দুধে কোন ধরনের অ্যাসিড থাকে?
A
অ্যাসিটিক অ্যাসিড
B
সাইট্রিক অ্যাসিড
C
ল্যাকটিক অ্যাসিড
D
টারটারিক অ্যাসিড
উত্তরের বিবরণ
দুধে থাকা ল্যাকটিক অ্যাসিড হলো এক প্রকার জৈব অ্যাসিড যা মূলত দুধ টক হয়ে গেলে তৈরি হয়। এটি দুধের প্রাকৃতিক উপাদান এবং খাদ্য ও পুষ্টি বিজ্ঞানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
-
ল্যাকটিক অ্যাসিড উৎপত্তি: দুধে উপস্থিত ব্যাকটেরিয়া যেমন Lactobacillus বা Streptococcus lactis দুধের ল্যাকটোজ (দুধের চিনি) ভেঙে ল্যাকটিক অ্যাসিড তৈরি করে।
-
রাসায়নিক সংকেত: ল্যাকটিক অ্যাসিডের রাসায়নিক সংকেত হলো C₃H₆O₃।
-
প্রক্রিয়া: দুধ রেখে দিলে ব্যাকটেরিয়াগুলো সক্রিয় হয়ে ল্যাকটোজকে গাঁজন প্রক্রিয়ায় ভেঙে ফেলে, ফলে দুধের স্বাদ টক হয়ে যায়।
-
গুরুত্ব: এই অ্যাসিড দুধকে দইয়ে রূপান্তর করতে সাহায্য করে এবং খাবারে প্রোবায়োটিক গুণ যুক্ত করে।
-
ব্যবহার: খাদ্যশিল্পে ল্যাকটিক অ্যাসিড ব্যবহৃত হয় দই, চিজ, ও অন্যান্য দুগ্ধজাত পণ্যে টকভাব ও সংরক্ষণক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য।
-
স্বাস্থ্য উপকারিতা: এটি হজমে সাহায্য করে, রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় এবং অন্ত্রের উপকারী ব্যাকটেরিয়ার বৃদ্ধি করে।
0
Updated: 11 hours ago
আমলকী ফলে কোন এসিড বিদ্যমান?
Created: 1 month ago
A
এসকরবিক এসিড
B
এসিটিক এসিড
C
ল্যাকটিক এসিড
D
হাইড্রোক্লোরিক এসিড
এসিটিক এসিড (Acetic Acid, CH₃COOH):
-
আম, জলপাই ইত্যাদি আচার সংরক্ষণের জন্য ভিনেগার বা এসিটিক এসিড ব্যবহার করা হয়।
হাইড্রোক্লোরিক এসিড (Hydrochloric Acid, HCl):
-
মাংস, পোলাও, বিরিয়ানি জাতীয় খাবার খাওয়ার পর আমাদের পাকস্থলীতে নির্দিষ্ট পরিমাণ HCl প্রয়োজন।
-
কোমল পানীয় অল্প মাত্রায় এসিডিক হওয়ায়, গুরুপাক খাবারের পর এটি হজম প্রক্রিয়ায় হাইড্রোক্লোরিক এসিড তৈরিতে সাহায্য করে।
এসকরবিক এসিড (Ascorbic Acid, C₆H₈O₆):
-
লেবু, কমলা, আপেল, পেয়ারা, আমলকী ইত্যাদি ফলের মধ্যে থাকে।
-
ভিটামিন C হিসেবে কাজ করে, দেহের ক্ষত সারাতে সাহায্য করে।
-
এর অভাবে শরীরে স্কার্ভি রোগ হতে পারে।
ল্যাকটিক এসিড (Lactic Acid, CH₃-CH(OH)-COOH):
-
দই, বোরহানি, বা কোমল পানীয়তে থাকে।
-
হজম শক্তিতে সাহায্য করে।
-
কেক, বিস্কুট, পাউরুটি বেকিং সোডা (NaHCO₃) ব্যবহার করে ফোলা হয়।
-
তাপ দিলে বেকিং সোডা ভেঙে কার্বন ডাই-অক্সাইড উৎপন্ন করে, যা কেক, বিস্কুট, পাউরুটি ফুলিয়ে তোলে।
0
Updated: 1 month ago
তেঁতুলে কোন জৈব এসিড বিদ্যমান?
Created: 1 month ago
A
টারটারিক এসিড
B
ল্যাকটিক এসিড
C
কার্বনিক এসিড
D
ইথানোয়িক এসিড
জৈব ও অজৈব এসিড আমাদের দৈনন্দিন জীবনে বিভিন্নভাবে পাওয়া যায় এবং এগুলোর ব্যবহার ও প্রভাবও ভিন্ন। নিচে এর প্রধান উদাহরণগুলো দেওয়া হলো।
জৈব এসিড
-
জলপাই, করমচা, আমলকি, কাঁচা আমড়া ও লেবুতে সাইট্রিক এসিড থাকে।
-
তেঁতুলে পাওয়া যায় টারটারিক এসিড।
-
টকদইয়ের মধ্যে থাকে ল্যাকটিক এসিড।
-
বাজারে কাঁচের বোতলে যে ভিনেগার পাওয়া যায় তা আসলে ইথানোয়িক এসিড (CH3COOH)-এর ৬-১০% জলীয় দ্রবণ।
-
বাজারে পাওয়া সফট ড্রিংকস আসলে কার্বনিক এসিড-এর দ্রবণ।
-
পাকস্থলির দেয়াল থেকে উৎপন্ন হয় হাইড্রোক্লোরিক এসিড (HCl), যা খাদ্য পরিপাকে সাহায্য করে এবং ক্ষতিকারক অণুজীব ধ্বংস করে। তবে অতিরিক্ত এসিড উৎপন্ন হলে বুক জ্বালা বা গলায় জ্বালাপোড়া হয়। সে ক্ষেত্রে সোডিয়াম হাইড্রোজেন কার্বনেট (NaHCO3) অথবা এন্টাসিড জাতীয় ওষুধ ব্যবহার করা হয় এসিডকে নিরপেক্ষ করার জন্য।
অজৈব এসিড
-
হাইড্রোক্লোরিক এসিড (HCl), নাইট্রিক এসিড (HNO3) ও সালফিউরিক এসিড (H2SO4) অজৈব এসিডের উদাহরণ।
-
এদের পানিতে বিভিন্ন অনুপাতে মিশিয়ে দ্রবণ প্রস্তুত করা হয়।
-
কেবলমাত্র জলীয় দ্রবণ অবস্থায় এরা এসিড ধর্ম প্রদর্শন করে।
-
হাইড্রোজেন ক্লোরাইড গ্যাস-এর নিজস্ব কোনো এসিড ধর্ম নেই, তবে পানিতে দ্রবীভূত হলে এটি হাইড্রোক্লোরিক এসিড তৈরি করে।
0
Updated: 1 month ago