মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক উপন্যাস কোনটি?
A
জাহান্নাম হইতে বিদায়
B
জননী
C
কর্ণফুলী
D
সূর্য দীঘল বাড়ি
উত্তরের বিবরণ
মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক উপন্যাস হলো ‘জাহান্নাম হইতে বিদায়’।
ব্যাখ্যা:
-
এই উপন্যাসটি লিখেছেন শওকত ওসমান, এবং এটি সরাসরি বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের ঘটনাবলী ও প্রেক্ষাপটকে কেন্দ্র করে লেখা।
-
উপন্যাসে মুক্তিযুদ্ধকালীন মানবিক, সামাজিক ও রাজনৈতিক বাস্তবতা ফুটে উঠেছে।
-
অন্যান্য উল্লেখযোগ্য উপন্যাস:
-
‘জননী’ → রচনা করেছেন মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়, কিন্তু এটি মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক নয়।
-
‘কর্ণফুলী’ → আলাউদ্দিন আল আজাদ রচিত, মূলত নদী এবং সামাজিক প্রেক্ষাপটের ওপর ভিত্তি করে।
-
‘সূর্য দীঘল বাড়ি’ → আবু ইসহাক রচিত, মুক্তিযুদ্ধ নয়, গ্রামীণ জীবন ও সমাজকে কেন্দ্র করে।
-
-
তাই মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক উপন্যাস হিসেবে সঠিক উত্তর হলো (ক) জাহান্নাম হইতে বিদায়, যা ইতিহাস, সমাজ এবং মানুষের সংগ্রামের দিক ফুটিয়ে তোলে।
0
Updated: 17 hours ago
বেগম রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেনের জন্মস্থান কোন জেলায়?
Created: 1 month ago
A
যশোর
B
রাজশাহী
C
রংপুর
D
বরিশাল
বেগম রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেন ছিলেন একজন খ্যাতিমান বাঙালি সাহিত্যিক, সমাজ সংস্কারক এবং মুসলিম নারীর জাগরণ ও অধিকার আন্দোলনের অন্যতম পথিকৃৎ।
-
জন্ম ও পরিচয়: ৯ই ডিসেম্বর ১৮৮০, রংপুর জেলার পায়রাবন্দ গ্রামে জন্মগ্রহণ।
-
সাহিত্যচর্চা: স্বামীর প্রেরণায় সাহিত্যচর্চা শুরু; সমকালীন মুসলিম সমাজে প্রচলিত কুসংস্কারের বিরুদ্ধে লেখনী প্রকাশ।
-
শিক্ষা ও সংস্কারমূলক অবদান: সাখাওয়াত মেমোরিয়াল গার্লস স্কুল এবং আনজুমান-ই-খাওয়াতীন-ই-ইসলাম প্রতিষ্ঠা করে মুসলিম নারীদের শিক্ষা ও সংস্কৃতির অগ্রগতিতে সহায়তা।
উল্লেখযোগ্য রচনা:
-
মতিচূর (প্রবন্ধ)
-
Sultana’s Dream (নকশাধর্মী রচনা)
-
পদ্মরাগ (উপন্যাস)
-
অবরোধবাসিনী (নকশাধর্মী গদ্যগ্রন্থ)
0
Updated: 1 month ago
'মুহাজিরিন হত্যার জন্য দায়ী কে?' প্রবন্ধের রচয়িতা কে?
