অশুদ্ধ শব্দ কোনটি?
A
প্রত্যুষ
B
বীণাপানি
C
মুঢ়
D
চরিত্র
উত্তরের বিবরণ
অশুদ্ধ শব্দ হলো বীণাপানি।
ব্যাখ্যা:
-
সঠিক বানান হলো ‘বীণাপাণি’, যা সরস্বতী দেবীকে নির্দেশ করে, অর্থাৎ বীণা ধরা ব্যক্তি।
-
এখানে ‘পানি’ শব্দের সঠিক রূপ হলো পাণি, যেখানে ‘া’ ও ‘ণ’ ব্যবহার করে পূর্ণ বানান গঠিত হয়।
-
অন্যান্য বিকল্প:
-
‘প্রত্যুষ’ → সঠিক বানান, অর্থ: ভোর বা প্রভাত।
-
‘মুঢ়’ → সঠিক বানান, অর্থ: বোকা বা অজ্ঞ।
-
‘চরিত্র’ → সঠিক বানান, অর্থ: মানসিক ও নৈতিক বৈশিষ্ট্য।
-
-
‘বীণাপানি’ অশুদ্ধ, কারণ এটি বানানগতভাবে অসম্পূর্ণ এবং আক্ষরিক অর্থ ও সঠিক উচ্চারণ প্রকাশ করে না।
-
তাই প্রমিত ও বানানগতভাবে সঠিক উত্তর হলো (খ) বীণাপানি, যা ‘বীণাপাণি’ রূপে সংশোধন করা উচিত।
0
Updated: 15 hours ago
নিচের কোনটি শুদ্ধ বানান?
Created: 16 hours ago
A
শিরোশ্ছেদ
B
শিরচ্ছেদ
C
শিরশ্ছেদ
D
কোনটিই নয়
প্রশ্নে সঠিক উত্তর শিরশ্ছেদ, কারণ এটি শুদ্ধ ও প্রচলিত বানান। শব্দটি সংস্কৃত উৎস থেকে এসেছে এবং এর অর্থ মাথা কেটে ফেলা বা মুণ্ডচ্ছেদ।
-
শিরোশ্ছেদ ভুল, কারণ এখানে “শিরো” এবং “শ্ছেদ” একত্রে ব্যবহৃত হলেও ব্যাকরণগতভাবে সঠিক নয়।
-
শিরচ্ছেদ ভুল, কারণ “চ্ছ” ধ্বনি এখানে শুদ্ধ নয়।
-
শিরশ্চেদ ভুল, কারণ “শ্চ” সংযুক্ত ধ্বনি প্রযোজ্য নয়।
-
শিরশ্ছেদ শুদ্ধ, কারণ “শির” (মাথা) এবং “শ্ছেদ” (কর্তন) মিলিয়ে গঠিত যৌগিক শব্দ, যার অর্থ হয় “মাথা কর্তন”।
অতএব, বানানগত ও অর্থগত দিক থেকে সঠিক উত্তর শিরশ্ছেদ।
0
Updated: 16 hours ago
সাহচর্য’ শব্দের শুদ্ধ গঠন কোনটি?
Created: 11 hours ago
A
সাহ + চর + র্য
B
সহচর + য-ফলা
C
সহচর + য
D
কোনোটিই নয়
‘সাহচর্য’ শব্দের শুদ্ধ গঠন হলো সহচর + য।
ব্যাখ্যা:
-
‘সাহচর্য’ শব্দের অর্থ হলো সঙ্গ বা সাথী হওয়া, যাকে সাধারণভাবে সঙ্গম বা মিত্রতার প্রতীক হিসেবে দেখা হয়।
-
এটি গঠিত হয়েছে ‘সহচর’ এবং ‘য’ সংযোজনের মাধ্যমে, যেখানে ‘য’ একটি সৃষ্টিকর্তা সংযোগ।
-
অন্যান্য বিকল্প যেমন ‘সাহ + চর + র্য’ বা ‘সহচর + য-ফলা’ সঠিক নয়।
-
উদাহরণ: “শিক্ষক ও শিক্ষার্থীর মধ্যে সাহচর্য মানসিক ও বুদ্ধিবৃত্তিক সহায়তা বৃদ্ধি করে।”
-
বাংলা ব্যাকরণে সঠিক শব্দগঠন জানা গুরুত্বপূর্ণ কারণ এটি শব্দের অর্থ, ব্যবহার ও বাক্য গঠন স্পষ্ট করে।
-
শিক্ষার্থীরা এই ধরনের শব্দ বিশ্লেষণের মাধ্যমে সমাস এবং সংযোজন বুঝতে পারবে।
0
Updated: 11 hours ago
পুরস্কার বানান, নিচের কোন শব্দটির বানান শুদ্ধ?
