বাংলা ধাতু হলো সেই সকল ধাতু বা ক্রিয়ামূল, যা সরাসরি সংস্কৃত থেকে আসে নি, অর্থাৎ স্বতঃসিদ্ধভাবে বাংলায় উৎপন্ন।
উদাহরণ:
-
কাদ্
-
কাট্
-
নাচ্
-
আক্
-
কহ্
-
কর্
অন্যদিকে, সংস্কৃত ধাতু:
-
কথ্
-
বুধ্
-
গঠ্
শব্দ ও ধাতুর মূলকে বলে-
A
প্রকৃতি
B
ধাতু
C
বিভক্তি
D
কারক
উত্তরের বিবরণ
শব্দ ও ধাতুর মূলকে প্রকৃতি বলে।
শব্দের প্রকৃতি বলতে বোঝায় শব্দের মূল অর্থ, উৎপত্তি ও রূপ।
ধাতু বা মূল ধাতু হলো সেই মৌলিক রূপ যেখান থেকে বিভিন্ন পদ বা শব্দ গঠিত হয়।
উদাহরণ:
‘করা’ ধাতু থেকে ‘কৃত’, ‘কর্ম’, ‘কারণ’ ইত্যাদি শব্দ গঠিত।
প্রকৃতি শব্দটি ব্যাকরণে গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এটি শব্দগঠনের মূল বোঝাতে ব্যবহৃত হয়।
এটি নাম, ক্রিয়া, বিশেষণ ইত্যাদির মূল রূপ নির্ধারণে সাহায্য করে।
প্রকৃতি ও ধাতু বোঝার মাধ্যমে শব্দের অর্থ, ব্যবহার ও শব্দতাত্ত্বিক বৈশিষ্ট্য বিশ্লেষণ করা যায়।
বাংলা ব্যাকরণে প্রকৃতি নির্ধারণের মাধ্যমে শব্দের উৎপত্তি ও রূপবিন্যাস বোঝা যায়।
সাহিত্যিক ও শিক্ষাগত কাজে প্রকৃতি ও ধাতু সম্পর্কে জ্ঞান শব্দচর্চা ও বাক্যগঠনে সহায়ক।
0
Updated: 3 hours ago
নিচের কোনটি মৌলিক ধাতুর উদাহরণ?
Created: 3 weeks ago
A
দেখা
B
পড়া
C
চল
D
বলা
ধাতু হলো শব্দগঠনের মূল উপাদান, যা বিশ্লেষণ করলে তার চেয়ে ছোট অর্থবোধক একক পাওয়া যায় না। মৌলিক ধাতু ও সাধিত ধাতু—এই দুই প্রকারে ধাতু ভাগ করা হয়। নিচে এদের বৈশিষ্ট্য ও উদাহরণ দেওয়া হলো—
মৌলিক ধাতু: যেসব ধাতু বিশ্লেষণ করা সম্ভব নয়, সেগুলোকে মৌলিক বা সিদ্ধ/স্বয়ংসিদ্ধ ধাতু বলা হয়।
উদাহরণ: চল্, পড়, কর্, শো, হ, খা ইত্যাদি।
সাধিত ধাতু: মৌলিক ধাতু বা কোনো কোনো নাম-শব্দের সঙ্গে ‘আ’ প্রত্যয় যোগে যে ধাতু তৈরি হয়, তাকে সাধিত ধাতু বলে।
উদাহরণ:
দেখ্ + আ = দেখা
পড় + আ = পড়া
বল + আ = বলা
ঘুমা (ঘুম শব্দ থেকে)
0
Updated: 3 weeks ago
কোনটি বাংলা ধাতু?
Created: 1 month ago
A
গঠ্
B
বুধ্
C
আক্
D
কথ্
0
Updated: 1 month ago
নিচের কোনটি মৌলিক বাংলা ধাতু?
Created: 1 month ago
A
পঠ্
B
খাদ্
C
কৃৎ
D
কিন্
'কিন্' একটি মৌলিক বাংলা ধাতু। মৌলিক ধাতু সাধারণত তিন প্রকারে বিভক্ত হয় এবং এগুলোর মধ্যে বাংলা, সংস্কৃত ও বিদেশি ধাতু বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ। নিচে ধাপে ধাপে প্রতিটি ধরণের ধাতুর ব্যাখ্যা দেওয়া হলো।
মৌলিক ধাতু ৩ প্রকার
ক) বাংলা ধাতু
খ) সংস্কৃত ধাতু
গ) বিদেশি ধাতু
বাংলা ধাতু
যেসব ধাতু বা ক্রিয়ামূল সংস্কৃত থেকে সরাসরি আসেনি, সেগুলোকে বাংলা ধাতু বলা হয়।
উদাহরণ: কাদ্, কাট্, নাচ্, আক্, কহ্, কর্, কিন্, গড়্, ধর্, পড়্, রাখ্, শুন্, হাস্, বুঝ্ ইত্যাদি।
সংস্কৃত মূল ধাতু
যেসব ক্রিয়াপদের মূল সরাসরি সংস্কৃত ভাষা থেকে এসেছে, সেগুলো সংস্কৃত মূল ধাতু নামে পরিচিত। এ ধাতুগুলোর সঙ্গে প্রত্যয় যুক্ত হয়ে ক্রিয়া, বিশেষ্য, বাক্রিয়া ও বিশেষণ গঠিত হয়।
উদাহরণ: অঙ্ক, কথ্, কৃৎ, খাদ্, হস্, পঠ্, দৃশ্, বুধ্, স্থা, শ্রু, ধৃ, বন্ধ্, ঘৃষ্, ক্রী ইত্যাদি।
উৎস:
0
Updated: 1 month ago