‘কিরণ’ এর সমার্থক শব্দ নয়
A
রশ্মি
B
রবি
C
কর
D
প্রভা
উত্তরের বিবরণ
‘কিরণ’ এর সমার্থক শব্দ নয় হলো রবি।
ব্যাখ্যা:
-
‘কিরণ’ শব্দের অর্থ হলো সূর্য বা আলো থেকে নির্গত রেখা বা আভা, যা আলোর রশ্মি বা প্রভা নির্দেশ করে।
-
এর সমার্থক শব্দগুলো হলো রশ্মি, কর, অংশু, ময়ূখ, প্রভা ইত্যাদি।
-
অন্যদিকে, ‘রবি’ শব্দের অর্থ হলো সূর্য, যা কিরণের উৎস, কিন্তু কিরণের সঙ্গে সমার্থক নয়।
-
অর্থাৎ, কিরণ সূর্য থেকে উদ্ভূত আলোর রেখা বা আভা, আর রবি সরাসরি সূর্যকে বোঝায়।
-
উদাহরণ: “সূর্যের কিরণ ভোরবেলার আকাশে ছড়িয়ে পড়ল।” এখানে কিরণ = আলো বা রশ্মি।
-
বাংলায় সমার্থক শব্দের সঠিক ব্যবহার শব্দভাণ্ডার সমৃদ্ধ করতে ও লেখায় শুদ্ধতা নিশ্চিত করতে সাহায্য করে।
-
শিক্ষার্থীরা সমার্থক ও বিপরীতার্থক শব্দের পার্থক্য বোঝার মাধ্যমে ভাষাগত দক্ষতা বৃদ্ধি করতে পারে।
0
Updated: 11 hours ago
'আগুন' -এর সমার্থক শব্দ নয় কোনটি?
Created: 2 months ago
A
অনল
B
অংশু
C
হুতাশন
D
বৈশ্বানর
বাখ্যা:
-
‘আগুন’ শব্দের সমার্থক শব্দ হলো:
অগ্নি, অনল, বহ্নি, হুতাশন, পাবক, বৈশ্বানর, দহন, সর্বভুক, শিখা, হোমাগ্নি, কৃশানু, সর্বশুচি, সপ্তাংশু, বিভাবসু।-
এই শব্দগুলো আগুন বা জ্বালানি, দহন বা জ্বলা অর্থে ব্যবহার করা যায়।
-
-
‘কিরণ’ শব্দের সমার্থক শব্দ হলো:
প্রভা, আলো, বিভা, দীপ্তি, কর, অংশু, রশ্মি, জ্যোতি, আলোক, ময়ূখ, ভাতি, রেশন, রশ্মী, নুর, উদ্ভাস ইত্যাদি।-
এই শব্দগুলো আলো, দীপ্তি বা রশ্মি বোঝাতে ব্যবহৃত হয়।
-
সুতরাং, ‘আগুন’ ও ‘কিরণ’ শব্দের বিভিন্ন সমার্থক ব্যবহার বাংলা সাহিত্যে সমৃদ্ধ ব্যঞ্জনা ও অর্থ বহন করে।
0
Updated: 2 months ago
'সূর্য' শব্দের সমার্থক নয় নিচের কোনটি?
