‘যিনি অধিক কথা বলেন না।’ এক কথায় কী হবে?
A
অল্পভাষী
B
সংযম
C
মিতভাষী
D
সন্ন্যাসী
উত্তরের বিবরণ
‘যিনি অধিক কথা বলেন না’ এক কথায় হলো মিতভাষী।
মিতভাষী শব্দের অর্থ হলো যে ব্যক্তি সংযত ও সীমিত পরিমাণে কথা বলে।
-
তিনি অপ্রয়োজনীয় বা অতিরিক্ত বাক্য এড়িয়ে সংক্ষিপ্ত ও যথাযথভাবে ভাব প্রকাশ করেন।
-
উদাহরণ: “অমল একজন মিতভাষী ব্যক্তি, ফলে সকলের সঙ্গে সহজে মানিয়ে নেন।”
-
‘সংযম’ শব্দটি মূলত আচরণ বা মনোভাব নিয়ন্ত্রণ বোঝায়, কথা বলার সীমা নয়।
-
‘সন্ন্যাসী’ হলো যে ব্যক্তি ধর্মীয় বা সামাজিক কারণে নির্জন জীবন বেছে নেন।
-
মিতভাষীর বৈশিষ্ট্য হলো ধৈর্য, শৃঙ্খলাবদ্ধ ভাবনা ও সংযত ভাষা ব্যবহার।
-
সাহিত্য ও নৈতিক শিক্ষায় মিতভাষীকে প্রশংসনীয় চরিত্র হিসেবে দেখানো হয়।
0
Updated: 17 hours ago
‘যা বলা হবে’ এর বাক্য সংকোচন কোনটি?
Created: 2 months ago
A
উক্ত
B
বাচ্য
C
ভবিতব্য
D
বক্তব্য
যা বলা হবে = বক্তব্য। বলা হয়েছে এমন = উক্ত। ভাগ্য বা নিয়তি ভবিতব্য। অনুমান করা হয়েছে এমন অনুমিত।
0
Updated: 2 months ago
জানার ইচ্ছা-
Created: 3 weeks ago
A
জিজ্ঞাসা
B
জিঘাংসা
C
তৃষ্ণা
D
আগ্রহ
মানুষের জানার ইচ্ছা বা জানার আকাঙ্ক্ষা একটি প্রাকৃতিক প্রবৃত্তি, যা তাকে জ্ঞানার্জনের পথে উদ্বুদ্ধ করে। এই ইচ্ছার ভাষাগত রূপ হলো ‘জিজ্ঞাসা’, যা মূলত প্রশ্ন করা, অনুসন্ধান করা বা কিছু জানার তাগিদ প্রকাশ করে। তাই প্রদত্ত বিকল্পগুলোর মধ্যে ‘জিজ্ঞাসা’ শব্দটিই সবচেয়ে উপযুক্ত ও অর্থবহ।
মূল কারণ ও বিশ্লেষণ:
-
‘জিজ্ঞাসা’ শব্দটি সংস্কৃত উৎসজাত। এটি সাধারণত “প্রশ্ন করা” বা “কোনো বিষয়ে জানার আগ্রহ” বোঝায়। যেমন — “তার জিজ্ঞাসা ছিল বিষয়টি কেমন ঘটল।” এই শব্দে কৌতূহল ও জ্ঞানপিপাসার ভাব স্পষ্টভাবে প্রকাশ পায়।
-
‘জিঘাংসা’ শব্দটির অর্থ ভিন্ন। এটি ‘হিংসা করার ইচ্ছা’ বা ‘ক্ষতি সাধনের আকাঙ্ক্ষা’ বোঝায়। ফলে এটি জানার ইচ্ছার সঙ্গে কোনোভাবেই সম্পর্কিত নয়।
-
‘তৃষ্ণা’ মানে ‘পিপাসা’ বা ‘অতিরিক্ত আকাঙ্ক্ষা’। এটি সাধারণত বস্তুগত বা মানসিক কামনা প্রকাশে ব্যবহৃত হয়, যেমন — ধনলিপ্সা, ক্ষমালিপ্সা ইত্যাদি।
-
‘আগ্রহ’ শব্দটি যদিও কোনো বিষয়ে মনোযোগ বা আকৃষ্ট হওয়ার ভাব প্রকাশ করে, তবুও এটি জানার ইচ্ছার তুলনায় সাধারণ অর্থ বহন করে। এটি জানার ইচ্ছার সুনির্দিষ্ট প্রতিশব্দ নয়।
অর্থগত দিক থেকে:
‘জিজ্ঞাসা’ শব্দে প্রশ্ন ও অনুসন্ধানের প্রবণতা নিহিত থাকে। একজন মানুষ যখন কোনো বিষয়ে জানতে চায়, তখন সে প্রশ্ন তোলে, তথ্য খোঁজে — এই প্রক্রিয়াটিই জিজ্ঞাসার প্রতিফলন। ফলে জানার ইচ্ছা বা কৌতূহল প্রকাশে এটি যথার্থ শব্দ।
ভাষাগতভাবে:
বাংলা সাহিত্যে ও ব্যাকরণে ‘জিজ্ঞাসা’ শব্দটি প্রায়ই জ্ঞান, শিক্ষা ও অনুসন্ধানের প্রসঙ্গে ব্যবহৃত হয়। যেমন—
-
“জিজ্ঞাসা থেকেই জ্ঞান জন্ম নেয়।”
-
“শিক্ষার্থীর মনে জিজ্ঞাসা না থাকলে শিক্ষা অসম্পূর্ণ।”
এগুলো থেকে বোঝা যায়, ‘জিজ্ঞাসা’ শুধু প্রশ্ন নয়, বরং তা জানার তাগিদ, চিন্তার সূচনা এবং জ্ঞানার্জনের প্রাথমিক ধাপ।
অতএব, “জানার ইচ্ছা” শব্দগুচ্ছের সঠিক প্রতিশব্দ হলো ‘জিজ্ঞাসা’, কারণ এটি মানুষের জ্ঞানপিপাসা, অনুসন্ধিৎসা ও শেখার তাগিদকে নিখুঁতভাবে প্রকাশ করে।
0
Updated: 3 weeks ago
যার দুই হাত সমান চলে, তাকে কি বলে?
Created: 3 days ago
A
সব্যসাচী
B
দু’হাতি
C
সমান তালী
D
সব্যচাষি
যার দুই হাত সমান চলে, তাকে ‘সব্যসাচী’ বলা হয়।
এই শব্দটি বিশেষভাবে অর্জুনের জন্য ব্যবহৃত হয়েছে, যিনি উভয় হাতে সমান দক্ষতার সাথে তীরন্দাজি করতেন।
-
‘সব্যসাচী’ মানে দুই হাতে সমান দক্ষতা সম্পন্ন ব্যক্তি।
-
এটি সাধারণত শরীরিক বা কলাক্ষেত্রে সমদক্ষ ব্যক্তিকে নির্দেশ করে।
-
শব্দটি পুরাণ ও মহাকাব্যে বিশেষ মর্যাদা হিসেবে ব্যবহৃত।
-
অন্যান্য বিকল্প যেমন দু’হাতি, সমান তালী বা সব্যচাষি—এই প্রয়োগের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়।
-
তাই ‘সব্যসাচী’ দুই হাতে সমান দক্ষতার প্রতীক।
0
Updated: 3 days ago