জসীমউদ্দীনের শ্রেষ্ঠ কাহিনীকাব্য-
A
নকশী কাঁথার মাঠ
B
সোজন বাদিয়ার ঘাট
C
সকিনা
D
রাখালী
উত্তরের বিবরণ
জসীমউদ্দীনের শ্রেষ্ঠ কাহিনীকাব্য হলো নকশী কাঁথার মাঠ।
ব্যাখ্যা:
-
‘নকশী কাঁথার মাঠ’ (১৯২৯) কাহিনীকাব্যটি জসীমউদ্দীনের রচনা, যা বাংলার গ্রামীণ জীবনের প্রাকৃতিক দৃশ্য, মানুষের জীবন ও সমাজচিত্রের জীবন্ত প্রতিফলন।
-
এই কাহিনীকাব্য গ্রামীণ বাংলার মানুষের আশা, সংগ্রাম এবং সুখ-দুঃখের মিলন সুন্দরভাবে চিত্রিত করেছে।
-
অন্যান্য বিকল্প:
-
‘সোজন বাদিয়ার ঘাট’ → এটি জসীমউদ্দীনের অন্যান্য রচনা, তবে শ্রেষ্ঠ কাহিনীকাব্য নয়।
-
‘সকিনা’ → গল্প বা কবিতা হতে পারে, কাহিনীকাব্য নয়।
-
‘রাখালী’ → ছোট গল্প বা ভিন্ন ধরনের সাহিত্যকর্ম।
-
-
তাই প্রমিত ও সাহিত্যিক দৃষ্টিকোণ থেকে সঠিক উত্তর হলো (ক) নকশী কাঁথার মাঠ, যা জসীমউদ্দীনের শ্রেষ্ঠ কাহিনীকাব্য হিসেবে স্বীকৃত।
0
Updated: 15 hours ago
জসীম উদ্দীন রচিত কোন গ্রন্থটি 'ফোক টেল্স অব ইষ্ট পাকিস্তান' নামে ইংরেজিতে অনূদিত হয়েছে?
Created: 1 month ago
A
জারীগান
B
বাঙালীর হাসির গল্প
C
মুর্শীদা গান
D
নক্সী কাঁথার মাঠ
জসীম উদ্দীন রচিত কর্মসমূহ
-
বাঙালীর হাসির গল্প – ইংরেজিতে অনূদিত হয়েছে ‘Folk Tales of East Pakistan’ নামে।
-
কাব্য ‘নক্সী কাঁথার মাঠ’ – ইংরেজিতে অনূদিত হয়েছে ‘The Field of Embroidered Quilt’ নামে।
-
লোকসঙ্গীত সংকলন ও সম্পাদনা:
-
‘জারীগান’ (১৯৬৮) – কেন্দ্রীয় বাঙলা উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃক প্রকাশিত; জারি গানের মোট ২৩টি পালা সংকলিত। জসীম উদ্দীন ভূমিকায় জারি গানের উৎস ও বিভিন্ন এলাকার বৈশিষ্ট্য তুলে ধরেছেন।
-
‘মুর্শীদা গান’ (১৯৭৭) – মৃত্যুর পরে প্রকাশিত গ্রন্থ।
-
0
Updated: 1 month ago
পল্লীকবি জসীমউদ্দীন জন্মগ্রহণ করেন -
Created: 2 months ago
A
বরিশাল
B
ফরিদপুর
C
ঢাকা
D
দিনাজপুর
জসীমউদ্দীন
-
জন্ম: ১ জানুয়ারি ১৯০৩, তাম্বুলখানা গ্রাম, ফরিদপুর জেলা।
-
পরিচয়: কবি, শিক্ষাবিদ; পল্লিকবি হিসেবে খ্যাত।
-
প্রথম প্রকাশিত উপন্যাস: ‘বোবা কাহিনী’।
-
বিখ্যাত গাথাকাব্য: ‘নক্সী কাঁথার মাঠ’, ১৯২৯ সালে প্রকাশ।
-
E.M. Millford দ্বারা ইংরেজিতে অনুবাদিত: The Field of the Embroidered Quilt।
-
-
পুরস্কার:
-
প্রেসিডেন্টের প্রাইড অব পারফরমেন্স (১৯৫৮)
-
একুশে পদক (১৯৭৬)
-
স্বাধীনতা দিবস পুরস্কার (মরণোত্তর, ১৯৭৮)
-
-
মৃত্যু: ১৩ মার্চ ১৯৭৬, ঢাকা।
উৎস: বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা, বাংলাপিডিয়া
0
Updated: 2 months ago
পল্লীকবি' কাকে বলা হয়?
