‘কাশবনের কন্যা’ কোন জাতীয় রচনা?
A
নাটক
B
কাব্য
C
ছোটগল্প
D
উপন্যাস
উত্তরের বিবরণ
‘কাশবনের কন্যা’ হলো উপন্যাস।
ব্যাখ্যা:
-
এটি শামসুদ্দিন আবুল কালাম রচিত বাংলা সাহিত্যের একটি জনপ্রিয় উপন্যাস।
-
উপন্যাসে গ্রামীণ জীবন, প্রকৃতি, সমাজ ও মানুষের পারস্পরিক সম্পর্কের চিত্র তুলে ধরা হয়েছে।
-
মূল গল্পে কাশবনের কন্যার চরিত্র, তার জীবনসংগ্রাম ও মানসিকতা গল্পের কেন্দ্রীয় ভাব।
-
অন্যান্য বিকল্প যেমন নাটক, কাব্য বা ছোটগল্প এই উপজীব্য বহন করে না।
-
উদাহরণ: “উপন্যাসে গ্রামের দারিদ্র্য, প্রকৃতির সৌন্দর্য ও মানুষের সহানুভূতি সুন্দরভাবে প্রকাশ পেয়েছে।”
-
শিক্ষার্থীরা এই উপন্যাস থেকে গ্রামীণ জীবন, সামাজিক মূল্যবোধ এবং চরিত্রচিত্রের বিশ্লেষণ শিখতে পারে।
-
বাংলা সাহিত্যে শামসুদ্দিন আবুল কালামের এই কাব্যিক ও সামাজিক উপস্থাপনা উপন্যাসের মধ্যে গভীর প্রভাব ফেলেছে।
0
Updated: 11 hours ago
'সূর্য' শব্দের সমার্থক শব্দ -
Created: 1 month ago
A
বিভাবসু
B
সোম
C
মৃগাঙ্ক
D
শশধর
বাংলা ভাষায় সূর্য ও চাঁদ শব্দের সমার্থক শব্দগুলোর তালিকা নিচে দেওয়া হলো।
-
‘সূর্য’ শব্দের সমার্থক: রবি, তপন, ভানু, ভাস্কর, আদিত্য, সবিতা, প্রভাকর, দিবাকর, বিভাবসু, দিনমণি, মার্তণ্ড, অংশুমালী, অরুণ।
-
‘চাঁদ’ শব্দের সমার্থক: চন্দ্র, শশী, শশধর, শশাঙ্ক, বিধু, সোম, নিশাকর, সুধাংশু, সুধাকর, ইন্দু, সিতাংশু, হিমাংশু, মৃগাঙ্ক।
0
Updated: 1 month ago
মাইকেল মধুসূদন দত্ত রচিত হোমারের 'ইলিয়াড' মহাকাব্যের বঙ্গানুবাদ কোনটি?
Created: 1 month ago
A
পদ্মাবতী
B
তিলোত্তমাসম্ভব
C
হেক্টরবধ
D
ব্রজাঙ্গনা
হেক্টরবধ হলো হোমারের 'ইলিয়াড' এর বঙ্গানুবাদ মূলক কাব্য, যা অসমাপ্ত রূপে রচিত।
-
রচনা ও প্রকাশনা: কাব্যটি রচনা করেছেন মাইকেল মধুসূদন দত্ত এবং ১৮৭১ সালে এটি প্রকাশিত হয়।
-
প্রেক্ষাপট: গ্রিক পুরাণে হেক্টর একজন ট্রোজান রাজকুমার এবং ট্রয়ের যুদ্ধে ট্রয় সেনার প্রধান যোদ্ধা ছিলেন।
-
ভূমিকা: হেক্টর ট্রয় রক্ষায় ট্রয় সেনা ও তাঁর মিত্রদের পক্ষে নেতৃত্ব প্রদান করেছিলেন।
মাইকেল মধুসূদন দত্ত:
-
একজন মহাকবি ও নাট্যকার।
-
জন্ম: ২৫ জানুয়ারি, ১৮২৪, যশোর জেলার কপোতাক্ষ নদের তীরে সাগরদাঁড়ি গ্রামে।
-
বাংলা ভাষায় সনেট এবং অমিত্রাক্ষর ছন্দের প্রবর্তক।
0
Updated: 1 month ago
জয়দেবের রচিত 'গীতগোবিন্দম্' কোন ধরনের রচনা?
Created: 2 months ago
A
মহাকাব্য
B
গীতিকাব্য
C
নাট্যকাব্য
D
উপন্যাস
‘গীতগোবিন্দম্’ গীতিকাব্য
-
আদি বৈষ্ণব পদাবলির অনন্য নিদর্শন হলো জয়দেবের রচিত বিখ্যাত সংস্কৃত কাব্য ‘গীতগোবিন্দম্’।
-
এর মূল বিষয়বস্তু রাধাকৃষ্ণের প্রেমলীলা।
-
কাব্যটি ১২ সর্গে বিভক্ত, যাতে ২৪টি গীত ও ২৮৬টি শ্লোক অন্তর্ভুক্ত।
-
প্রতিটি সর্গের নামকরণ হয়েছে ভিন্ন ভিন্ন তত্ত্বনির্দেশক নামে।
-
যদিও কাব্যের নায়ক-নায়িকা রাধা ও কৃষ্ণ, প্রকৃতপক্ষে এতে প্রতিফলিত হয়েছে জীবাত্মা ও পরমাত্মার সম্পর্ক এবং নর-নারীর চিরন্তন প্রেম।
-
রাগভিত্তিক গীতসমূহ এ কাব্যের শ্রেষ্ঠ বৈশিষ্ট্য, যা বাংলা পদাবলি সাহিত্যে গভীর প্রভাব বিস্তার করেছে।
-
বৈষ্ণব সম্প্রদায়সহ সাহিত্যরসিকদের কাছে এটি দীর্ঘকাল পরম শ্রদ্ধার বিষয় ছিল।
-
এর একটি উল্লেখযোগ্য বৈশিষ্ট্য হলো চরণশেষে অন্ত্যমিলের ব্যবহার, যা সংস্কৃত সাহিত্যে অত্যন্ত বিরল।
কবি জয়দেব
-
জয়দেব ছিলেন দ্বাদশ শতকের বাঙালি কবি; তবে তাঁর সাহিত্যভাষা ছিল সংস্কৃত।
-
তাঁর জন্ম পশ্চিমবঙ্গের বীরভূম জেলার অজয় নদ-তীরবর্তী কেন্দুবিল্ব (কেঁদুলি) গ্রামে।
-
কেউ কেউ তাঁকে মিথিলা বা উড়িষ্যা নিবাসী বলেও অভিহিত করেছেন।
-
তিনি সেনরাজা লক্ষ্মণসেনের রাজসভায় ‘পঞ্চরত্ন’-এর অন্যতম ছিলেন।
তথ্যসূত্র: বাংলাপিডিয়া
0
Updated: 2 months ago