নিচের কোনটি শুদ্ধ?
A
সৌজন্নতা
B
সৌজন্যতা
C
সৌজন্ন
D
সৌজন্য
উত্তরের বিবরণ
শুদ্ধ শব্দ হলো ‘সৌজন্য’।
ব্যাখ্যা:
-
‘সৌজন্য’ শব্দের অর্থ হলো ভদ্রতা, মনোযোগ বা সহমর্মিতা, যা আচরণ ও সামাজিক সম্পর্কের সঙ্গে সম্পর্কিত।
-
এটি বাংলা ভাষায় মান্য ও প্রচলিত শব্দ, যা প্রায় সব অভিধান ও সাহিত্যিক ব্যবহার অনুযায়ী শুদ্ধ।
-
অন্যান্য বিকল্পগুলো ভুল কারণ:
-
‘সৌজন্নতা’ → বানানগত ভুল, শব্দের মূল অর্থ ঠিকমতো প্রকাশ করে না।
-
‘সৌজন্যতা’ → শুদ্ধ নয়, ‘-তা’ যুক্ত করা অতিরিক্ত এবং অপ্রয়োজনীয়।
-
‘সৌজন্ন’ → আংশিক বা অর্ধেক শব্দ, পূর্ণ অর্থ বহন করে না।
-
-
শুদ্ধ ব্যবহার উদাহরণ: “তার সৌজন্য সবাইকে আকর্ষণ করেছে।”
-
তাই প্রমিত ও বানানগতভাবে সঠিক উত্তর হলো (ঘ) সৌজন্য, যা শব্দের প্রকৃত অর্থ ও প্রয়োগের সাথে পুরোপুরি সামঞ্জস্যপূর্ণ।
0
Updated: 15 hours ago
কোনটি সঠিক বানান?
Created: 2 days ago
A
নিশীথিনী
B
নিশিথিনি
C
নিশিথিনী
D
নীশিথিনী
নিশীথিনী – সঠিক বানান।
নিশীথিনী শব্দটি বাংলায় গভীর রাত বা মধ্যরাত্রি বোঝায়, যা রাতের সবচেয়ে নিস্তব্ধ ও শান্ত সময়কে নির্দেশ করে।
-
এটি সাধারণত সাহিত্যিক, কবিতাসমূহ এবং কথ্য ভাষায় ব্যবহার হয়ে থাকে। বিশেষ করে কবিতায় নিশীথিনী রাতের রহস্যময়তা, নিস্তব্ধতা এবং মায়াবী পরিবেশ ফুটিয়ে তুলতে ব্যবহৃত হয়।
-
শব্দের সঠিক বানান “নিশীথিনী” হওয়ায় উচ্চারণ এবং অর্থের যথাযথতা বজায় থাকে।
-
অন্য বিকল্পগুলো যেমন নিশিথিনি, নিশিথিনী, নীশিথিনী—সবই ভুল বানান এবং প্রচলিত নয়।
-
নিশীথিনী শব্দটি রূপক অর্থেও ব্যবহার করা যায়, যেমন কোনো নিস্তব্ধ বা শান্ত সময়ের প্রতীক হিসেবে, যা সাহিত্যিক বর্ণনায় গভীরতা যোগ করে।
0
Updated: 2 days ago
নিচের কোন বানানগুলো শুদ্ধ?
Created: 1 week ago
A
সোনালী, তরি, নিশ্বাস
B
সোনালী, তরী, নিঃশ্বাস
C
সোনালী, তরী, নিশ্বাস
D
সোনালী, তড়ি, নিঃশ্বাস
শুদ্ধ বানানগুলো হলো সোনালী, তরী, নিঃশ্বাস। এই তিনটি শব্দই বাংলা ব্যাকরণ অনুযায়ী সঠিক রূপে ব্যবহৃত হয় এবং প্রচলিত বানানরীতির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ।
-
সোনালী শব্দটি “সোনা” থেকে এসেছে, যার অর্থ সোনার মতো রঙ বা দীপ্তি। “সোনালী আলো” বা “সোনালী সকাল” বলা হয়।
-
তরী অর্থ নৌকা বা জলযান। “তরী” শব্দটি সংস্কৃত “তর” ধাতু থেকে এসেছে, যার মানে পার হওয়া।
-
নিঃশ্বাস শব্দে “নিঃ” উপসর্গ যোগে তৈরি হয়েছে, যার মানে শ্বাসত্যাগ বা প্রশ্বাস।
ভুল বিকল্পগুলোর বিশ্লেষণ:
-
তরি ভুল, কারণ এটি “তরী” শব্দের বিকৃত রূপ।
-
নিশ্বাস ভুল, কারণ “নিঃ” উপসর্গ বাদ পড়লে অর্থ ও রূপ দুটোই বিকৃত হয়।
-
তড়ি সম্পূর্ণভাবে অশুদ্ধ বানান, যা বাংলা ভাষায় স্বীকৃত নয়।
সুতরাং শুদ্ধ বানান অনুযায়ী সঠিক উত্তর হলো — খ) সোনালী, তরী, নিঃশ্বাস।
0
Updated: 1 week ago
কোন বানানটি সঠিক?
