক্ষাপট: ব্রিটিশ ভারতের সামাজিক ও রাজনৈতিক পরিস্থিতি এই উপন্যাসের মূল প্রেক্ষাপট।
-
প্রভাব ও মিল: পাশ্চাত্য ঔপন্যাসিক স্টিভেনসনের প্রিন্স অট উপন্যাসের ভাব ও ধারার সঙ্গে এর কিছু সাদৃশ্য লক্ষ্য করা যায়।
-
প্রধান চরিত্র: নিখিলেশ, বিমলা ও সন্দীপ।
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
-
সাধারণ পরিচয়: রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর একাধারে কবি, সঙ্গীতজ্ঞ, কথাসাহিত্যিক, নাট্যকার, চিত্রশিল্পী, প্রাবন্ধিক, দার্শনিক, শিক্ষাবিদ ও সমাজসংস্কারক।
-
নোবেল পুরস্কার: ১৯১৩ সালে তিনি সাহিত্য ক্ষেত্রে নোবেল পুরস্কার পান; এশিয়ার প্রথম ব্যক্তি হিসেবে এই গৌরব অর্জন করেন।
-
জন্ম ও পরিবার: ১৮৬১ সালের ৭ মে (১২৬৮ বঙ্গাব্দের ২৫ বৈশাখ) কলকাতার জোড়াসাঁকোর ঠাকুর পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। পিতা: দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর, পিতামহ: প্রিন্স দ্বারকানাথ ঠাকুর।
-
পটভূমি ও প্রভাব: পরিবারের পূর্বপুরুষরা পূর্ববঙ্গ থেকে কলকাতায় ব্যবসায়িক কারণে এসেছিলেন। জোড়াসাঁকোর ঠাকুর পরিবার বাঙালির নবজাগরণ, ধর্ম ও সমাজ সংস্কারের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে যুক্ত ছিল। রামমোহন রায়ের আদর্শ দেবেন্দ্রনাথ ও রবীন্দ্রনাথের ওপর গভীর প্রভাব ফেলেছিল।
-
প্রধান স্থল: তিনি বাংলাদেশের শাহজাদপুর, পতিসর, কালিগ্রাম ও শিলাইদহে সময় কাটিয়েছেন।
-
মৃত্যু: ১৯৪১ সালের ৭ আগস্ট (২২ শ্রাবণ ১৩৪৮) জোড়াসাঁকোর বাড়িতে মৃত্যুবরণ করেন।
কিছু বিখ্যাত উপন্যাস
-
ঘরে-বাইরে, চোখের বালি, শেষের কবিতা, যোগাযোগ, নৌকাডুবি, দুই বোন, মালঞ্চ, গোরা, রাজর্ষি, চার অধ্যায় ইত্যাদি।
উৎস: বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা, ড. সৌমিত্র শেখর; বাংলাপিডিয়া।
0
Updated: 2 months ago