‘ব্যাঙের সর্দি’ বাগধারার অর্থ হলো অসম্ভব ব্যাপার।
অন্যদিকে,
-
‘বিড়াল তপস্বী’ বাগধারার অর্থ ভণ্ড লোক।
-
‘বকধার্মিক’ বাগধারার অর্থ ভণ্ড লোক।
-
‘একাদশে বৃহস্পতি’ বাগধারার অর্থ সৌভাগ্যের বিষয়।
-
‘অকাল কুষ্মাণ্ড’ বাগধারার অর্থ অপদার্থ বা অকেজো।
‘বড়র পীরিত বালির বাঁধ’ বাগধারাটির সঠিক অর্থ
A
কোন বাধ্যবাধকতা নেই
B
একতরফা
C
চাপের মুখের ভেঙ্গে যায়
D
ভঙ্গুর
উত্তরের বিবরণ
‘বড়র পীরিত বালির বাঁধ’ বাগধারার সঠিক অর্থ হলো ভঙ্গুর।
ব্যাখ্যা:
এই বাগধারায় তুলনা করা হয়েছে বালির বাঁধের সঙ্গে, যা খুবই অস্থায়ী এবং সামান্য জলের চাপেই ভেঙে যায়।
এখানে অর্থনৈতিক বা সামাজিক প্রেক্ষাপটে, বড়লোক বা প্রভাবশালী ব্যক্তির স্নেহ, মমতা, ভালোবাসা বা আশ্রয়কে বালির বাঁধের সঙ্গে তুলনা করা হয়েছে।
অর্থাৎ, যেসব সম্পর্ক বা সুবিধা স্বার্থের ওপর নির্ভরশীল, তা টেকসই নয়। স্বার্থ ফুরালেই সেই সম্পর্ক বা সহায়তা ভেঙে যায়।
উদাহরণ: “বড়লোকের সহায়তা বড় সমস্যার সময়ও স্থায়ী নয়, এটি বড়র পীরিত বালির বাঁধের মতো ভঙ্গুর।”
বাগধারার মাধ্যমে সমাজের বাস্তবতা, মানুষের স্বার্থপর প্রকৃতি ও অস্থায়ী সম্পর্ক বোঝানো হয়েছে।
শিক্ষার্থীরা এটি ব্যবহার করে সামাজিক বা ব্যক্তিগত জীবনের অস্থায়ী সহায়তা ও সম্পর্কের প্রকৃতি সহজভাবে ব্যাখ্যা করতে পারে।
বাংলা সাহিত্য ও লোকসংস্কৃতিতে এই ধরনের বাগধারা প্রচলিত।
0
Updated: 11 hours ago
'হাত ধুয়ে বসা'- বাগধারার অর্থ কি?
Created: 2 weeks ago
A
দায়িত্ব না রাখা
B
শুরু করা
C
ভন্ডামী করা
D
অপেক্ষা করা
বাংলা ভাষায় ‘হাত ধুয়ে বসা’ একটি প্রচলিত ও অর্থবহ বাগধারা, যা কোনো কাজ বা দায়িত্ব থেকে সম্পূর্ণভাবে নিজেকে সরিয়ে নেওয়া বা দায়িত্বহীন আচরণ করা বোঝাতে ব্যবহৃত হয়। এই বাগধারাটি সাধারণত এমন ব্যক্তির ক্ষেত্রে প্রয়োগ করা হয়, যিনি কোনো দায়িত্ব বা কর্তব্যে যুক্ত ছিলেন কিন্তু পরবর্তীতে তা আর পালন করতে চান না, বরং দায় এড়িয়ে নির্বিকারভাবে বসে থাকেন।
এই অর্থেই সঠিক উত্তর — (ক) দায়িত্ব না রাখা।
বাগধারাটি বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়—
অর্থগত দিক থেকে:
