‘গবেষণা’-এর সন্ধি-বিচ্ছেদ কি হবে?
A
গবে + ষণা
B
গো + এষণা
C
গ + এষণা
D
গব + এষণা
উত্তরের বিবরণ
‘গবেষণা’ শব্দের সন্ধি-বিচ্ছেদ হলো গো + এষণা।
ব্যাখ্যা:
-
‘গবেষণা’ শব্দটি দুটি অংশে বিভক্ত: গো এবং এষণা।
-
এখানে ‘গো’ অর্থ জ্ঞান বা বোধ, আর ‘এষণা’ অর্থ অনুসন্ধান বা খোঁজা।
-
বাংলা ও সংস্কৃত ব্যাকরণ অনুযায়ী, অব’ ধ্বনি যখন অন্য শব্দের সঙ্গে মিলিত হয়, তখন এটি ‘ও’ হয়ে যায়।
-
উদাহরণ হিসেবে:
-
লবণ → লো + অন
-
পবন → পো + অন
-
গবেষণা → গো + এষণা
-
-
অর্থে, গবেষণা মানে হলো জ্ঞান বা বিষয়ের প্রতি অনুসন্ধান, যা এই শব্দের মূল অর্থ প্রকাশ করে।
-
সুতরাং সঠিক উত্তর হলো (খ) গো + এষণা, যা ধ্বনিগত ও অর্থগতভাবে শুদ্ধ।
0
Updated: 17 hours ago
"পরীক্ষা" এর সন্ধি বিচ্ছেদ
Created: 2 weeks ago
A
পরি + এক্ষা
B
পরি + ঈক্ষা
C
পরি + ইক্ষা
D
পর + ঈক্ষা
বাংলা ভাষায় সন্ধি হলো এমন এক প্রক্রিয়া যেখানে দুটি শব্দ বা ধাতু মিলিত হয়ে নতুন শব্দ তৈরি করে এবং মিলনের সময় তাদের স্বর বা ব্যঞ্জনধ্বনিতে পরিবর্তন ঘটে। “পরীক্ষা” শব্দটি এমনই এক সন্ধির ফল, যা মূলত “পরি” ও “ঈক্ষা” শব্দের মিলনে গঠিত। এখানে স্বরসন্ধির মাধ্যমে শব্দের ধ্বনি পরিবর্তিত হয়েছে।
‘পরি’ উপসর্গ: ‘পরি’ একটি সাধারণ উপসর্গ, যার অর্থ “চারপাশে”, “সম্পূর্ণভাবে” বা “বিশেষভাবে”। এটি প্রায়ই মূল শব্দের অর্থকে আরও জোরালো করে তোলে।
-
‘ঈক্ষা’ ধাতু: ‘ঈক্ষা’ শব্দের অর্থ হলো দেখা বা পর্যবেক্ষণ করা। সংস্কৃত মূল “ईक्ष” (īkṣa) ধাতু থেকে এর উৎপত্তি।
-
সন্ধির ধরন: “পরি” এবং “ঈক্ষা” যোগে “পরীক্ষা” শব্দে স্বরসন্ধি ঘটেছে। এখানে প্রথম শব্দের ‘ই’ এবং দ্বিতীয় শব্দের ‘ঈ’ মিলিত হয়ে দীর্ঘ স্বর ‘ঈ’ রূপে প্রকাশিত হয়েছে।
-
রূপান্তর ব্যাখ্যা:
-
পরি + ঈক্ষা → পরি + ঈক্ষা (স্বরসন্ধির ফলে উচ্চারণে একীভূত হয়)
-
মিলিত শব্দের রূপ দাঁড়ায় পরীক্ষা
-
-
অর্থগত বিশ্লেষণ:
-
“পরি” অর্থে “চারপাশ থেকে” এবং “ঈক্ষা” অর্থে “দেখা” — এই দুটি মিলিয়ে “পরীক্ষা” অর্থ দাঁড়ায় ‘চারপাশ থেকে দেখা’ বা ‘নিরীক্ষণ করা’।
