‘ইসলামের ইতিহাস ও ঐতিহ্য’ কোন কাব্যের উপজীব্য?
A
দিলরুবা- আব্দুল কাদির
B
সাত সাগরের মাঝি- ফররুখ আহমদ
C
নূরনামা- আব্দুল হাকিম
D
কোনোটিই নয়
উত্তরের বিবরণ
‘ইসলামের ইতিহাস ও ঐতিহ্য’ মূল উপজীব্য কাব্যগ্রন্থ ‘সাত সাগরের মাঝি’।
ব্যাখ্যা:
-
‘সাত সাগরের মাঝি’ কাব্যগ্রন্থের রচয়িতা ফররুখ আহমদ (১৯১৮-১৯৭৪), যিনি বাংলা সাহিত্যে “মুসলিম জাগরণের কবি” হিসেবে পরিচিত।
-
এই কাব্যে তিনি ইসলামের ইতিহাস, ঐতিহ্য, সংস্কৃতি ও আধ্যাত্মিক চেতনার বহিঃপ্রকাশ করেছেন।
-
গ্রন্থে মুসলিম সমাজের গৌরবময় অতীত, বিশ্বাস, আত্মমর্যাদা এবং নবজাগরণের বার্তা তুলে ধরা হয়েছে।
-
উদাহরণ: কবিতায় ইসলামের মহান পুরুষ, ইসলামের নৈতিক ও আধ্যাত্মিক শিক্ষা এবং সামাজিক সংস্কারকে কেন্দ্র করে বিষয় উপস্থাপন।
-
অন্যান্য বিকল্প যেমন ‘দিলরুবা’ (আব্দুল কাদির) বা ‘নূরনামা’ (আব্দুল হাকিম) এই উপজীব্য বহন করে না।
-
শিক্ষার্থীরা এই কাব্যের মাধ্যমে মুসলিম ঐতিহ্য, ইতিহাস এবং সাহিত্যিক ভাবনা সহজে বুঝতে পারে।
-
বাংলা সাহিত্যে ফররুখ আহমদের কাজ মুসলিম জাগরণের চেতনা ও ঐতিহ্য সমৃদ্ধি করে।
0
Updated: 11 hours ago
জসীম উদ্দীনের 'কবর' কবিতাটি কোন কাব্যের অন্তর্গত?
Created: 1 month ago
A
বালুচর
B
রাখালী
C
ধানক্ষেত
D
মা যে জননী কান্দে
কবি জসীম উদ্দীনের ‘কবর’ কবিতা, ‘রাখালী’ কাব্যগ্রন্থ এবং তাঁর জীবন ও সাহিত্যকর্ম নিয়ে নিচে সংক্ষেপে রিরাইট করা হলো। সব তথ্য অপরিবর্তিত রাখা হয়েছে এবং গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় বোল্ড ব্যবহার করা হয়েছে।
‘কবর’ কবিতা জসীম উদ্দীনের প্রথম কাব্যগ্রন্থ ‘রাখালী’ (১৯২৭)-এর অন্তর্গত। কবিতাটি প্রথম প্রকাশিত হয় ‘কল্লোল’ পত্রিকায়। এটি মাত্রাবৃত্ত ছন্দে রচিত এবং এতে মোট ১১৮টি পঙ্ক্তি রয়েছে।
সহজ ও সরল ভাষায় রচিত এই কাহিনীধর্মী কবিতায় এক গ্রামীণ বৃদ্ধ তার জীবনের প্রিয়জন হারানোর বেদনার স্মৃতি ব্যক্ত করেছেন।
জীবনের শেষ প্রান্তে এসে তিনি আপনজনদের হারিয়ে ক্ষতবিক্ষত হৃদয়ে মৃত্যুর জন্য যে অপেক্ষা করছেন, কবি তা গভীর সহানুভূতি দিয়ে প্রকাশ করেছেন।
-
কবর কবিতার সংক্ষিপ্তাংশ
এইখানে তোর দাদির কবর ডালিম-গাছের তলে,
তিরিশ বছর ভিজায়ে রেখেছি দুই নয়নের জলে।
এতটুকু তারে ঘরে এনেছিনু সোনার মতন মুখ,
পুতুলের বিয়ে ভেঙে গেল বলে কেঁদে ভাসাইত বুক।
এখানে ওখানে ঘুরিয়া ফিরিতে ভেবে হইতাম সারা,
সারা বাড়ি ভরি এত সোনা মোর ছড়াইয়া দিল কারা!