“হাত ধোয়া” সাধারণত কোনো কাজ শেষ করার বা কাজ থেকে মুক্ত হওয়ার প্রতীক। প্রাচীনকাল থেকে মানুষ হাত ধোয়ার মাধ্যমে কোনো কাজের সমাপ্তি বা পবিত্রতা প্রকাশ করত। সেই ধারণা থেকেই “হাত ধুয়ে বসা” রূপকভাবে ব্যবহৃত হয়েছে এমন অবস্থায়, যখন কেউ দায়িত্ব বা কর্তব্য থেকে নিজেকে সম্পূর্ণ মুক্ত ঘোষণা করে। অর্থাৎ, কাজ বা দায়িত্ব আছে, কিন্তু ব্যক্তি সেটি আর পালন করতে চান না; বরং নিজেকে দায়িত্বমুক্ত ভেবে নির্লিপ্ত থাকেন।
প্রায়োগিক দিক থেকে:
কোনো প্রশাসনিক বা পারিবারিক দায়িত্বে থাকা ব্যক্তি যদি সমস্যা চলাকালীন সময়ে বলেন, “আমি আর কিছু করতে পারব না, হাত ধুয়ে বসেছি,” তার মানে তিনি আর দায়িত্ব নিচ্ছেন না।
আবার সমাজ বা রাজনীতির ক্ষেত্রে এই বাগধারাটি ব্যবহার হয় এমন অবস্থায়, যখন কেউ ইচ্ছাকৃতভাবে কর্তব্য এড়িয়ে চলে বা সমস্যা সমাধানের উদ্যোগ নেয় না।
উদাহরণ:
কর্তৃপক্ষ বিষয়টি নিয়ে হাত ধুয়ে বসেছে, কেউই আর কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছে না।
নিজের কাজের ফলাফল খারাপ দেখেই সে হাত ধুয়ে বসে পড়েছে, কোনো চেষ্টা করছে না।
রূপক ব্যাখ্যা:
এই বাগধারাটি একধরনের অলংকারমূলক অভিব্যক্তি, যেখানে “হাত ধোয়া” মানে হলো দায়িত্ব থেকে সরে যাওয়া এবং “বসা” মানে হলো নিষ্ক্রিয় বা উদাসীন অবস্থায় থাকা। ফলে একত্রে এর অর্থ দাঁড়ায়— দায়িত্বহীনভাবে কাজ থেকে সরে গিয়ে নীরব থাকা।
অন্য বিকল্পগুলোর ভুল ব্যাখ্যা:
শুরু করা (খ): এটি “হাত লাগানো” বাগধারার অর্থের সঙ্গে সম্পর্কিত, “হাত ধুয়ে বসা”-এর বিপরীত।
ভণ্ডামী করা (গ): এটি “পানিপড়া মুখে দেওয়া” বা “চালাকি করা”-এর ধরণের বাগধারার সাথে সম্পর্কিত।
অপেক্ষা করা (ঘ): এটি “চেয়ে থাকা” বা “অপেক্ষায় বসে থাকা”-এর অর্থে ব্যবহৃত হয়, যা এখানে প্রযোজ্য নয়।
অতএব, ‘হাত ধুয়ে বসা’ বাগধারার প্রকৃত অর্থ হলো দায়িত্ব বা কর্তব্য ত্যাগ করা, দায়িত্ব না রাখা এবং নিজেকে সম্পূর্ণভাবে সরিয়ে নেওয়া। এটি এমন একটি অভিব্যক্তি যা উদাসীনতা ও দায়িত্বহীনতার চিত্র তুলে ধরে।
0
Updated: 2 weeks ago
‘হাতে দূর্বা গজানো’ বাগধারাটির অর্থ কী?
Created: 2 months ago
A
ছন্নছাড়া
B
অলুক্ষণে
C
আলসেমির লক্ষণ
D
অতিশয় দূর্বল
হাড় হাভাতে - বাগধারার অর্থ হলো - লক্ষীছাড়া, কুলক্ষুণে বা অলুক্ষণে। তালপাতার সেপাই - বাগধারার অর্থ হলো - অতিশয় দুর্বল। সঠিক উত্তর - আলসেমির লক্ষণ।
0
Updated: 2 months ago
‘ব্যাঙের সর্দি’ বাগ্ধারাটির অর্থ -
Created: 1 month ago
A
সৌভাগ্যের বিষয়
B
ভণ্ড লোক
C
অসম্ভব ব্যাপার
D
অপদার্থ
0
Updated: 1 month ago