Created: 2 weeks ago
A
জীবনানন্দ দাশ
B
সত্যেন্দ্রনাথ দত্ত
C
গোবিন্দ চন্দ্র দাস
D
জসীমউদ্দীন
বাংলা সাহিত্য জগতে ‘পল্লীকবি’ উপাধিতে যিনি সর্বাধিক পরিচিত, তিনি হলেন জসীমউদ্দীন। তাঁর কবিতা, গান ও গল্পে গ্রামীণ জীবনের সরল সৌন্দর্য, মানবিক অনুভূতি এবং বাংলার মাটির ঘ্রাণ পাওয়া যায়। তিনি ছিলেন এমন এক কবি, যিনি শহুরে আড়ম্বর থেকে দূরে থেকে সাধারণ মানুষের জীবন, দুঃখ, আনন্দ ও বিশ্বাসকে সাহিত্যরূপে তুলে ধরেছিলেন।
-
জসীমউদ্দীনের জন্ম ১৯০৩ সালে ফরিদপুর জেলার গোবিন্দপুর গ্রামে। ছোটবেলা থেকেই তিনি গ্রামীণ জীবনের সঙ্গে গভীরভাবে যুক্ত ছিলেন, যা তাঁর সাহিত্য সৃষ্টিতে প্রভাব ফেলেছে।
-
তাঁর রচনায় গ্রামের প্রকৃতি, কৃষক, প্রেম, কুসংস্কার ও সামাজিক বাস্তবতা জীবন্তভাবে ফুটে উঠেছে।
-
তাঁর বিখ্যাত কাব্যগ্রন্থগুলোর মধ্যে রয়েছে “নকশী কাঁথার মাঠ”, “সোজন বাদিয়ার ঘাট”, “রাখালী”, ও “সুজনবাদিয়া”—যেখানে গ্রামীণ জীবনের অনুভূতি হৃদয় ছুঁয়ে যায়।
-
“নকশী কাঁথার মাঠ” কবিতায় তিনি রূপসী বাংলার আবেগ ও এক বেদনার্ত প্রেমের গল্প তুলে ধরেছেন, যা বাংলা সাহিত্যে অমর সৃষ্টি হিসেবে বিবেচিত।
-
তাঁর কবিতায় ব্যবহৃত সরল ভাষা, লোকজ ছন্দ ও গ্রামীণ উপমা সাধারণ মানুষের কাছে সহজে গ্রহণযোগ্য ও হৃদয়স্পর্শী হয়ে ওঠে।
-
তিনি শুধু কবি নন, বরং ছিলেন এক জন সমাজচিন্তক, যিনি গ্রামীণ সংস্কৃতি, লোকসঙ্গীত ও ঐতিহ্য সংরক্ষণে আজীবন কাজ করেছেন।
-
তাঁর কবিতায় বাংলার মাটি, নদী, ক্ষেত, কুঁড়েঘর ও গরিব মানুষের হাসি-কান্না একেবারে বাস্তবভাবে ফুটে ওঠে, যা তাঁকে “পল্লীকবি” উপাধিতে ভূষিত করেছে।
-
জসীমউদ্দীনের সাহিত্যিক অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ তিনি বাংলা একাডেমি পুরস্কার, প্রেসিডেন্ট পুরস্কার, একুশে পদকসহ বহু সম্মাননা লাভ করেন।
-
তাঁর রচনায় বাংলার লোকসংস্কৃতি যেমন প্রাধান্য পেয়েছে, তেমনি মানবতার এক গভীর বোধও প্রকাশ পেয়েছে, যা তাকে অন্যান্য কবিদের থেকে আলাদা করেছে।
-
মৃত্যুর পরও জসীমউদ্দীনের লেখা গ্রামীণ হৃদয়ের ভাষা হিসেবে টিকে আছে, যা আজও পাঠকদের মনে অনন্ত বাংলার আবেগ জাগিয়ে রাখে।
সবশেষে বলা যায়, জসীমউদ্দীনই ‘পল্লীকবি’ নামে খ্যাত, কারণ তাঁর রচনায় গ্রামীণ জীবনের সৌন্দর্য, মমতা ও মাটির টান সবচেয়ে গভীরভাবে প্রতিফলিত হয়েছে।
0
Updated: 2 weeks ago