'সুলতানার স্বপ্ন' লিখেছেন-
A
সুফিয়া কামাল
B
রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেন
C
জাহানারা ইমাম
D
সেলিনা হোসেন
উত্তরের বিবরণ
‘সুলতানার স্বপ্ন’ একটি বিখ্যাত নারীবাদী রচনা, যা লিখেছিলেন রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেন। এটি বাংলার নারী জাগরণের ইতিহাসে এক অনন্য সৃষ্টি।
-
‘সুলতানার স্বপ্ন’ ১৯০৫ সালে প্রকাশিত হয় এবং এটি একটি ইউটোপিয়ান ফ্যান্টাসি গল্প, যেখানে নারীরা শিক্ষিত ও শাসক, আর পুরুষরা ঘরে আবদ্ধ।
-
এর মাধ্যমে লেখিকা নারী স্বাধীনতা, শিক্ষা ও সামাজিক সমতার কথা তুলে ধরেছেন।
-
সুফিয়া কামাল ছিলেন কবি ও সমাজসেবিকা, কিন্তু এই রচনাটি তাঁর নয়।
-
জাহানারা ইমাম মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক “একাত্তরের দিনগুলি” লেখার জন্য পরিচিত।
-
সেলিনা হোসেন আধুনিক কথাসাহিত্যিক, তাঁর বিখ্যাত উপন্যাস ‘হাঙর নদী গ্রেনেড’।
অতএব, সঠিক উত্তর রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেন।
0
Updated: 15 hours ago
'কবর' নাটক কার রচনা?
Created: 4 months ago
A
শহীদুল্লাহ কায়সার
B
জহির রায়হান
C
মুনীর চৌধুরী
D
সত্যেন সেন
বাংলা নাট্যসাহিত্যের ইতিহাসে একটি শক্তিশালী রাজনৈতিক প্রতিকী নাটক হিসেবে স্থান করে নিয়েছে মুনীর চৌধুরীর ‘কবর’। এটি মূলত রচিত হয়েছিল ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনের উত্তাল পটভূমিতে।
লেখক নিজেই তখন কারাগারে বন্দি। সেই বন্দিদশায়, ১৯৫৩ সালে কারাগারে থাকা রাজবন্দিদের সহায়তায় প্রথম অভিনীত হয় এই নাটকটি। পরবর্তীতে ১৯৬৬ সালে এটি গ্রন্থাকারে প্রকাশিত হয়।
কাহিনির সারসংক্ষেপ
Irwin Shaw-এর বিখ্যাত নাটক "Bury The Dead" (১৯৩৬) অবলম্বনে দেশীয় প্রেক্ষাপটে ‘কবর’ নাটকটি নির্মিত। এতে দেখা যায়, ভাষা আন্দোলনের এক মিছিলে পুলিশের গুলিতে নিহতদের মৃতদেহ শহরের বাইরে গভীর রাতে গোপনে কবরস্থ করতে আনা হয়। এ কাজে নেতৃত্ব দেয় এক পুলিশ ইন্সপেক্টর হাফিজ এবং তার সহযোগী এক নেতা, যার নাম নাটকে উল্লেখ করা হয়নি।
তবে মিছিলে নিহত এসব আন্দোলনকারীর মৃতদেহ এতটাই বিকৃত যে, ধর্মীয় প্রথা মেনে দাফন না করে তারা একত্রে মাটি চাপা দেওয়ার পরিকল্পনা করে। এ সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে রুখে দাঁড়ায় গোর খোদক এবং এক পাগল, যিনি নিজেকে মুর্দা ফকির হিসেবে পরিচয় দেন। তিনি জানান, এ লাশগুলো শহীদের—তাদের কবর দেওয়া যাবে না। নাটকের এক মোক্ষম মুহূর্তে দেখা যায়, মৃতদেহগুলো জীবন্ত হয়ে দাঁড়িয়ে জানিয়ে দেয়: “আমরা কবরে যাব না।” এই দৃশ্য দেখে ইন্সপেক্টর ও নেতা দুজনেই আতঙ্কে পালিয়ে যায়।
নাট্যকার মুনীর চৌধুরী পরিচিতি
মুনীর চৌধুরী ছিলেন একাধারে শিক্ষাবিদ, বিশিষ্ট নাট্যকার, সাহিত্য সমালোচক ও বলিষ্ঠ বক্তা। তিনি জন্মগ্রহণ করেন ১৯২৫ সালের ২৭ নভেম্বর, মানিকগঞ্জ শহরে। প্রগতিশীল চিন্তাধারায় বিশ্বাসী মুনীর চৌধুরী বামপন্থী রাজনীতি ও সংস্কৃতি আন্দোলনের সাথে সক্রিয়ভাবে জড়িত ছিলেন।
তাঁর মৌলিক নাটকসমূহ:
-
রক্তাক্ত প্রান্তর
-
চিঠি
-
কবর
-
দণ্ডকারণ্য
অনুবাদ নাটকসমূহ:
-
কেউ কিছু বলতে পারে না
-
রূপার কৌটা
-
মুখরা রমণী বশীকরণ
তথ্যসূত্র:
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা – ড. সৌমিত্র শেখর
বাংলাপিডিয়া
0
Updated: 4 months ago
'কেন পান্থ ক্ষান্ত হও হেরি দীর্ঘ পথ?' কার লেখা?