Created: 1 week ago
A
ক্ষণ
B
রক্ষন
C
লক্ষন
D
শিক্ষন
সঠিক বানান ‘ক্ষণ’, এটি বাংলা ভাষায় একটি স্বীকৃত ও শুদ্ধ শব্দ। অন্যান্য বিকল্পগুলো দেখতে একই রকম মনে হলেও গঠন ও অর্থের দিক থেকে ভুল। নিচে এ বিষয়ে বিস্তারিতভাবে ব্যাখ্যা দেওয়া হলো।
বাংলা বানানের নিয়ম অনুযায়ী ‘ক্ষণ’ শব্দটি সময়ের একটি ক্ষুদ্রতম একক বোঝায়, যার অর্থ মুহূর্ত, অতি অল্প সময় বা এক নিমেষ। এই শব্দটি সংস্কৃত উৎস থেকে আগত এবং এর উচ্চারণে প্রথমে ‘ক্ষ’ যুক্তব্যঞ্জন ব্যবহৃত হয়।
• ‘ক্ষণ’ মানে অল্প সময়, যেমন— এক ক্ষণে সব বদলে গেল। এটি সময় পরিমাপের সূক্ষ্ম একক হিসেবেও ব্যবহৃত হয়।
• শব্দটির উৎপত্তি সংস্কৃত ‘क्षण’ (kṣaṇa) থেকে, যা বাংলা ধ্বনিতত্ত্ব অনুযায়ী ‘ক্ষণ’ রূপে রূপান্তরিত হয়েছে। এটি বাংলা সাহিত্যে ও দৈনন্দিন ভাষায় প্রচলিত।
• ‘রক্ষন’, ‘লক্ষন’, ও ‘শিক্ষন’ শব্দগুলো ভুল বানান, কারণ বাংলা বানানরীতি অনুসারে এগুলোর শুদ্ধ রূপ যথাক্রমে ‘রক্ষণ’, ‘লক্ষণ’, ও ‘শিক্ষণ’। এখানে ‘ক্ষন’ নয়, বরং ‘ক্ষণ’ যুক্তব্যঞ্জন ব্যবহৃত হওয়া উচিত।
• বাংলা ভাষায় ‘ক্ষ’ একক ধ্বনি হিসেবে ব্যবহৃত হয়, যা ‘ক্ষ’ উচ্চারণে তৈরি হয়। তাই যেসব শব্দ সংস্কৃত মূল থেকে এসেছে এবং সেখানে ‘kṣ’ রয়েছে, বাংলা বানানেও তা ‘ক্ষণ’ হিসেবে লেখা হয়।
• বাংলা একাডেমির প্রমিত বাংলা বানান বিধান অনুযায়ী, সময় বা মুহূর্ত বোঝাতে ‘ক্ষণ’ ছাড়া অন্য কোনও বানান গ্রহণযোগ্য নয়।
• উদাহরণস্বরূপ—
-
এক ক্ষণ অপেক্ষা করো।
-
সে ক্ষণিক দুঃখে ভেঙে পড়েছিল।
-
ক্ষণস্থায়ী আনন্দ দীর্ঘস্থায়ী হয় না।
• অন্যদিকে, ভুল বানানগুলো যেমন রক্ষন, লক্ষন, বা শিক্ষন প্রমিত বাংলা ব্যাকরণে গ্রহণযোগ্য নয়, কারণ এখানে ‘ণ’ ধ্বনির পরিবর্তে ‘ন’ ব্যবহৃত হয়েছে, যা অর্থ ও উচ্চারণ উভয় ক্ষেত্রেই ত্রুটি সৃষ্টি করে।
• বানান নির্ধারণে সংস্কৃত ধাতু অনুসরণ করা হয়। যেমন—
-
রক্ষা → রক্ষণ
-
লক্ষণ → লক্ষণ
-
শিক্ষা → শিক্ষণ
-
ক্ষণ → ক্ষণিক, ক্ষণস্থায়ী, ক্ষণমাত্র
• প্রমিত ভাষার নীতি অনুযায়ী, বাংলা শব্দে যখন ‘ক্ষ’ যুক্ত থাকে, তখন সাধারণত তার পর ‘ণ’ যুক্তব্যঞ্জন থাকে। এটি বাংলা ব্যাকরণের এক ধ্বনিগত নিয়ম যা সময়, ক্রিয়া বা অবস্থার প্রকাশে বিশেষভাবে ব্যবহৃত হয়।
অতএব, প্রমিত বাংলা বানান ও ব্যাকরণের নিয়ম অনুযায়ী ‘ক্ষণ’-ই একমাত্র সঠিক বানান। অন্যান্য বিকল্পগুলো উচ্চারণে কাছাকাছি হলেও ভুল এবং ভাষাগতভাবে অগ্রহণযোগ্য।
0
Updated: 1 week ago