সঠিক উত্তর কোনটি?
A
গম্ভীর ধ্বনি = বুক্কন
B
হয়ত হবে = সম্ভাব্য
C
যা লাফিয়ে চলে = তুরগ
D
ক ও গ
উত্তরের বিবরণ
সঠিক উত্তর হলো ক) হত্যা করার ইচ্ছা = জিঘাংসা ও গ) হয়ত হবে = সম্ভাব্য।
ব্যাখ্যা:
-
এখানে প্রতিটি শব্দ বা বাক্যাংশের অর্থ মিলিয়ে দেখা হয়েছে।
-
‘জিঘাংসা’ শব্দের অর্থ হলো হত্যা বা ক্ষতি করার প্রবল ইচ্ছা, যা ক-এর সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ।
-
‘সম্ভাব্য’ অর্থ হলো যা হতে পারে বা হয়ত হবে, যা গ-এর সঙ্গে মিলে যায়।
-
অন্যান্য বিকল্পের ব্যাখ্যা:
-
‘গম্ভীর ধ্বনি = বুক্কন’ → সঠিক নয়, গভীর বা মৃদু ধ্বনিকে ‘মন্দ্র’ বলা হয়।
-
‘যা লাফিয়ে চলে = তুরগ’ → সঠিক নয়, সঠিক অর্থ হলো ‘প্লবগ’, যা দ্রুত বা লাফিয়ে চলাকে নির্দেশ করে।
-
-
তাই প্রমিত ও অর্থগতভাবে সঠিক উত্তর হলো ক) জিঘাংসা এবং গ) সম্ভাব্য, যা শব্দের প্রকৃত অর্থ ও ব্যবহার উভয়ই প্রতিফলিত করে।
0
Updated: 15 hours ago
কোন বাক্যে ধন্যাত্মক শব্দ ব্যবহৃত হয়েছে?
Created: 1 week ago
A
ঘন ঘন বৃষ্টি পড়েছে।
B
টিপ টিপ বৃষ্টি পড়েছে।
C
ফুলে ফুলে বৃষ্টি পড়েছে।
D
সারাদিন বৃষ্টি পড়েছে।
‘টিপ টিপ বৃষ্টি পড়েছে’ বাক্যে ধন্যাত্মক শব্দ ব্যবহৃত হয়েছে। এই বাক্যে “টিপ টিপ” শব্দটি বৃষ্টির মৃদু, কোমল ও ছন্দময় শব্দ বা অবস্থা প্রকাশ করে। এটি এমন একধরনের অনুকার শব্দ যা পাঠকের মনে আনন্দদায়ক, কোমল ও ইতিবাচক অনুভূতির সৃষ্টি করে। এই ধরনের শব্দ সাধারণত বর্ণনার সৌন্দর্য বৃদ্ধি করে এবং মনোরম আবহ তৈরি করে।
ধন্যাত্মক শব্দ সম্পর্কে কিছু গুরুত্বপূর্ণ দিক নিচে দেওয়া হলো—
-
ধন্যাত্মক শব্দ এমন শব্দ যা শ্রুতিমধুর, কোমল, সুন্দর বা ইতিবাচক ভাব প্রকাশ করে। এসব শব্দ পাঠকের মনে আনন্দ, প্রশান্তি বা মাধুর্য জাগায়। যেমন— টিপ টিপ, ঝিরি ঝিরি, ঝমঝম, ঝঙ্কার, কলরব ইত্যাদি।
-
“টিপ টিপ” শব্দটি বাংলা ভাষায় বৃষ্টির সূক্ষ্ম ফোঁটা পড়ার শব্দ বোঝায়। এটি ধ্বনিগতভাবে মনোমুগ্ধকর এবং কোমল ধ্বনি প্রকাশ করে, যা ধন্যাত্মকতার মূল বৈশিষ্ট্য।
-
এই শব্দের মাধ্যমে বক্তা শুধু বৃষ্টির খবরই দেয় না, বরং একটি চিত্রময় আবহ তৈরি করে যেখানে শ্রোতা বা পাঠক বৃষ্টির সৌন্দর্য অনুভব করতে পারে।
-
