সমাসের রীতি কোন ভাষা থেকে আগত?
A
আরবি
B
ফারসি
C
সংস্কৃত
D
ইংরেজি
উত্তরের বিবরণ
সমাসের রীতি মূলত সংস্কৃত ভাষা থেকে আগত।
ব্যাখ্যা:
-
বাংলা ভাষায় সমাস ব্যবহারের রীতি সংস্কৃত ব্যাকরণ ও সাহিত্য থেকে ধার করা হয়েছে।
-
সমাস বলতে বোঝায় দুটি বা ততোধিক শব্দের সংমিশ্রণে একটি নতুন শব্দ তৈরি হওয়া, যা অর্থ, ব্যবহার ও ধ্বনিগত সৌন্দর্য বৃদ্ধি করে।
-
সমাসের বিভিন্ন ধরণ যেমন: তৎপুরুষ, দ্বন্দ্ব, বহুব্রীহি, ক্ষুদ্রসমাস—সবই সংস্কৃত ব্যাকরণ থেকে আগত।
-
এছাড়া বাংলা ব্যাকরণের অন্যান্য বিষয় যেমন কারক, বচন, সন্ধি, বাচ্য, ক্রিয়া, পদবিন্যাস প্রায় সবই সংস্কৃত থেকে ধারাবাহিকভাবে এসেছে।
-
অন্যান্য ভাষা যেমন আরবি, ফারসি বা ইংরেজি থেকে কিছু শব্দ ও ব্যাকরণগত উপাদান এসেছে, তবে সমাসের মূল রীতি সংস্কৃত ভাষার প্রভাবেই গঠিত।
-
তাই প্রমিত ও সঠিক উত্তর হলো (ঘ) সংস্কৃত, যা বাংলা ভাষার ধ্বনি, ব্যাকরণ ও সাহিত্যিক রীতিতে মূল উৎস হিসেবে বিবেচিত।
0
Updated: 12 hours ago
'যথারীতি' কোন সমাসের দৃষ্টান্ত?
Created: 1 month ago
A
অব্যয়ীভাব
B
দ্বিগু
C
বহুব্রীহি
D
দ্বন্দ্ব
অব্যয়ীভাব সমাস এমন এক ধরণের সমাস যেখানে পূর্বপদে অব্যয় যোগে সমাস সম্পন্ন হয় এবং সেখানে অব্যয়ের অর্থই মুখ্য ভূমিকা পালন করে। এ সমাসে অব্যয়ের অর্থের উপর ভিত্তি করেই পুরো ব্যাসবাক্যের অর্থ গঠিত হয়।
-
অব্যয়ীভাব সমাসে কেবল অব্যয়ের অর্থ দ্বারা বাক্যটি প্রকাশিত হয়।
-
এই সমাসে অব্যয়টি ব্যাকরণগতভাবে মুখ্য এবং পরবর্তী শব্দকে নির্ভরশীল করে তোলে।
-
উদাহরণ হিসেবে দেখা যায়, যথা শব্দটি "অনতিক্রম্যতা" অর্থে ব্যবহৃত হয়।
-
রীতিকে অতিক্রম না করে = যথারীতি
-
সাধ্যকে অতিক্রম না করে = যথাসাধ্য
-
-
একইভাবে এরূপ আরও কিছু শব্দ পাওয়া যায়, যেমন: যথাবিধি, যথাযোগ্য ইত্যাদি।
0
Updated: 1 month ago
'নীলাম্বর' কোন সমাসের উদাহরণ?
Created: 1 month ago
A
বহুব্রীহি সমাস
B
অব্যয়ীভাব সমাস
C
তৎপুরুষ সমাস
D
কর্মধারয় সমাস
কর্মধারয় সমাস হলো এমন সমাস যেখানে একটি বিশেষ্য বা বিশেষ্যভাবাপন্ন পদ এবং একটি বিশেষণ বা বিশেষণভাবাপন্ন পদ একত্রিত হয় এবং সমাসের অর্থে পরের পদটি প্রধান রূপে প্রতীয়মান হয়। এতে প্রথম পদটি মূলত দ্বিতীয় পদটিকে বর্ণনা করে।
উদাহরণসমূহ:
-
নীল যে অম্বর = নীলাম্বর
-
নীল যে আকাশ = নীলাকাশ
-
নীল যে পদ্ম = নীলপদ্ম
-
রক্ত যে কমল = রক্তকমল
0
Updated: 1 month ago
'বজ্জাত' কোন সমাসের উদাহরণ?
Created: 1 month ago
A
বহুব্রীহি সমাস
B
তৎপুরুষ সমাস
C
কর্মধারয় সমাস
D
দ্বন্দ্ব সমাস
পঞ্চমী তৎপুরুষ সমাস
সংজ্ঞা:
পূর্বপদের পঞ্চমী বিভক্তি (যেমন: হতে, থেকে, চেয়ে ইত্যাদি) লোপ পেয়ে যে তৎপুরুষ সমাস গঠিত হয়, তাকে পঞ্চমী তৎপুরুষ সমাস বলে। এই পঞ্চমী বিভক্তিগুলি সমাসের পূর্বপদের সঙ্গে যুক্ত হয় এবং পরে সরাসরি নতুন সমাসপদ গঠন করে।
উদাহরণ:
-
পরানের চেয়ে প্রিয় → পরানপ্রিয়
-
বিলাত থেকে ফেরত → বিলাতফেরত
-
বদ থেকে জাত → বজ্জাত
আরও উদাহরণ:
কণ্ঠনিঃসৃত, দুখজাত, বোঁটাখসা, স্বর্গচ্যুত, ঋণমুক্ত, কারামুক্ত, কৃষিজাত, খাঁচাছাড়া, গদিচ্যুত, দলস্থাত, বৃত্তচ্যুত, লক্ষ্যচ্যুত, চাকভাঙা, জেলফেরত, দলছুট, পথভ্রষ্ট, বন্ধনমুক্ত, বিক্রয়লখ, বিদেশাগত, মেঘমুক্ত, শাপমুক্ত, রোগমুক্ত, স্কুলপালানো, স্নেহবঞ্চিত, হাতছাড়া ইত্যাদি।
বিশেষ উল্লেখ:
-
সাধারণত চ্যুত, জাত, আগত, ভীত, গৃহে, বিরত, মুক্ত, উত্তীর্ণ, পালানো, ভ্রষ্ট ইত্যাদি পরপদের সঙ্গে পঞ্চমী তৎপুরুষ সমাস হয়।
-
কখনও কখনও ব্যাসবাক্যে 'এর', 'চেয়ে' ব্যবহার হয়। যেমন:
-
পরানের চেয়ে প্রিয় → পরানপ্রিয়
-
0
Updated: 1 month ago