Created: 1 month ago
A
আল মাহমুদ
B
হেলাল হাফিজ
C
কাজী নজরুল ইসলাম
D
বুদ্ধদেব বসু
‘মুহাজিরিন হত্যার জন্য দায়ী কে?’ কাজী নজরুল ইসলাম রচিত একটি শক্তিশালী প্রবন্ধ, যা তাঁর প্রথম প্রবন্ধগ্রন্থ ‘যুগবাণী’-এর অন্তর্ভুক্ত। এই প্রবন্ধে কবি সমকালীন রাজনৈতিক অবস্থা, মুসলিম সমাজের বিভক্তি এবং ব্রিটিশ উপনিবেশবাদের নৃশংসতার বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিবাদ প্রকাশ করেছেন। নজরুল এখানে মানবিকতার দৃষ্টিকোণ থেকে ‘মুহাজিরিন’ হত্যার নিন্দা জানিয়ে সমাজে ন্যায় ও ঐক্যের বার্তা দিয়েছেন।
‘যুগবাণী’ কাজী নজরুল ইসলাম রচিত প্রথম প্রবন্ধগ্রন্থ, যা প্রকাশিত হয় ১৯২২ খ্রিষ্টাব্দে। গ্রন্থটি প্রকাশের সঙ্গে সঙ্গেই এর বিপ্লবাত্মক রাজনৈতিক বক্তব্যের কারণে ব্রিটিশ সরকার বইটি নিষিদ্ধ ঘোষণা করে। পরবর্তীতে ১৯৪৭ খ্রিষ্টাব্দে দেশ স্বাধীন হওয়ার পর এর উপর থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা হয়।
গ্রন্থের প্রবন্ধগুলোয় প্রতিফলিত হয়েছে স্বদেশি চেতনা, জাতীয় জাগরণ এবং ব্রিটিশ বিরোধী মনোভাব। নজরুল এই প্রবন্ধগুলোর মাধ্যমে সমাজে অন্যায়, দাসত্ব ও ধর্মীয় গোঁড়ামির বিরুদ্ধে মানুষের বিবেক জাগিয়ে তোলার আহ্বান জানিয়েছেন।
‘যুগবাণী’ গ্রন্থে মোট ২১টি প্রবন্ধ অন্তর্ভুক্ত আছে। সেগুলো হলো —
-
নবযুগ
-
গেছে দেশ দুঃখ নাই আবার তোরা মানুষ হ
-
ডায়ারের স্মৃতিস্তম্ভ
-
ধর্মঘট
-
লোকমান্য তিলকের মৃত্যুতে বেদনাতুর কলিকাতার দৃশ্য
-
মুহাজিরিন হত্যার জন্য দায়ী কে?
-
ছুঁৎমার্গ
-
উপেক্ষিত শক্তির উদ্বোধন
-
মুখবন্ধ
-
রোজ-কেয়ামত বা প্রলয়-দিন
-
বাঙালির ব্যবসাদারী
-
আমাদের শক্তি স্থায়ী হয় না কেন
-
কালা আদমীকে গুলি মারা
-
শ্যাম রাখি না কুল রাখি
-
লাট-প্রেমিক আলী ইমাম
-
ভাব ও কাজ
-
জাতীয় শিক্ষা
-
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়
-
জাগরণী
0
Updated: 1 month ago
বাংলা সাহিত্যের প্রথম ও নিজস্ব কাহিনীকাব্য হিসেবে কোনটি পরিচিত?
Created: 1 month ago
A
গীতাঞ্জলি
B
বৈষ্ণব পদাবলি
C
মঙ্গলকাব্য
D
চর্যাপদ
মঙ্গলকাব্য মধ্যযুগীয় বাংলা সাহিত্যের একটি বিশেষ ধারা, যা দেবমাহাত্ম্যমূলক সমাজচিত্রভিত্তিক কাহিনীর মাধ্যমে গঠিত। এটি বাংলা সাহিত্যের প্রথম ও নিজস্ব কাহিনীকাব্য হিসেবে পরিচিত। বিশ্বাস করা হতো যে, এই কাব্য পাঠ বা শ্রবণ করলে সকল প্রকার অকল্যাণ দূর হয় এবং সর্ববিধ মঙ্গল লাভ হয়। সেই ধারণা থেকেই এ কাব্যের নামকরণ হয়েছে মঙ্গলকাব্য।
মঙ্গলকাব্যের প্রধান দেবতারা হলেন—
-
মনসা
-
চণ্ডী
-
ধর্মঠাকুর
এদের মধ্যে বিশেষভাবে মনসা ও চণ্ডী দেবীর প্রাধান্য বেশি। এই দেবতাদের কেন্দ্র করে মঙ্গলকাব্যের তিনটি প্রধান ধারা গড়ে উঠেছে—
-
মনসামঙ্গল
-
চণ্ডীমঙ্গল
-
ধর্মমঙ্গল
উৎস:
0
Updated: 1 month ago