Created: 3 weeks ago
A
পুরস্কার
B
পূরস্কার
C
পুরষ্কার
D
পূরষ্কার
বাংলা ভাষায় ‘স্ক’ ও ‘ষ্ক’ যুক্তবর্ণ নিয়ে অনেকেই বিভ্রান্ত হন। মূল সমস্যা হলো কোন ক্ষেত্রে ‘স্ক’ হবে আর কোন ক্ষেত্রে ‘ষ্ক’ হবে তা বুঝতে না পারা। এই বিষয়টি বুঝলে পুরস্কার, পরিষ্কার, মনস্কামনা, আবিষ্কার ইত্যাদি শব্দের সঠিক বানান সহজে নির্ধারণ করা যায়।
নিচে সহজভাবে নিয়ম ও উদাহরণসহ বিষয়টি ব্যাখ্যা করা হলো—
সহজ কৌশল:
-
যুক্তবর্ণ (‘স্ক’ বা ‘ষ্ক’)–এর আগের বর্ণের দিকে লক্ষ্য করুন।
-
যদি সেই বর্ণটির সঙ্গে ই-কার বা উ-কার যুক্ত থাকে, তাহলে যুক্তবর্ণ হবে ‘ষ্ক’।
-
আর যদি ই-কার বা উ-কার না থাকে, তাহলে যুক্তবর্ণ হবে ‘স্ক’।
উদাহরণ বিশ্লেষণ:
-
পুরস্কার: ‘র’ বর্ণটি ফ্রি আছে (কোনও ই-কার/উ-কার নেই) → ‘স্ক’।
শুদ্ধ বানান: পুরস্কার -
পরিষ্কার: ‘র’–এর সঙ্গে ই-কার যুক্ত → ‘ষ্ক’।
শুদ্ধ বানান: পরিষ্কার -
মনস্কামনা: ‘ন’ ফ্রি আছে → ‘স্ক’।
শুদ্ধ বানান: মনস্কামনা -
আবিষ্কার: ‘ব’–এর সঙ্গে ই-কার আছে → ‘ষ্ক’।
শুদ্ধ বানান: আবিষ্কার -
বহিষ্কার: ‘হ’–এর সঙ্গে ই-কার আছে → ‘ষ্ক’।
শুদ্ধ বানান: বহিষ্কার -
নমস্কার: ‘ম’ ফ্রি আছে → ‘স্ক’।
শুদ্ধ বানান: নমস্কার
ব্যাকরণগত নিয়ম (বিসর্গ সন্ধি):
এ নিয়ম অনুসারে ‘ঃ’-এর পরিবর্তন হয় পরবর্তী ধ্বনির উপর নির্ভর করে—
-
যদি ‘অ/আ’ স্বরধ্বনির পরে বিসর্গ (ঃ) থাকে এবং তার পরে অঘোষ কণ্ঠ্য বা ওষ্ঠ্য ধ্বনি (ক, খ, প, ফ) আসে → ‘ঃ’-এর স্থলে স হয়।
যেমন:
পুরঃ + কার → পুরস্কার
নমঃ + কার → নমস্কার
তিরঃ + কার → তিরস্কার
মনঃ + কামনা → মনস্কামনা -
আর যদি ‘অ/আ’ ছাড়া অন্য স্বরধ্বনির পরে বিসর্গ (ঃ) থাকে এবং তার পরে অঘোষ কণ্ঠ্য বা ওষ্ঠ্য ধ্বনি (ক, খ, প, ফ) আসে → ‘ঃ’-এর স্থলে ষ হয়।
যেমন:
আবিঃ + কার → আবিষ্কার
বহিঃ + কার → বহিষ্কার
নিঃ + পাপ → নিষ্পাপ
চতুঃ + কোণ → চতুষ্কোণ
ঘোষ ও অঘোষ ধ্বনি:
-
ঘোষ ধ্বনি: উচ্চারণে স্বরতন্ত্র কম্পিত হয়। যেমন – গ, ঘ, জ, ঝ।
-
অঘোষ ধ্বনি: উচ্চারণে স্বরতন্ত্র কম্পিত হয় না। যেমন – ক, খ, চ, ছ।
সারসংক্ষেপ: ই-কার বা উ-কার থাকলে → ‘ষ্ক’ (যেমন আবিষ্কার, বহিষ্কার) । ই-কার বা উ-কার না থাকলে → ‘স্ক’ (যেমন পুরস্কার, নমস্কার)।
ফলাফল: শুদ্ধ বানানগুলো হলো—
পুরস্কার, পরিষ্কার, মনস্কামনা, আবিষ্কার, বহিষ্কার, নমস্কার।
অশুদ্ধ: পুরষ্কার, পরিস্কার, মনষ্কামনা, আবিস্কার, নমষ্কার।
এই নিয়ম মনে রাখলে যুক্তবর্ণের বানান নিয়ে আর ভুল হবে না।
0
Updated: 3 weeks ago