‘তিনি ব্যাকরণে পণ্ডিত’- বাক্যে নিম্নরেখ শব্দটি কোন কারকে কোন বিভক্তি?
A
অধিকরণে ৭মী
B
কর্মে ৭মী
C
করণে ৭
D
অপাদানে ৭মী
উত্তরের বিবরণ
‘ব্যাকরণে’ শব্দের কারক হলো অধিকরণে এবং বিভক্তি হলো সপ্তমী (ে)।
ব্যাখ্যা:
-
বাক্যে ‘তিনি ব্যাকরণে পণ্ডিত’ বলতে বোঝানো হয়েছে যে তিনি কোন বিষয়ে দক্ষ বা প্রজ্ঞাবান, অর্থাৎ ব্যাকরণে।
-
এখানে ‘ব্যাকরণ’ হলো যে বিষয়ে পণ্ডিতা অর্জিত হয়েছে, তাই এটি অধিকরণ কারক।
-
‘ে’ বিভক্তি যোগের মাধ্যমে সপ্তমী নির্দেশিত হয়েছে, যা বিষয় বা কৌশলের ক্ষেত্রে দক্ষতা নির্দেশ করে।
-
উদাহরণ: “তিনি গণিতেও পণ্ডিত,” এখানে ‘গণিতেও’ শব্দও একইভাবে অধিকরণ কারক।
-
বাংলায় অধিকরণ কারক সাধারণত শিক্ষাগত, শিল্পকৌশল বা জ্ঞানসংক্রান্ত দক্ষতা বোঝাতে ব্যবহৃত হয়।
-
শিক্ষার্থীদের জন্য এটি কারক এবং বিভক্তি বোঝার গুরুত্বপূর্ণ উদাহরণ।
0
Updated: 11 hours ago
‘গরুতে দুধ দেয়’ বাক্যে ‘গরুতে’ কোন কারকে কোন বিভক্তি?
Created: 1 month ago
A
করণে সপ্তমী
B
কর্তৃকারকে সপ্তমী
C
অপাদানে সপ্তমী
D
অধিকরণে সপ্তমী
ব্যাকরণে, বাক্যস্থিত যে বিশেষ্য বা সর্বনাম পদ ক্রিয়া সম্পন্ন করে তাকে ক্রিয়ার কর্তা বা কর্তৃকারক বলা হয়। ক্রিয়ার সঙ্গে 'কে' বা 'কারা' যোগ করে প্রশ্ন করলে যে উত্তর পাওয়া যায়, তা কর্তৃকারককে নির্দেশ করে।
একে "কর্তাকারক"ও বলা হয়। উদাহরণ: খোকা বই পড়ে। (কে বই পড়ে? খোকা - কর্তৃকারক)। মেয়েরা ফুল তোলে। (কে ফুল তোলে? মেয়েরা - কর্তৃকারক)।
0
Updated: 1 month ago
কারক কত প্রকার?
Created: 2 weeks ago
A
চার প্রকার
B
পাঁচ প্রকার
C
ছয় প্রকার
D
সাত প্রকার
উ. গ) ছয় প্রকার
বাংলা ব্যাকরণে কারক এমন একটি গুরুত্বপূর্ণ ব্যাকরণিক উপাদান যা ক্রিয়ার সঙ্গে বাক্যের অন্যান্য শব্দের সম্পর্ক নির্দেশ করে। এটি মূলত বাক্যের গঠনকে অর্থবহ করে তোলে এবং শব্দগুলোর পারস্পরিক সম্পর্ক স্পষ্ট করে। কারক ছাড়া কোনো বাক্যের কাঠামো সম্পূর্ণ হয় না, কারণ এটি কর্তা, কর্ম, দাতা, গ্রহীতা, স্থান বা মাধ্যমের সম্পর্ক নির্ধারণ করে।
বাংলা ভাষায় ছয় প্রকার কারক রয়েছে, প্রতিটি কারকের নিজস্ব ভূমিকা ও অর্থ প্রকাশের ক্ষমতা আছে। নিচে সংক্ষেপে প্রতিটি কারকের বর্ণনা দেওয়া হলো।
কর্তৃকারক ক্রিয়ার কর্তা বা কাজ সম্পাদনকারীকে নির্দেশ করে। যেমন—রহিম বই পড়ে। এখানে ‘রহিম’ কর্তৃকারক।
কর্মকারক ক্রিয়ার দ্বারা যে বস্তু বা ব্যক্তি প্রভাবিত হয়, তাকে কর্মকারক বলে। যেমন—সে ফল খায়। এখানে ‘ফল’ কর্মকারক।
সম্প্রদান কারক যাকে কোনো কিছু দেওয়া হয় বা যার জন্য কাজটি করা হয়, তাকে সম্প্রদান কারক বলা হয়। যেমন—আমি ভাইকে কলম দিলাম। এখানে ‘ভাইকে’ সম্প্রদান কারক।
অপাদান কারক যেখান থেকে কোনো কিছু বিচ্ছিন্ন হয় বা আলাদা হয়, তাকে অপাদান কারক বলে। যেমন—গাছ থেকে ফল পড়ল। এখানে ‘গাছ থেকে’ অপাদান কারক।
অধিকরণ কারক কোনো কাজ সংঘটনের স্থান বা সময় নির্দেশ করে। যেমন—ছেলেটি মাঠে খেলছে। এখানে ‘মাঠে’ অধিকরণ কারক।
অধিকরন কারক (করণ কারক নামেও পরিচিত) কোনো কাজ সম্পাদনের উপায় বা যন্ত্র নির্দেশ করে। যেমন—সে কলম দিয়ে লেখে। এখানে ‘কলম দিয়ে’ অধিকরন কারক।
এই ছয়টি কারকই বাক্যে শব্দগুলোর সম্পর্ককে স্পষ্ট ও সুনির্দিষ্টভাবে প্রকাশ করে। বাংলা ভাষায় কিছু ব্যাকরণবিদ সাতটি কারক উল্লেখ করলেও মূলত অধিকাংশ গ্রন্থে ছয়টি কারককেই গ্রহণ করা হয়েছে। কারকের সঠিক প্রয়োগ ভাষার গঠন ও ভাব প্রকাশে শুদ্ধতা আনে।
কারক শেখার মাধ্যমে আমরা জানতে পারি, একটি বাক্যে কোন শব্দ ক্রিয়ার কর্তা, কোনটি কর্ম, কার জন্য বা কার দ্বারা কাজটি হচ্ছে, কোথায় এবং কীভাবে তা সম্পন্ন হচ্ছে। তাই ভাষা ব্যবহারের ক্ষেত্রে কারকের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এটি শুধু ব্যাকরণিক সম্পর্কই নয়, অর্থের গভীরতাও প্রতিষ্ঠিত করে।
0
Updated: 2 weeks ago
দোষী ছাত্রটিকে জরিমানা করা হয়েছে।- এখানে ‘ছাত্রটিকে’ কোন কারকে কোন বিভক্তি?
Created: 2 months ago
A
কর্তায় দ্বিতীয়া
B
করণে দ্বিতীয়া
C
অধিকরণে দ্বিতীয়া
D
কর্মকারকে
কর্মকারকে দ্বিতীয়া বিভক্তি দোষী ছাত্রটিকে জরিমানা করা হয়েছে। দ্বিতীয়া বিভক্তির উদারহণ একবচন - অ, এ, (য়) তে, এতে। বহুবচন - রা, এরা, গুলি (গুলো) গণ।
0
Updated: 2 months ago