-
তাই বর্তমান ব্যবহারে “পরীক্ষা” মানে হচ্ছে “নিরীক্ষণ বা যাচাই প্রক্রিয়া।”
-
-
ব্যাকরণগত দৃষ্টিতে:
-
এটি স্বরসন্ধির অন্তর্গত, বিশেষ করে ই + ঈ = ঈ ধরনের সন্ধি।
-
এই নিয়ম অনুযায়ী ‘ই’ ধ্বনি এবং ‘ঈ’ ধ্বনি একত্র হলে উচ্চারণে দীর্ঘ ‘ঈ’ রূপে থাকে।
-
-
আরও কিছু উদাহরণ:
-
নিঃ + ঈশ্বর = নীশ্বর → নিঃঈশ্বর (অর্থ: ঈশ্বরহীন)
-
প্রতি + ইন্দ্রিয় = প্রত্যেন্দ্রিয় → প্রতি + ইন্দ্রিয় (অর্থ: প্রতিটি ইন্দ্রিয়)
-
সুতরাং, “পরি + ঈক্ষা = পরীক্ষা” একটি স্বরসন্ধিজাত শব্দ, যার অর্থ দাঁড়ায় ‘নিরীক্ষা’ বা ‘পর্যবেক্ষণ’। এই সন্ধির মাধ্যমে শব্দের ধ্বনি মসৃণ ও উচ্চারণে সহজ হয়েছে, যা বাংলা ভাষার ব্যাকরণিক সৌন্দর্যের একটি উৎকৃষ্ট দৃষ্টান্ত।
0
Updated: 2 weeks ago
‘নাবিক’ শব্দের সন্ধিবিচ্ছেদ কোনটি?
Created: 2 months ago
A
নো + ইক
B
না + বিক
C
নৌ + ইক
D
নব + ইক
সন্ধির নিয়ম:
-
এ, ঐ, ও, ঔ-কারের পর এ, ঐ স্থানে অয়, আয় এবং ও, ঔ স্থানে যথাক্রমে অব ও আব ধ্বনি হয়।
উদাহরণ:
-
গৈ + অক = গায়ক
-
নৈ + অক = নায়ক
-
গো + এষণা = গবেষণা
-
নৌ + ইক = নাবিক
-
পো + ইত্র = পবিত্র
-
গো + আদি = গবাদি
উৎস: বাংলা ভাষার ব্যাকরণ, নবম-দশম শ্রেণি (২০১৯ সংস্করণ)।
0
Updated: 2 months ago
‘গায়ক’- সন্ধি বিচ্ছেদ কোনটি?
Created: 4 days ago
A
গো + অক
B
গা + অক
C
গা + য়ক
D
গৈ + অক
“গায়ক” শব্দটির গঠন প্রক্রিয়া ধাতু ও প্রত্যয়ের মিলনে সম্পন্ন হয়েছে। এটি এমন একটি উদাহরণ যেখানে ধাতুর রূপান্তর ঘটিয়ে নতুন শব্দ তৈরি হয়, যা ব্যক্তি বা কর্তার পরিচয় প্রকাশ করে।
গৈ ধাতুর সঙ্গে অক প্রত্যয় যুক্ত হয়ে “গায়ক” শব্দটি গঠিত হয়েছে।
গৈ অর্থ গান করা বা গাওয়া।
অক প্রত্যয় যোগে ধাতুর অর্থে কর্তার নির্দেশ প্রকাশ পায়।
এই ধরণের গঠনে সন্ধি বিচ্ছেদ হয় “গৈ + অক”, যা থেকে শব্দটি “গায়ক” হয়েছে।
এছাড়া সমার্থক গঠনের উদাহরণ হিসেবে দেখা যায়— নায়ক = নাই + অক, লেখক = লিখ্ + অক, পাঠক = পাঠ্ + অক।
0
Updated: 4 days ago