Created: 2 months ago
A
কৃষ্ণচন্দ্র মজুমদার
B
ঈশ্বরচন্দ্র গুপ্ত
C
কামিনী রায়
D
যতীন্দ্রমোহন বাগচী
"কেন পান্থ ক্ষান্ত হও হেরি দীর্ঘ পথ?" পঙ্ক্তি কৃষ্ণচন্দ্র মজুমদার এর 'সদ্ভাবশতক' কাব্যগ্রন্থের 'দুঃখ বিনা সুখ হয় না' কবিতা থেকে নেয়া হয়েছে।
কবিতাটি নিম্নরূপ-
কি কারণ, দীন! তব মলিন বদন ?
যতন করহ লাভ হইবে রতন।
কেন পান্থ! ক্ষান্ত হও হেরে দীর্ঘ পথ ?
উদ্যম বিহনে কার পূরে মনােরথ ?
কাঁটা হেরি ক্ষান্ত কেন কমল তুলিতে,
দুঃখ বিনা সুখ লাভ হয় কি মহীতে?
মনে ভেবে বিষম-ইন্দ্রিয়-রিপু-ভয়,
হাফেজ! বিমুখ কেন করিতে প্রণয়?
-----------------------
• কৃষ্ণচন্দ্র মজুমদার:
- সাহিত্যিক, সাংবাদিক কৃষ্ণচন্দ্র মজুমদারের জন্ম ১৮৩৪ সালের ১০ জুন খুলনা জেলার সেনহাটি গ্রামে এক বৈদ্য পরিবার।
- ঈশ্বর গুপ্তের উৎসাহে সংবাদ সাধুরঞ্জন ও সংবাদ প্রভাকর পত্রিকায় তাঁর লেখা প্রকাশিত হয়।
- কৃষ্ণচন্দ্রের বিখ্যাত কাব্যগ্রন্থ সদ্ভাবশতক প্রকাশিত হয় ১৮৬১ সালে।
- নীতি ও উপদেশমূলক এ কাব্যটি পারস্য কবি হাফিজ ও সাদীর কাব্যাদর্শে রচিত।
- তাঁর কবিতার অনেক পঙ্ক্তি প্রবাদবাক্যস্বরূপ।
যেমন: ‘চিরসুখী জন ভ্রমে কি কখন ব্যথিত বেদন বুঝিতে পারে’ ইত্যাদি।
উৎস: 'দুঃখ বিনা সুখ হয় না', কৃষ্ণচন্দ্র মজুমদার এবং বাংলাপিডিয়া।
0
Updated: 2 months ago
'সংস্কৃতির ভাঙা সেতু' গ্রন্থ কে রচনা করেছেন?
Created: 4 months ago
A
মোতাহের হোসেন চৌধুরী
B
বিনয় ঘোষ
C
আখতারুজ্জামান ইলিয়াস
D
রাধারমণ মিত্র
‘সংস্কৃতির ভাঙা সেতু’
রচয়িতা: আখতারুজ্জামান ইলিয়াস
পূর্ণনাম: আখতারুজ্জামান মুহম্মদ ইলিয়াস
জন্ম: ১২ ফেব্রুয়ারি ১৯৪৩, গোটিয়া গ্রাম, গাইবান্ধা (মাতুলালয়)
পৈতৃক নিবাস: চেলোপাড়া, বগুড়া
বাংলা কথাসাহিত্যে আখতারুজ্জামান ইলিয়াস এক শক্তিশালী ও প্রভাবশালী নাম। তাঁর লেখালেখিতে যেমন সমাজবাস্তবতা গভীরভাবে চিত্রিত হয়েছে, তেমনি কালচেতনার ধারাবাহিকতায় ফুটে উঠেছে সময়ের রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক দ্বন্দ্ব।
তাঁর বর্ণনাশৈলী এবং সংলাপভাষায় যে স্বতন্ত্রতা ও কথ্যরীতির মুন্সিয়ানা দেখা যায়, তা বাংলা সাহিত্যকে দিয়েছে নতুন মাত্রা ও গতি।
বিশিষ্ট রচনাসমূহ:
-
অন্যঘরে অন্যস্বর
-
দোজখের ওম
-
খোয়াবনামা
-
সংস্কৃতির ভাঙা সেতু
এই গ্রন্থগুলোর প্রতিটিতেই রয়েছে সমাজ-সংস্কৃতি ও রাজনীতির অন্তর্নিহিত টানাপোড়েনের সূক্ষ্ম বর্ণনা।
প্রাসঙ্গিক আরও কিছু গ্রন্থ ও লেখক
-
‘সংস্কৃতি কথা’ – মোতাহের হোসেন চৌধুরী
-
‘সংস্কৃতির চড়াই উৎরাই’ – শওকত ওসমান
-
‘সভ্যতার সংকট’ – রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
তথ্যসূত্র: বাংলাপিডিয়া, বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা – ড. সৌমিত্র শেখর
0
Updated: 4 months ago