নিচের কোন বানানটি শুদ্ধ?
A
মূহর্ত
B
মুহূর্ত
C
মুহুর্ত
D
মুহর্ত
উত্তরের বিবরণ
শুদ্ধ বানান হলো ‘মুহূর্ত’।
ব্যাখ্যা:
-
‘মুহূর্ত’ শব্দটি সংস্কৃত ‘মুহূর্ত’ থেকে এসেছে, যার অর্থ খণ্ড বা অল্প সময়কাল।
-
বানান যাচাইতে প্রথমে ‘উ’ এবং তারপর ‘ঊ’ ব্যবহৃত হয়েছে।
-
অন্যান্য বিকল্প:
-
‘মূহর্ত’ → ভুল, কারণ ‘ূ’ কারের আগে সঠিক ধ্বনি নেই।
-
‘মুহুর্ত’ → ভুল, কারণ এখানে দীর্ঘ ‘ū’ ধ্বনি মিসিং।
-
‘মুহর্ত’ → ভুল, কারণ সংক্ষিপ্ত ‘উ’ ধ্বনি একাই ব্যবহার হয়েছে।
-
-
তাই প্রমিত ও শুদ্ধ বানান হলো (খ) মুহূর্ত।
0
Updated: 17 hours ago
'স্বাগত' শব্দটির শুদ্ধ সন্ধি-গঠন কোনটি?
Created: 2 weeks ago
A
স্বা + আগত
B
সু + আগত
C
স্ব + আগত
D
সা + আগত
বাংলা ভাষায় সন্ধি হলো দুটি শব্দের মিলিত হয়ে একটি নতুন শব্দ গঠনের প্রক্রিয়া। সন্ধি-নিয়ম অনুসারে, শব্দের অংশগুলোর সংযোগে ধ্বনি পরিবর্তন বা মিলনের কারণে নতুন রূপ সৃষ্টি হয়। ‘স্বাগত’ শব্দটি একটি প্রচলিত শুভেচ্ছা বা অভ্যর্থনা প্রকাশকারী শব্দ, যা মূলত ‘সু’ + ‘আগত’ দুটি অংশ থেকে গঠিত।
এর মূল বিষয়গুলো হলো:
-
প্রথম অংশের অর্থ: ‘সু’ শব্দটি সংস্কৃত থেকে আগত এবং এর অর্থ ভালো, সু- বা শুভ বোঝায়। এটি কোনো কিছুর গুণ বা ইতিবাচক বৈশিষ্ট্য নির্দেশ করে।
-
দ্বিতীয় অংশের অর্থ: ‘আগত’ শব্দটি ‘আসা’ ক্রিয়ার অতীত অংশ বা রূপ, যা বোঝায় আসা বা আগমন।
-
মিলনের প্রক্রিয়া: ‘সু’ + ‘আগত’ মিলিত হয়ে ‘স্বাগত’ শব্দটি গঠন করে। এখানে ধ্বনি পরিবর্তনের ফলে ‘সু’ এবং ‘আগত’-এর সংযোগে একটি সুন্দর, উচ্চারণযোগ্য শব্দ সৃষ্টি হয়।
-
সাহিত্যিক ও দৈনন্দিন ব্যবহারে গুরুত্ব: ‘স্বাগত’ শব্দটি কেবল কথ্যভাষায় নয়, সাহিত্য ও প্রবন্ধেও অভ্যর্থনা, শুভেচ্ছা এবং অতিথি-প্রীতি প্রকাশের জন্য ব্যবহৃত হয়।
সারসংক্ষেপে, ‘স্বাগত’ শব্দটি শুদ্ধভাবে ‘সু’ + ‘আগত’ অংশের মিলনফল। এটি একদিকে আগমনের সূচনা বোঝায় এবং অন্যদিকে শুভেচ্ছা ও সৌজন্যের প্রকাশ ঘটায়। বাংলা ভাষায় এই ধরনের সন্ধি-নিয়ম শব্দকে উচ্চারণে সহজ, অর্থে সুনির্দিষ্ট এবং ব্যবহারিকভাবে কার্যকর করে তোলে।
0
Updated: 2 weeks ago
প্রমিত বানানের নিয়ম অনুসারে, কোন বানানটি শুদ্ধ?
Created: 1 month ago
A
মূর্চ্ছা
B
অর্জ্জন
C
কার্য
D
কার্ত্তিক
প্রমিত বাংলা বানান অনুযায়ী “কার্য” শব্দটি শুদ্ধ বানান। বাংলা একাডেমি নির্ধারিত বানানরীতি অনুসারে, রেফ (র) যুক্ত হওয়ার পর ব্যঞ্জনবর্ণের দ্বিত্ব ব্যবহার করা হয় না। নিচে বিষয়টি বিস্তারিতভাবে ব্যাখ্যা করা হলো।
প্রমিত বাংলা বানানের নিয়ম:
-
রেফ (র) যুক্ত হলে পরবর্তী ব্যঞ্জনবর্ণ দ্বিত্ব হয় না।
-
যেমন ভুল বানানগুলো— অর্জ্জন, ঊর্দ্ধ, কার্ত্তিক, কর্ম্ম, মূর্চ্ছা, কার্য্য —এর পরিবর্তে প্রমিত বানান হবে যথাক্রমে:
-
অর্জন
-
ঊর্ধ্ব
-
কার্তিক
-
কর্ম
-
মূর্ছা
-
কার্য
-
সুতরাং “কার্য” শব্দটি সঠিক ও প্রমিত বানান, কারণ এতে অপ্রয়োজনীয় দ্বিত্বব্যঞ্জন ব্যবহৃত হয়নি।
0
Updated: 1 month ago
অশুদ্ধ বানান কোনটি?
Created: 1 month ago
A
অভিভূত
B
উত্তরণ
C
বিভীষিকা
D
ভ্রাতূষ্পুত্র
বাংলা ভাষায় শুদ্ধ বানান হলো ভ্রাতুষ্পুত্র। এটি একটি বিশেষ্য পদ।
শব্দের অর্থ:
-
ভ্রাতুষ্পুত্র মানে হলো ভাইয়ের ছেলে।
অন্যদিকে, অভিভূত, উত্তরণ এবং বিভীষিকা শব্দগুলোর বানানও শুদ্ধ।
(উৎস:
0
Updated: 1 month ago