দৃশ্যমান আলোর তরঙ্গদৈর্ঘ্য কত?
A
200–400 nm
B
400–700 nm
C
700–900 nm
D
100–300 nm
উত্তরের বিবরণ
দৃশ্যমান আলোক হলো তড়িৎচুম্বকীয় তরঙ্গের সেই অংশ যা মানুষের চোখে দেখা যায়। এই আলো মানুষের দৃষ্টিশক্তিকে সক্রিয় রাখে এবং বিভিন্ন রঙের মাধ্যমে পৃথিবীকে বর্ণময় করে তোলে। নিচে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় তথ্য তুলে ধরা হলো।
-
দৃশ্যমান আলোর পরিসর সাধারণত 400 ন্যানোমিটার (বেগুনি আলো) থেকে 700 ন্যানোমিটার (লাল আলো) পর্যন্ত বিস্তৃত।
-
400 nm-এর নিচে আল্ট্রাভায়োলেট (UV) রশ্মি থাকে, যা মানুষের চোখে দেখা যায় না।
-
700 nm-এর উপরে ইনফ্রারেড (IR) রশ্মি থাকে, যা উষ্ণতা বহন করে কিন্তু দৃশ্যমান নয়।
-
দৃশ্যমান আলোর রঙের ক্রম হলো—বেগুনি, নীল, সবুজ, হলুদ, কমলা ও লাল।
-
প্রতিটি রঙের নিজস্ব তরঙ্গদৈর্ঘ্য ও শক্তি আছে; বেগুনি আলোর শক্তি বেশি এবং তরঙ্গদৈর্ঘ্য কম, লাল আলোর শক্তি কম ও তরঙ্গদৈর্ঘ্য বেশি।
-
সূর্যের আলো মূলত এই দৃশ্যমান রঙগুলোর মিশ্রণ, যা প্রিজমের মাধ্যমে বিচ্ছিন্ন করলে রঙধনুর মতো সাত রঙ দেখা যায়।
0
Updated: 10 hours ago
নিচের কোন বিবৃতিটি গামা রশ্মির বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে ভুল?
Created: 1 month ago
A
এর ভেদন ক্ষমতা খুব বেশি
B
এটি একটি তড়িৎচুম্বকীয় বিকিরণ
C
এর ফোটনগুলোর শক্তি অনেক কম
D
এর তরঙ্গদৈর্ঘ্য খুব ছোট
গামা রশ্মি (Gamma Ray)
-
প্রকৃতি: গামা রশ্মি হলো শক্তিশালী বিদ্যুৎ চৌম্বকীয় তরঙ্গ।
-
চার্জ ও ভর: গামা রশ্মি চার্জবিহীন এবং ভরহীন, তাই এটি বিদ্যুৎ বা চৌম্বক ক্ষেত্র দ্বারা প্রভাবিত হয় না।
-
উৎপত্তি: যখন কোনো নিউক্লিয়াস আলফা বা বিটা কণার বিকিরণ করে 'উত্তেজিত' অবস্থায় থাকে, তখন বাড়তি শক্তি গামা রশ্মি হিসেবে নির্গত হয়।
-
তরঙ্গদৈর্ঘ্য ও শক্তি:
-
গামা রশ্মির তরঙ্গদৈর্ঘ্য খুব ছোট (প্রায় ১০⁻¹² মিটারের নিচে)।
-
তরঙ্গদৈর্ঘ্য এবং ফোটনের শক্তি বিপরীতানুপাতিক, তাই ছোট তরঙ্গদৈর্ঘ্য মানে উচ্চ শক্তি।
-
-
গতি: গামা রশ্মির বেগ সর্বদা আলোর বেগের সমান।
-
ভেদন ক্ষমতা (Penetrating Power):
-
গামা রশ্মি অত্যন্ত উচ্চ ভেদন ক্ষমতার।
-
এটি কয়েক সেন্টিমিটার পুরু সীসার পাত বা কয়েক মিটার পুরু কংক্রিটও ভেদ করতে পারে।
-
সাধারণত গামা রশ্মি থামাতে কয়েক সেন্টিমিটার সীসার পুরু পাতা ব্যবহার করা হয়।
-
-
আয়নায়ন ক্ষমতা: চার্জ না থাকলেও, গামা রশ্মি অণু ও পরমাণুকে আয়নিত করতে পারে, যা এর অস্তিত্ব শনাক্ত করতে সাহায্য করে।
মূল কারণ: গামা রশ্মির উচ্চ শক্তি তার উচ্চ ভেদন ক্ষমতার মূল কারণ।
0
Updated: 1 month ago
কোন মাধ্যমে আলোর গতি সর্বাধিক থাকে?