Created: 2 weeks ago
A
সুধাংশু
B
আদিত্য
C
ভাস্কর
D
মার্তন্ড
উ. ক) সুধাংশু
‘সূর্য’ শব্দটি বাংলা ভাষায় আলোক ও শক্তির প্রতীক হিসেবে ব্যবহৃত হয়। এর একাধিক সমার্থক শব্দ রয়েছে, যা সংস্কৃত ও প্রাচীন বাংলা থেকে উদ্ভূত। এই প্রশ্নে প্রদত্ত বিকল্পগুলোর মধ্যে তিনটি শব্দ সূর্যের অর্থ প্রকাশ করে, কিন্তু একটি শব্দ চাঁদ অর্থে ব্যবহৃত হয়, যা সূর্যের সমার্থক নয়।
সুধাংশু শব্দের অর্থ হলো চাঁদ। এই শব্দটি দুটি অংশে গঠিত—“সুধা” অর্থাৎ অমৃত বা মধুর রস এবং “অংশু” অর্থাৎ রশ্মি। অর্থাৎ সুধাংশু মানে হলো অমৃতরশ্মিধারী বা চন্দ্র। তাই এটি সূর্যের সমার্থক নয়। অন্যদিকে বাকি তিনটি শব্দ সূর্যের সঙ্গে সম্পর্কিত।
আদিত্য শব্দটি সংস্কৃত উৎস থেকে এসেছে, যার অর্থ সূর্যদেব। হিন্দু পুরাণে আদিত্যকে সূর্যের আরেক নাম হিসেবে বর্ণনা করা হয়েছে। সূর্যের বারোটি ভিন্ন রূপ বা আদিত্যর উল্লেখও পাওয়া যায়, যেমন মিত্র, বরুণ, আর্যমান ইত্যাদি।
ভাস্কর শব্দের অর্থ হলো “আলোকদাতা” বা “যিনি আলো ছড়ান”। এই নামটি সরাসরি সূর্যের সঙ্গে যুক্ত, কারণ সূর্য পৃথিবীতে আলো ও তাপের উৎস।
মার্তণ্ড শব্দটিও সংস্কৃতজাত এবং এর অর্থ সূর্য। পুরাণে মার্তণ্ডকে বলা হয় আদিতির অষ্টম পুত্র, যিনি সূর্যদেব রূপে প্রকাশিত হন।
বাংলা সাহিত্য ও সংস্কৃত সাহিত্যে সূর্যকে বিভিন্ন নামে ডাকা হয়—আদিত্য, দিনকর, দিবাকর, ভাস্কর, তপন, তপস্বী, তেজস্বী ইত্যাদি। এই নামগুলো সূর্যের বিভিন্ন গুণ বা কার্যকে প্রকাশ করে। যেমন, দিনকর মানে যিনি দিন সৃষ্টি করেন, দিবাকর মানে যিনি আলোর উদয় ঘটান।
অন্যদিকে, চাঁদের জন্য ব্যবহৃত নামগুলো হলো সুধাংশু, শশী, হেমাংশু, রজনীশ, ইন্দু, চন্দ্র ইত্যাদি। এগুলো রাতের আলোক উৎসকে বোঝায়। তাই প্রশ্নে প্রদত্ত বিকল্পগুলোর মধ্যে সুধাংশু একমাত্র শব্দ যা সূর্যের নয়, বরং চাঁদের সমার্থক।
এই পার্থক্যটি বোঝা গুরুত্বপূর্ণ, কারণ সাহিত্য ও কাব্যে সূর্য ও চাঁদের প্রতীকী ব্যবহার ভিন্ন। সূর্যকে সাধারণত শক্তি, জাগরণ, জীবন ও কর্মের প্রতীক হিসেবে দেখা হয়, আর চাঁদকে কোমলতা, সৌন্দর্য ও ভালোবাসার প্রতীক হিসেবে ব্যবহার করা হয়।
সুতরাং “স্মৃতিঝলমল সুনীল মাটির কাছে আমার অনেক ঋণ আছে” প্রশ্নের মতোই, এখানে ভাষার নিখুঁত অর্থবোধক জ্ঞান প্রয়োজন। প্রদত্ত বিকল্পগুলোর মধ্যে সুধাংশু সূর্যের সমার্থক নয়, বরং চন্দ্রের নাম। তাই সঠিক উত্তর হলো ক) সুধাংশু।
0
Updated: 2 weeks ago
‘গঙ্গা’ শব্দের সমার্থক শব্দ কোনটি?
Created: 1 month ago
A
গোমতি
B
কৃষ্ণবেণী
C
কাবেরী
D
সবগুলো
গঙ্গা শব্দের সমার্থক শব্দ হলো - ভাগীরথী,গোমতি,কাবেরি কৃষ্ণবেণী,শিবপত্নী,পিনাকিনী,কাবেরী। তাই উওর সবগুলো হবে
0
Updated: 1 month ago