কোনটি তৎপুরুষ সমাস?
A
কালি-কলম
B
মধুমাখা
C
দশানন
D
মাতাপিতা
উত্তরের বিবরণ
তৎপুরুষ সমাস হলো মধুমাখা।
ব্যাখ্যা:
-
সমাস হলো দুটি বা ততোধিক শব্দ একত্রিত হয়ে একটি নতুন শব্দ তৈরি করা।
-
তৎপুরুষ সমাস এমন সমাস যেখানে প্রথম শব্দটি দ্বিতীয় শব্দের গুণ, অবস্থা বা উদ্দেশ্য নির্দেশ করে, এবং অর্থটি মূলত প্রথম শব্দের দ্বারা দ্বিতীয় শব্দকে বিশেষণ করা।
-
উদাহরণ: মধুমাখা → মধু দ্বারা মাখা, অর্থাৎ মধু মেখে তৈরি বা মধুর স্বাদযুক্ত।
-
অন্যান্য বিকল্প:
-
কালি-কলম → কালি ও কলম, এটি দ্বন্দ্ব সমাস, অর্থাৎ সমান ও পৃথক বস্তু নির্দেশ করে।
-
দশানন → দশটি আননযুক্ত, এটি বহুব্রীহি সমাস, অর্থাৎ বহুব্রীহি বা বিশেষণবিহীন।
-
মাতাপিতা → মাতা ও পিতা, এটি দ্বন্দ্ব সমাস, দুটি সমান পদ নির্দেশ করে।
-
-
তাই প্রমিত ও সঠিক উত্তর হলো (খ) মধুমাখা, যা তৎপুরুষ সমাসের বৈশিষ্ট্য ধারণ করে।
0
Updated: 15 hours ago
'বসতবাড়ি' কোন সমাস?
Created: 1 month ago
A
দ্বিতীয়া তৎপুরুষ সমাস
B
চতুর্থী তৎপুরুষ সমাস
C
পঞ্চমী তৎপুরুষ সমাস
D
ষষ্ঠী তৎপুরুষ সমাস
চতুর্থী তৎপুরুষ সমাস হলো সেই সমাস, যেখানে পূর্বপদে চতুর্থী বিভক্তি (যেমন— কে, জন্য, নিমিত্ত ইত্যাদি) লোপ পায় এবং দুটি পদ মিলিত হয়ে একটি নতুন অর্থবোধক পদ গঠন করে। এই সমাসে সাধারণত কোনো উদ্দেশ্য বা কারণ নির্দেশিত হয়।
উদাহরণ—
-
গুরুকে ভক্তি = গুরুভক্তি
-
আরামের জন্য কেদারা = আরামকেদারা
-
বসতের নিমিত্ত বাড়ি = বসতবাড়ি
-
বিয়ের জন্য পাগলা = বিয়েপাগলা
এরূপ আরও উদাহরণ— ছাত্রাবাস, ডাকমাশুল, চোষকাগজ, শিশুমঙ্গল, মুসাফিরখানা, হজযাত্রা, মালগুদাম, রান্নাঘর, মাপকাঠি, বালিকা বিদ্যালয়, পাগলাগারদ ইত্যাদি।
0
Updated: 1 month ago
তৎপুরুষ সমাসে কোন পদ প্রধান?
Created: 2 months ago
A
পরপদ
B
পুর্বপদ
C
উভয়পদ
D
অন্যপদ
পূর্বপদের বিভক্তি এর লোপে যে সমাস হয় এবং যে সমাসে পরপদের অর্থ প্রধানভাবে বোঝায় তাকে তৎপুরুষ সমাস বলে। তৎপুরুষ সমাসের পূর্বপদে দ্বিতীয়া থেকে সপ্তমী পর্যন্ত যে কোনো বিভক্তি থাকতে পারে এবং পূর্বপদের বিভক্তি অনুসারে এদের নামকরণ করা হয়।
যেমন: বিপদকে আপন্ন = বিপদাপন্ন। এখানে দ্বিতীয়া বিভক্তি 'কে' লোপ পেয়েছে বলে এর নাম দ্বিতীয়া তৎপুরুষ সমাস।
0
Updated: 2 months ago
'চন্দনচর্চিত' কোন সমাস?
Created: 1 month ago
A
কর্মধারয় সমাস
B
তৎপুরুষ সমাস
C
বহুব্রীহি সমাস
D
নিত্য সমাস
তৃতীয়া তৎপুরুষ সমাস হলো সেই সমাস যেখানে পূর্বপদের তৃতীয়া বিভক্তি (দ্বারা, দিয়া, কর্তৃক ইত্যাদি) লোপ হয়ে দুই পদকে একত্রিত করা হয়।
-
উদাহরণসমূহ:
-
মন দিয়ে গড়া = মনগড়া
-
শ্রম দ্বারা লব্ধ = শ্রমলব্ধ
-
মধু দিয়ে মাখা = মধুমাখা
-
-
উত্তরপদে বিশেষ শব্দ থাকলেও তৃতীয়া তৎপুরুষ সমাস হয়:
-
এক দ্বারা উন = একোন
-
বিদ্যা দ্বারা হীন = বিদ্যাহীন
-
জ্ঞান দ্বারা শূন্য = জ্ঞানশূন্য
-
পাঁচ দ্বারা কম = পাঁচকম
-
-
উপকরণবাচক বিশেষ্য পদ থাকলেও সমাস হয়:
-
স্বর্ণ দ্বারা মন্ডিত = স্বর্ণমণ্ডিত
-
হীরকখচিত, চন্দনচর্চিত, রত্নশোভিত ইত্যাদি
-
0
Updated: 1 month ago