সোনালি ঊষার সোনামুখ তার আমার নয়নে ভরি
লাঙল লইয়া খেতে ছুটিতাম গাঁয়ের ও-পথ ধরি।
‘রাখালী’ কাব্যগ্রন্থ
-
জসীম উদ্দীনের প্রথম প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থ।
-
প্রথম প্রকাশিত হয় ১৯২৭ সালে।
-
বইটিতে মোট ১৯টি কবিতা রয়েছে।
-
প্রথম কবিতা হলো ‘রাখালী’।
-
তাঁর বিখ্যাত ‘কবর’ কবিতাও এই গ্রন্থের অন্তর্ভুক্ত।
জসীম উদ্দীন
-
তিনি ছিলেন কবি, কাব্যোপন্যাসিক, ঔপন্যাসিক, গীতিকার, ভ্রমণকাহিনীকার, নাট্যকার, স্মৃতিকথক, প্রাবন্ধিক ও শিশুসাহিত্যিক।
-
জন্ম ১৯০০ সালের ১ জানুয়ারি ফরিদপুর জেলার তাম্বুলখানা গ্রামে মাতুলালয়ে। পৈতৃক নিবাস ছিল একই জেলার গোবিন্দপুর গ্রামে।
-
তাঁর ‘নকশী কাঁথার মাঠ’ এবং ‘সোজন বাদিয়ার ঘাট’ বাংলা ভাষার গীতি-কবিতার উৎকৃষ্ট নিদর্শন।
-
‘বোবা কাহিনী’ তাঁর একমাত্র উপন্যাস।
রচিত কাব্যগ্রন্থ
-
রাখালী
-
নকশী কাঁথার মাঠ
-
বালুচর
-
ধানক্ষেত
-
সোজন বাদিয়ার ঘাট
-
হাসু
-
মাটির কান্না
-
এক পয়সার বাঁশী
-
সবিনা
-
মা যে জননী কান্দে
-
পদ্মা নদীর দেশে ইত্যাদি
রচিত নাটক
-
পদ্মাপার
-
বেদের মেয়ে
-
পাল্লীবধূ ইত্যাদি
রচিত আত্মকথা
-
যাদের দেখেছি
-
ঠাকুর বাড়ির আঙ্গিনায়
-
জীবনকথা ইত্যাদি
রচিত ভ্রমণকাহিনি
-
চাল মুসাফির
-
হলদে পরির দেশে
-
যে দেশে মানুষ বড় ইত্যাদি
0
Updated: 1 month ago
'আমার সন্তান যেন থাকে দুধে-ভাতে' লাইনটি নিম্নোক্ত কোন কাব্যে পাওয়া যায়?
Created: 1 month ago
A
অন্নদামঙ্গল
B
মনসামঙ্গল
C
চণ্ডীমঙ্গল
D
ধর্মমঙ্গল
‘প্রণমিয়া পাটুনী কহিছে জোড় হাতে আমার সন্তান যেন থাকে দুধে ভাতে’ পঙক্তিটি ভারতচন্দ্র রায়গুণাকর রচিত অন্নদামঙ্গল কাব্যের ‘আমার সন্তান’ কবিতার অন্তর্গত। এখানে লেখক ‘আমার সন্তান যেন থাকে দুধে ভাতে’ কথাটি ঈশ্বরী পাটনীর মুখ দিয়ে উপস্থাপন করেছেন।
অন্নদামঙ্গল কাব্য সংক্রান্ত তথ্য:
-
রচয়িতা: ভারতচন্দ্র রায়গুণাকর।
-
তাঁকে মধ্যযুগের প্রথম নাগরিক কবি বলা হয়।
-
প্রধান চরিত্রসমূহ: মানসিংহ, ভবানন্দ, বিদ্যাসুন্দর, মালিনী, ঈশ্বরী পাটনী ইত্যাদি।
-
কাব্যটি তিন খণ্ডে বিভক্ত: শিবনারায়ণ, কালিকামঙ্গল, মানসিংহ-ভবানন্দ খণ্ড।
কাব্যের কিছু বিখ্যাত পঙক্তি হলো:
-
‘মন্ত্রের সাধন কিংবা শরীর পাতন’
-
‘নগর পুড়িলে দেবালয় কি এড়ায়?’
-
‘আমার সন্তান যেন থাকে দুধে ভাতে’
0
Updated: 1 month ago
মুক্তিযুদ্ধের পটভূমিতে রচিত কাব্যগ্রন্থ কোনটি?
Created: 2 months ago
A
নেকড়ে অরণ্য
B
বন্দী শিবির থেকে
C
নিষিদ্ধ লোবান
D
প্রিয়যোদ্ধা প্রিয়তম
‘বন্দী শিবির থেকে’ – শামসুর রহমান
-
১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে শামসুর রহমান ভারতীয় শরণার্থী শিবিরে আশ্রয় নেন।
-
সেই সময় তিনি “মজলুম আদিব” ছদ্মনামে বিভিন্ন দেশের পত্রিকায় লেখা প্রকাশ করতেন।
-
তার লেখা “বন্দী শিবির থেকে” কাব্যগ্রন্থটি ১৯৭২ সালের জানুয়ারিতে কলকাতা থেকে প্রকাশিত হয়।
-
কাব্যগ্রন্থের সব কবিতা মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময়ে রচিত।
-
কাব্যগ্রন্থের শুরুতে ‘পুর্বলেখ’ শিরোনামে কবি রচনার পটভূমি এবং প্রেক্ষাপট বর্ণনা করেছেন।
উল্লেখযোগ্য কবিতা:
-
তোমাকে পাওয়ার জন্য হে স্বাধীনতা
-
স্বাধীনতা তুমি
-
মধুস্মৃতি
-
রক্তাক্ত প্রান্তরে
অন্যান্য মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক সাহিত্যকর্ম
-
শওকত ওসমান – নেকড়ে অরণ্য (উপন্যাস)
-
সৈয়দ শামসুল হক – নিষিদ্ধ লোবান (উপন্যাস)
-
হারুন হাবীব – প্রিয়যোদ্ধা প্রিয়তম (১৯৮২, উপন্যাস), যেখানে বাংলাদেশ ও যুগোস্লাভিয়ার মুক্তিসংগ্রামকে অভিন্ন অনুভূতি ও বিশ্বাসের মাধ্যমে উপস্থাপন করা হয়েছে।
উৎস:বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা, ড. সৌমিত্র শেখর
0
Updated: 2 months ago