বাংলাদেশের প্রধান অর্থকরী ফসল কোনটি?
A
ধান
B
গম
C
পাট
D
আখ
উত্তরের বিবরণ
বাংলাদেশের অর্থনীতিতে কৃষির ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, এবং এর মধ্যে পাট দীর্ঘদিন ধরে দেশের প্রধান অর্থকরী ফসল হিসেবে পরিচিত। স্বাধীনতার পূর্বে পাটকে বলা হতো “বাংলার সোনালী আঁশ”। কারণ এটি শুধু কৃষকের আয়ের উৎস নয়, বরং বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের অন্যতম মাধ্যমও ছিল।
-
পাটের অর্থনৈতিক গুরুত্ব: এটি বাংলাদেশের অন্যতম রপ্তানি পণ্য, যা থেকে প্রতি বছর উল্লেখযোগ্য পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা অর্জিত হয়।
-
উৎপাদন এলাকা: প্রধানত ফরিদপুর, গোপালগঞ্জ, মাদারীপুর, নরসিংদী, টাঙ্গাইল, জামালপুর ও কিশোরগঞ্জে পাট উৎপাদন বেশি হয়।
-
ব্যবহার: পাট থেকে ব্যাগ, দড়ি, কার্পেট, ম্যাট, হ্যান্ডিক্রাফটসহ নানা ধরনের পরিবেশবান্ধব পণ্য তৈরি হয়।
-
অর্থনৈতিক ভূমিকা: দেশের প্রায় ২৫ লাখ কৃষক সরাসরি পাটচাষের সঙ্গে যুক্ত এবং পাটশিল্পে বহু শ্রমিক কর্মরত।
-
পরিবেশগত দিক: পাট একটি প্রাকৃতিক তন্তু, যা পরিবেশবান্ধব ও জৈবভাবে অবক্ষয়যোগ্য (biodegradable)।
0
Updated: 10 hours ago
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্যমতে, ড্রাগন ফল উৎপাদনে বর্তমানে শীর্ষ জেলা কোনটি? [সেপ্টেম্বর, ২০২৫]
Created: 1 month ago
A
ঝিনাইদহ
B
কুষ্টিয়া
C
রাজশাহী
D
যশোর
ড্রাগন ফল উৎপাদন বিষয়ক তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশে ড্রাগন ফলের উৎপাদন সম্প্রতি বৃদ্ধি পেয়েছে এবং এটি বেশ জনপ্রিয় ফল হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। ড্রাগন ফল মূলত আমেরিকার প্রসিদ্ধ একটি ফল, যা ২০০৭ সালে থাইল্যান্ড, ফ্লোরিডা ও ভিয়েতনাম থেকে বিভিন্ন জাত আনা হয়। এটি একটি ক্যাকটাস জাতীয় গাছ, যার কোন পাতা নেই এবং সাধারণত ১.৫ থেকে ২.৫ মিটার লম্বা হয়ে থাকে।
• কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, উৎপাদনের শীর্ষে ঝিনাইদহ জেলা। ২০২৪-২৫ অর্থবছরে এখানে উৎপাদন হয়েছে ৩২,৭৬৮ মেট্রিক টন ড্রাগন।
• উৎপাদনের দ্বিতীয় স্থানে যশোর। ২০২৪-২৫ অর্থবছরে এখানে উৎপাদন হয়েছে ১২,৫৫৩ মেট্রিক টন ড্রাগন।
• তৃতীয় স্থানে রাজশাহী, যেখানে উৎপাদন হয়েছে ৪,৪৭৭ মেট্রিক টন।
• বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইন্সিটিউট (বারি) নতুন জাত উদ্ভাবন করেছে, যার নাম বারি ড্রাগন ফল-১। এটি দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়াতে জনপ্রিয়।
• এ জাতের ফলের আকার বড়, পাকলে খোসার রং লাল হয়, শাঁস গাঢ় গোলাপী রঙের, এবং ফলের প্রকৃতি রসালো।
• বীজগুলো ছোট, কালো এবং নরম।
• একটি ফলের ওজন ১৫০ থেকে ৬০০ গ্রাম পর্যন্ত হতে পারে।
0
Updated: 1 month ago
যমুনা সার কারখানায় কোন সার উৎপন্ন হয়?
Created: 1 month ago
A
ইউরিয়া
B
টিএসপি
C
ডিএপি
D
সালফেট
যমুনা ফার্টিলাইজার কোম্পানি লিমিটেড বাংলাদেশের অন্যতম বৃহৎ সার উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান, যা দেশের কৃষিক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
-
প্রতিষ্ঠানটি জামালপুর জেলার সরিষাবাড়ী থানার তারাকান্দি এলাকায়, যমুনা নদী থেকে প্রায় ১০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত।
-
এটি ১৯৯২ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় এবং তখন থেকেই সার উৎপাদনে অবদান রেখে আসছে।
-
এই কারখানায় মূলত ইউরিয়া সার (Urea Fertilizer) উৎপাদন করা হয়, যা বাংলাদেশের কৃষি উৎপাদনের জন্য অপরিহার্য।
-
ফ্যাক্টরিটির বার্ষিক উৎপাদন ক্ষমতা প্রায় ৫,৬১,০০০ মেট্রিক টন, যা দেশের সার চাহিদা পূরণে বড় ভূমিকা রাখে।
0
Updated: 1 month ago
দেশের কোন জেলায় সর্ববৃহৎ সৌরবিদ্যুৎ কেন্দ্র অবস্থিত?
Created: 1 month ago
A
চট্টগ্রাম
B
ফেনী
C
নরসিংদী
D
ময়মনসিংহ
দেশের বৃহত্তম সৌরবিদ্যুৎ কেন্দ্র ময়মনসিংহে অবস্থিত এবং এটি দেশের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ পুনর্নবীকরণযোগ্য শক্তি উৎস হিসেবে কাজ করছে।
এই কেন্দ্রের মাধ্যমে বাংলাদেশের বিদ্যুৎ উৎপাদন সক্ষমতা বাড়ানো হচ্ছে এবং পরিবেশ বান্ধব প্রযুক্তি ব্যবহার করে বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত করা হচ্ছে।
-
দেশের সর্ববৃহৎ সৌরবিদ্যুৎ কেন্দ্র ময়মনসিংহের গৌরীপুর উপজেলার সুতিয়াখালীতে অবস্থিত।
-
বাংলাদেশ, মালয়েশিয়া ও সিঙ্গাপুরের যৌথ উদ্যোগে এইচ ডি এফ সি সিন পাওয়ার লিমিটেড ১৭৪ একর জমির ওপর ৮০০ কোটি টাকা ব্যয়ে অত্যাধুনিক প্রযুক্তির পরিবেশ বান্ধব সৌর বিদ্যুৎ উৎপাদন প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে।
-
প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান Huawei Smart Photovoltaic (PV) Install এর মাধ্যমে জাতীয় গ্রিডের সঙ্গে এই সৌরবিদ্যুৎ কেন্দ্র যুক্ত হয়েছে।
-
এই কেন্দ্রের বিদ্যুৎ উৎপাদনের ক্ষমতা ৭৩ মেগাওয়াট, যা দেশের পুনর্নবীকরণযোগ্য শক্তি উৎপাদনে বড় ভূমিকা রাখে।
0
Updated: 1 month ago