কোনটি বাংলা ধাতু?
A
কৃ
B
মাগ্
C
গম্
D
কাট্
উত্তরের বিবরণ
বাংলা ধাতু হলো ‘কাট্’।
ব্যাখ্যা:
-
ধাতু বলতে বোঝায় ক্রিয়াপদ বা ক্রিয়ার মূল রূপ, যা থেকে বিভিন্ন শব্দ তৈরি হয়।
-
‘কাট্’ হলো খাঁটি বাংলা ধাতু, যার অর্থ হলো কেটে ফেলা বা ছেদ করা, এবং এটি থেকে বাংলা ভাষায় বিভিন্ন ক্রিয়াপদ এবং সংযোগ সৃষ্টি করা যায়।
-
অন্যান্য খাঁটি বাংলা ধাতু উদাহরণ: খা, দেখ, শুন্, পড়্, কাঁদ।
-
অন্য বিকল্পগুলো:
-
‘কৃ’ → সংস্কৃত ধাতু, বাংলা ধাতু নয়।
-
‘মাগ্’ → সংস্কৃত বা প্রাচীন ভাষা থেকে আসা, খাঁটি বাংলা নয়।
-
‘গম্’ → সংস্কৃত ভিত্তিক, তাই খাঁটি বাংলা ধাতু হিসেবে গণ্য হয় না।
-
-
ধাতুর মূল বৈশিষ্ট্য হলো এটি সরাসরি ক্রিয়া প্রকাশ করে এবং অন্যান্য শব্দ তৈরিতে ব্যবহার হয়।
-
সুতরাং, খাঁটি বাংলা ধাতু হলো (ঘ) কাট্, যা বাংলা শব্দ নির্মাণে মৌলিক ভূমিকা রাখে।
0
Updated: 17 hours ago
শব্দ ও ধাতুর মূলকে বলে-
Created: 1 day ago
A
প্রকৃতি
B
ধাতু
C
বিভক্তি
D
কারক
শব্দ ও ধাতুর মূলকে প্রকৃতি বলে।
-
শব্দের প্রকৃতি বলতে বোঝায় শব্দের মূল অর্থ, উৎপত্তি ও রূপ।
-
ধাতু বা মূল ধাতু হলো সেই মৌলিক রূপ যেখান থেকে বিভিন্ন পদ বা শব্দ গঠিত হয়।
-
উদাহরণ:
-
‘করা’ ধাতু থেকে ‘কৃত’, ‘কর্ম’, ‘কারণ’ ইত্যাদি শব্দ গঠিত।
-
-
প্রকৃতি শব্দটি ব্যাকরণে গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এটি শব্দগঠনের মূল বোঝাতে ব্যবহৃত হয়।
-
এটি নাম, ক্রিয়া, বিশেষণ ইত্যাদির মূল রূপ নির্ধারণে সাহায্য করে।
-
প্রকৃতি ও ধাতু বোঝার মাধ্যমে শব্দের অর্থ, ব্যবহার ও শব্দতাত্ত্বিক বৈশিষ্ট্য বিশ্লেষণ করা যায়।
-
বাংলা ব্যাকরণে প্রকৃতি নির্ধারণের মাধ্যমে শব্দের উৎপত্তি ও রূপবিন্যাস বোঝা যায়।
-
সাহিত্যিক ও শিক্ষাগত কাজে প্রকৃতি ও ধাতু সম্পর্কে জ্ঞান শব্দচর্চা ও বাক্যগঠনে সহায়ক।
0
Updated: 1 day ago
ধাতু বা শব্দের শেষে প্রত্যয় যুক্ত করার উদ্দেশ্য কি?
Created: 5 hours ago
A
নতুন শব্দ গঠন
B
বাক্যে অলঙ্কার
C
শব্দের মিলন
D
ভাষা সংক্ষেপণ
ধাতু বা শব্দের শেষে প্রত্যয় যুক্ত করার মূল উদ্দেশ্য হলো নতুন শব্দ গঠন।
-
বাংলা ব্যাকরণের ধাতু বা মূল শব্দের সঙ্গে প্রত্যয় যোগ করলে শব্দটি নতুন অর্থ বা অর্থের বর্ধন পায়।
-
উদাহরণ: শিক্ষা + ক = শিক্ষক, এখানে “ক” প্রত্যয় যোগ হওয়ায় একটি নতুন পেশা বা পরিচয় নির্দেশক শব্দ তৈরি হয়েছে।
-
অন্য উদাহরণ: হাসা + উনি = হাসুনি, যা আচরণ বা অভ্যাস নির্দেশ করে।
-
প্রত্যয় শব্দকে বিশেষণ, বিশেষ্য বা ক্রিয়াবিশেষণ হিসেবে রূপান্তরিত করতে সাহায্য করে।
-
এটি ভাষার ধন ও প্রকাশভঙ্গি বৃদ্ধি করে, কারণ মূল ধাতুর সঙ্গে যুক্ত প্রত্যয় নতুন শব্দের অর্থ ও ব্যবহারিক প্রয়োগ নির্ধারণ করে।
-
বাংলা সাহিত্য, প্রবন্ধ, কবিতা এবং কথ্য ভাষায় প্রত্যয়ের মাধ্যমে শব্দের বৈচিত্র্য ও সৃজনশীলতা বৃদ্ধি পায়।
-
সুতরাং, প্রত্যয় মূলত শব্দের কার্যকারিতা ও অর্থবর্ধনের জন্য ব্যবহৃত হয়।
0
Updated: 5 hours ago
নিচের কোনটি মৌলিক ধাতুর উদাহরণ?
Created: 3 weeks ago
A
দেখা
B
পড়া
C
চল
D
বলা
ধাতু হলো শব্দগঠনের মূল উপাদান, যা বিশ্লেষণ করলে তার চেয়ে ছোট অর্থবোধক একক পাওয়া যায় না। মৌলিক ধাতু ও সাধিত ধাতু—এই দুই প্রকারে ধাতু ভাগ করা হয়। নিচে এদের বৈশিষ্ট্য ও উদাহরণ দেওয়া হলো—
-
মৌলিক ধাতু: যেসব ধাতু বিশ্লেষণ করা সম্ভব নয়, সেগুলোকে মৌলিক বা সিদ্ধ/স্বয়ংসিদ্ধ ধাতু বলা হয়।
উদাহরণ: চল্, পড়, কর্, শো, হ, খা ইত্যাদি। -
সাধিত ধাতু: মৌলিক ধাতু বা কোনো কোনো নাম-শব্দের সঙ্গে ‘আ’ প্রত্যয় যোগে যে ধাতু তৈরি হয়, তাকে সাধিত ধাতু বলে।
উদাহরণ:-
দেখ্ + আ = দেখা
-
পড় + আ = পড়া
-
বল + আ = বলা
-
ঘুমা (ঘুম শব্দ থেকে)
-
0
Updated: 3 weeks ago