Created: 1 month ago
A
পানি
B
কাচ
C
বায়ু
D
শূন্যস্থান
আলো হলো এমন একধরনের শক্তি যা আমাদের চারপাশকে দৃশ্যমান করে তোলে এবং জীবনের জন্য অপরিহার্য। এটি তড়িতচৌম্বকীয় তরঙ্গ আকারে বিস্তার লাভ করে এবং বিভিন্ন ভৌত বৈশিষ্ট্যের মাধ্যমে ব্যাখ্যা করা হয়।
-
আলো একপ্রকার শক্তি।
-
এটি একধরনের তড়িতচৌম্বকীয় তরঙ্গ, যা আমাদের চোখে দর্শনের অনুভূতি সৃষ্টি করে।
-
আলোর কণাকে ফোটন বলা হয়।
-
শূন্যস্থানে আলোর গতি প্রায় 3×10⁸ মিটার/সেকেন্ড বা প্রায় ২৯৯,৭৯২ কিমি/সেকেন্ড।
-
অর্থাৎ, আলো প্রতি সেকেন্ডে প্রায় ৩ লক্ষ কিলোমিটার অতিক্রম করে।
-
সূর্য থেকে পৃথিবীতে আলো পৌঁছাতে সময় লাগে প্রায় ৮ মিনিট ২০ সেকেন্ড।
-
দৃশ্যমান আলো সাতটি বর্ণের সমষ্টি: বেগুনী, নীল, আসমানি, সবুজ, হলুদ, কমলা এবং লাল।
0
Updated: 1 month ago
নিচের কোন বর্ণের আলোর তরঙ্গদৈর্ঘ্য সবচেয়ে কম?
Created: 1 month ago
A
কমলা
B
হলুদ
C
লাল
D
বেগুনি
তাড়িতচৌম্বকীয় বর্ণালির এক ক্ষুদ্র অংশ আমাদের চোখে দৃশ্যমান হয়, যাকে দৃশ্যমান আলোক তরঙ্গ বা দৃশ্যমান বিকিরণ বলা হয়। এই আলোই আমাদের দৈনন্দিন জীবনে রঙের অনুভূতি প্রদান করে।
-
দৃশ্যমান আলোক তরঙ্গের তরঙ্গদৈর্ঘ্যের পরিসর 4×10⁻⁷ মিটার থেকে 7×10⁻⁷ মিটার।
-
ভিন্ন ভিন্ন তরঙ্গদৈর্ঘ্যের কারণে আলোর বিভিন্ন বর্ণ দেখা যায়।
-
দৃশ্যমান আলোকে সাধারণত বেগুনি, নীল, আসমানী, সবুজ, হলুদ, কমলা ও লাল—এই সাতটি ভাগে বিভক্ত করা হয়।
-
বেগুনি আলোর তরঙ্গদৈর্ঘ্য সবচেয়ে কম, তাই এর প্রতিসরণ, বিচ্যুতি ও বিক্ষেপণ সবচেয়ে বেশি।
-
লাল আলোর তরঙ্গদৈর্ঘ্য সবচেয়ে বেশি, তাই এর প্রতিসরণ, বিচ্যুতি ও বিক্ষেপণ সবচেয়ে কম।
-
তরঙ্গদৈর্ঘ্য যত বেশি হবে, প্রতিসরণ, বিচ্যুতি ও বিক্ষেপণ তত কম হবে।
উৎস:
0
Updated: 1 month ago