তালব্য বর্ণ হলো যেসব বর্ণ উচ্চারণের সময় জিহ্বার সংস্পর্শে তালু (ছাদ) ব্যবহার করে উচ্চারিত হয়, এবং প্রদত্ত বিকল্পগুলোর মধ্যে সঠিক হলো ই, জ, ঞ, য়।

• তালব্য বর্ণ উচ্চারণে জিহ্বা মুখের তালুর সঙ্গে স্পর্শ করে বা তার নিকটে থাকে।

• এই বর্ণগুলো মূলত কঠিন বা মৃদু ধ্বনি হিসেবে শ্রবণ হয়।

• অন্যান্য বিকল্প যেমন ‘খ, উ, ম, ল’, ‘ব, ড়, ঢ়, ভ’, ‘স, ও, ঘ, ত’—এগুলো তালুর সাথে সরাসরি সম্পর্কিত নয়।

• তালব্য বর্ণের সঠিক জ্ঞান ধ্বনিবিদ্যা ও বাংলা উচ্চারণে গুরুত্বপূর্ণ।

• তাই সঠিক উত্তর হলো ই, জ, ঞ, য়।

• তালব্য ব্যঞ্জন:
যেসব ব্যঞ্জনধ্বনি উচ্চারণের সময় জিভের ডগা প্রসারিত হয়ে শক্ত তালুর কাছে বায়ুপথে বাধা সৃষ্টি করে, সেগুলোকে তালব্য ব্যঞ্জন বলে।
উদাহরণ: চাচা, ছাগল, জাল, ঝড়, শসা → চ, ছ, জ, ঝ, শ

• মূর্ধন্য ব্যঞ্জন: ট, ঠ, ড, ঢ, ড়, ঢ়
• দন্তমূলীয় ব্যঞ্জন: ন, র, ল, স
• দন্ত্য ব্যঞ্জন: ত, থ, দ, ধ

তালব্য ব্যঞ্জন হলো সেই ব্যঞ্জনধ্বনি, যা উচ্চারণের সময় জিভের ডগা খানিকটা প্রসারিত হয়ে শক্ত তালুর কাছে বায়ুপথে বাধা সৃষ্টি করে।

• উদাহরণ: চ, ছ, জ, ঝ, শ – যেমন চাচা, ছাগল, জাল, ঝড়, শসা।

অন্য ধরণের ব্যঞ্জনধ্বনি:

• ওষ্ঠ্য ব্যঞ্জন: ভ, ম

• দন্তমূলীয় ব্যঞ্জন: ন, র

• দন্ত্য ব্যঞ্জন: ত, দ