ধন্যাত্মক শব্দের বিপরীতে আছে অধন্যাত্মক শব্দ, যা কর্কশ, অশোভন বা নেতিবাচক ধ্বনি প্রকাশ করে। যেমন— ঝমঝম, ধামধাম, ঠকঠক, ধপধপ ইত্যাদি শব্দগুলো বৃষ্টি বা শব্দের তীব্রতা ও কঠোরতা বোঝায়।
-
“টিপ টিপ বৃষ্টি” সাধারণত এমন সময় বোঝায় যখন বৃষ্টি শান্তভাবে ঝরে, যা প্রকৃতিকে শান্ত ও রোমান্টিক করে তোলে। তাই এই শব্দের ব্যবহারে একটি ইতিবাচক, কোমল অনুভূতি প্রকাশ পায়, যা ধন্যাত্মক।
-
বাক্যের অন্যান্য বিকল্পগুলো বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়—
-
ঘন ঘন বৃষ্টি পড়েছে: এখানে ঘন ঘন শব্দটি বারবার বা অতিরিক্ত বোঝাচ্ছে, কিন্তু এতে কোনও ধ্বনিগত মাধুর্য নেই।
-
ফুলে ফুলে বৃষ্টি পড়েছে: এখানে “ফুলে ফুলে” শব্দটি অর্থের দিক থেকে বিভ্রান্তিকর এবং প্রকৃত ধ্বনি প্রকাশ করে না।
-
সারাদিন বৃষ্টি পড়েছে: এটি কেবল সময় নির্দেশ করে, কোনও ধ্বনি বা অনুভূতি প্রকাশ করে না।
-
-
ভাষার শৈলীতে ধন্যাত্মক শব্দ ব্যবহার করলে বর্ণনার সৌন্দর্য ও অনুভূতির গভীরতা বৃদ্ধি পায়। বিশেষত কবিতা, গল্প বা বর্ণনামূলক গদ্যে এই শব্দগুলো লেখাকে প্রাণবন্ত করে তোলে।
সবশেষে বলা যায়, “টিপ টিপ বৃষ্টি পড়েছে” বাক্যে ধন্যাত্মক শব্দের ব্যবহার পাঠকের মনে একটি শান্ত, কোমল ও সুখকর অনুভূতি সৃষ্টি করে—যা ভাষার শৈল্পিক সৌন্দর্যের নিদর্শন।
0
Updated: 1 week ago
কোনটি ধন্যাত্মক দ্বিরুক্তির উদাহরণ?
Created: 1 day ago
A
ঝম-ঝম
B
ভালো-ভালো
C
রাশি-রাশি
D
ঘন-ঘন
ধন্যাত্মক দ্বিরুক্তির উদাহরণ হলো ঝম-ঝম।
-
ধন্যাত্মক দ্বিরুক্তি (onomatopoeic reduplication) এমন শব্দ যা কোনো ধ্বনি বা শব্দের আওয়াজ পুনরাবৃত্তি করে তৈরি হয়।
-
এই ধরনের শব্দ সাধারণত কোনো ঘটনার বা প্রকৃতির আওয়াজের অনুকরণ করে।
-
উদাহরণ:
-
ঝম-ঝম → বৃষ্টির শব্দ
-
টিপ-টিপ → বৃষ্টির ফোঁটার শব্দ
-
-
অন্যান্য বিকল্প যেমন ‘ভালো-ভালো’, ‘রাশি-রাশি’, ‘ঘন-ঘন’ সংখ্যার বা গুণের বহুবচন প্রকাশ করে, তাই এগুলো ধন্যাত্মক দ্বিরুক্তি নয়।
-
বাংলা সাহিত্যে ও কথ্য ভাষায় ধন্যাত্মক দ্বিরুক্তি শব্দ জীবন্ত ও প্রকৃতির সঙ্গম ফুটিয়ে তোলে।
-
এটি বিশেষ করে কাব্য, গল্প বা বাচনিক চর্চায় শব্দের সৌন্দর্য ও প্রাঞ্জলতা বৃদ্ধি করে।
-
শব্দের অর্থ ও আওয়াজের মধ্যে মিল থাকার কারণে পাঠক বা শ্রোতার অভিজ্ঞতা আরও স্পষ্ট হয়।
0
Updated: 1 day ago