সমাসবদ্ধ পদের পরবর্তী অংশকে কি বলা হয়?
A
উত্তর পদ
B
পর পদ
C
দক্ষিণ পদ
D
ক, খ
উত্তরের বিবরণ
সমাসবদ্ধ পদের পরবর্তী অংশকে বলা হয় উত্তর পদ বা পর পদ।
ব্যাখ্যা:
-
সমাসবদ্ধ পদ হলো দুটি বা ততোধিক শব্দের সংমিশ্রণে গঠিত শব্দ, যেখানে এক বা একাধিক উপাদান মূল অর্থ বহন করে।
-
সমাসবদ্ধ পদের অংশগুলোকে সাধারণত দুই ভাগে ভাগ করা হয়—
-
পূর্বপদ: প্রথম অংশ, যা সমাসের প্রারম্ভিক শব্দ।
-
উত্তরপদ বা পরপদ: পরবর্তী অংশ, যা সমাসের শেষ শব্দ এবং প্রায়ই প্রধান অর্থ বহন করে।
-
-
উদাহরণ: “রামকৃষ্ণ” সমাসে, ‘রাম’ হলো পূর্বপদ, ‘কৃষ্ণ’ হলো উত্তরপদ।
-
সমাস বিশ্লেষণ বাংলা ব্যাকরণে গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এটি শব্দগঠন ও বাক্যের অর্থ বোঝায়।
-
শিক্ষার্থীরা উত্তরপদ ও পূর্বপদ বোঝার মাধ্যমে সমাস বিশ্লেষণ ও সঠিক ব্যবহার শিখতে পারে।
-
প্রমিত বাংলা অভিধান অনুযায়ী, সমাসবদ্ধ পদ ও তার অংশের সঠিক নামকরণ বিদ্যমান।
0
Updated: 11 hours ago
‘সেতার’ কোন সমাস?
Created: 2 days ago
A
তৎপুরুষ
B
দ্বন্দ্ব
C
বহুব্রীহি
D
অব্যয়ভাব
‘সেতার’ শব্দটি একটি বহুব্রীহি সমাস, যেখানে দুটি পদ মিলে একটি নতুন অর্থবোধক শব্দ তৈরি হয়েছে যা অন্য কিছুর পরিচায়ক। এই ধরনের সমাসে প্রথম পদ ও দ্বিতীয় পদ একত্রে কোনো গুণ বা ধর্ম প্রকাশ করে, কিন্তু শব্দটি নিজে সেই গুণসম্পন্ন বস্তুকে বোঝায় না।
-
‘সেতার’ শব্দের গঠন: ‘সে’ + ‘তার’। এখানে ‘সে’ মানে তিন বা একাধিক, আর ‘তার’ মানে তারযুক্ত বাদ্যযন্ত্র।
-
অর্থের দিক থেকে: শব্দটির আক্ষরিক অর্থ “তিন তারবিশিষ্ট”, কিন্তু তা দিয়ে বোঝানো হয় এক বিশেষ বাদ্যযন্ত্র, যার তার সাধারণত তিনটির বেশি হয়।
-
বহুব্রীহি সমাসের বৈশিষ্ট্য: এতে সমাসপদে উল্লিখিত পদগুলি অন্য বস্তুকে নির্দেশ করে। যেমন, ‘চতুরানন’ (চার মুখবিশিষ্ট) দ্বারা বোঝায় ব্রহ্মা; ‘ত্রিলোকনাথ’ দ্বারা বোঝায় শিব।
-
সেতার শব্দের প্রকৃতি: শব্দটি নিজের অর্থে নয়, বরং এক বাদ্যযন্ত্রকে বোঝায়—যা বহুব্রীহি সমাসের মূল বৈশিষ্ট্যের সঙ্গে মিলে যায়।
0
Updated: 2 days ago
আশীবিষ" কোন সমাসের উদাহরণ?
Created: 2 months ago
A
বহুবীহি সমাস
B
দ্বিগু সমাস
C
দ্বন্দু সমাস
D
নিত্য সমাস
আশীতে(দাঁতে) বিষ যার-আশীবিষ। এটি ব্যাধিকরণ বহুব্রীহি সমাস। বহুব্রীহি সমাসের পূর্বপদ এবং পরপদ কোনটিই যদি বিশেষণ না হয়, তবে তাকে ব্যাধিকরণ বহুব্রীহি সমাস বলে।
0
Updated: 2 months ago
'কুম্ভকার' কোন সমাস?
Created: 1 month ago
A
মধ্যপদলোপী কর্মধারয়
B
উপপদ তৎপুরুষ
C
ব্যধিকরণ বহুব্রীহি
D
অলুক দ্বন্দ্ব
বাংলা ভাষায় উপপদ তৎপুরুষ সমাস হলো এমন একটি সমাস যেখানে কৃদন্ত পদের সঙ্গে উপপদ যুক্ত থাকে। অর্থাৎ, ক্রিয়ার অর্থপূর্ণ অংশের আগে থাকা পদটিকে উপপদ বলা হয় এবং কৃৎ-প্রত্যয় দ্বারা সমাস তৈরি হয়।
-
উদাহরণস্বরূপ:
অগ্রে গমন করে যে → অগ্রগামী
এখানে 'গামী' স্বতন্ত্রভাবে ব্যবহার হয় না। কেবল অগ্রে গামী বলা সম্ভব নয়; ব্যাক্য হবে 'অগ্রে গমন করে যে'। -
এরূপ উদাহরণ:
ধামা ধরে যে → ধামাধরা
ছেলে ধরে যে → ছেলেধরা -
উপপদ সনাক্ত করার নিয়ম:
কৃৎ-প্রত্যয়যুক্ত শব্দের আগে যদি কোন পদ থাকে, তাকে উপপদ বলা হয়। অথবা, যে পদের পরে ক্রিয়ামূলের সঙ্গে কৃৎ-প্রত্যয় যুক্ত হয়, সেটিও উপপদ হিসেবে গণ্য হয়।
উদাহরণ: কুম্ভকার → কুম্ভ + √কৃ + অ
এখানে 'কুম্ভ' হলো উপপদ। অর্থাৎ কুম্ভ করে যে = কুম্ভকার, যা উপপদ তৎপুরুষ সমাস।
উৎস:
0
Updated: 1 month ago