নীল যে অম্বর = নীলাম্বর- কোন সমাস?
A
বহুব্রীহি
B
তৎপুরুষ
C
কর্মধারয়
D
অব্যয়ীভাব
উত্তরের বিবরণ
‘নীলাম্বর’ শব্দের সমাস হলো কর্মধারয়।
ব্যাখ্যা:
-
কর্মধারয় সমাসে বিশেষণের সাথে বিশেষ্য সমাসিত হয় এবং পরপদের অর্থ প্রাধান্য পায়।
-
‘নীলাম্বর’ শব্দটি বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়—‘নীল’ হলো বিশেষণ, ‘অম্বর’ হলো বিশেষ্য। একত্রে এর অর্থ হলো ‘নীল রঙের আকাশ’।
-
উদাহরণস্বরূপ:
-
‘রাঙামাটি’ = রাঙা + মাটি
-
‘নীল দরিয়া’ = নীল + দরিয়া
-
-
অর্থাৎ বিশেষণ + বিশেষ্য সমাসিত হয়ে কর্মধারয় সমাস তৈরি করে, যেখানে বিশেষ্য প্রধান অর্থ বহন করে।
-
কর্মধারয় সমাস বাংলা ব্যাকরণে বিশেষণ ও বিশেষ্যের সংমিশ্রণে সাধারণভাবে ব্যবহৃত হয়।
-
শিক্ষার্থীদের জন্য এটি শব্দগঠন ও সমাসবোধন বুঝতে সহায়ক।
0
Updated: 11 hours ago
'কুম্ভকার' কোন সমাস?
Created: 1 month ago
A
মধ্যপদলোপী কর্মধারয়
B
উপপদ তৎপুরুষ
C
ব্যধিকরণ বহুব্রীহি
D
অলুক দ্বন্দ্ব
বাংলা ভাষায় উপপদ তৎপুরুষ সমাস হলো এমন একটি সমাস যেখানে কৃদন্ত পদের সঙ্গে উপপদ যুক্ত থাকে। অর্থাৎ, ক্রিয়ার অর্থপূর্ণ অংশের আগে থাকা পদটিকে উপপদ বলা হয় এবং কৃৎ-প্রত্যয় দ্বারা সমাস তৈরি হয়।
-
উদাহরণস্বরূপ:
অগ্রে গমন করে যে → অগ্রগামী
এখানে 'গামী' স্বতন্ত্রভাবে ব্যবহার হয় না। কেবল অগ্রে গামী বলা সম্ভব নয়; ব্যাক্য হবে 'অগ্রে গমন করে যে'। -
এরূপ উদাহরণ:
ধামা ধরে যে → ধামাধরা
ছেলে ধরে যে → ছেলেধরা -
উপপদ সনাক্ত করার নিয়ম:
কৃৎ-প্রত্যয়যুক্ত শব্দের আগে যদি কোন পদ থাকে, তাকে উপপদ বলা হয়। অথবা, যে পদের পরে ক্রিয়ামূলের সঙ্গে কৃৎ-প্রত্যয় যুক্ত হয়, সেটিও উপপদ হিসেবে গণ্য হয়।
উদাহরণ: কুম্ভকার → কুম্ভ + √কৃ + অ
এখানে 'কুম্ভ' হলো উপপদ। অর্থাৎ কুম্ভ করে যে = কুম্ভকার, যা উপপদ তৎপুরুষ সমাস।
উৎস:
0
Updated: 1 month ago
সমাস শব্দের অর্থ কী?
Created: 1 month ago
A
সংক্ষেপণ
B
সমন্বয়
C
দুর্বোধ্য
D
ভাষান্তরকরণ
সমাস শব্দের অর্থ সংক্ষেপণ। সমাস শব্দের অর্থ সংক্ষেপ, সমর্থন, সংগ্রহ, মিলন, একাধিক পদের একপদীকরণ । বাংলা ভাষায় ব্যবহৃত অর্থসম্বন্ধযুক্ত একাধিক পদের একটি পদে পরিণত হওয়ার প্রক্রিয়াকে সমাস বলে।
বাংলা ভাষায় যে সকল প্রক্রিয়ায় নতুন পদ বা শব্দ তৈরি হয় সমাস তার একটি। সমাসের রীতি সংস্কৃত থেকে বাংলায় এসেছে। যেমন: দোয়াত ও কলম = দোয়াতকলম, পীত অম্বর যার = পীতাম্বর (শ্রীকৃষ্ণ)।
0
Updated: 1 month ago
‘লাঠালাঠি’ কোন সমাস?
Created: 5 hours ago
A
প্রাদি সমাস
B
তৎপুরুষ সমাস
C
ব্যতিহার বহুব্রীহি সমাস
D
কর্মধারয় সমাস
লাঠালাঠি হলো ব্যতিহার বহুব্রীহি সমাস।
-
“লাঠালাঠি” শব্দটি দুটি শব্দ “লাঠি + লাঠি” মিলিত হয়ে গঠিত।
-
এটি বহুব্রীহি সমাসের উদাহরণ, কারণ দুটি পৃথক শব্দ একত্রিত হয়ে নতুন অর্থ ধারণ করে, যা প্রতিটি শব্দের মূল অর্থ থেকে আলাদা।
-
এই সমাসে মিলিত শব্দগুলো মূলত পরস্পরের পরিপূরক বা সম্পূরক অর্থ বহন করে।
-
উদাহরণ: বাচ্চারা আড্ডায় লাঠালাঠি খেলছে, এখানে লাঠালাঠি মানে হলো খেলাধুলার সময় লাঠি দিয়ে আক্রমণাত্মক খেলা।
-
তৎপুরুষ, প্রাদি বা কর্মধারয় সমাসের সঙ্গে এটি ভিন্ন, কারণ সেই সমাসগুলোতে প্রথম বা দ্বিতীয় শব্দ প্রধান অর্থ বা ক্রিয়ার নির্দেশক হিসেবে থাকে।
-
বাংলা সাহিত্য ও কথ্য ভাষায় বহুব্রীহি সমাসের ব্যবহার সচরাচর দেখা যায়, যা শব্দের ভাব বা রস বৃদ্ধি করে।
-
“লাঠালাঠি” শব্দটি সাধারণত খেলাধুলা বা মারামারি বোঝাতে ব্যবহৃত হয়।
0
Updated: 5 hours ago