ব্যাকরণ শব্দটি হলো-
A
তৎসম
B
অর্ধ-তৎসম
C
তদ্ভব
D
দেশি
উত্তরের বিবরণ
‘ব্যাকরণ’ শব্দটি হলো তৎসম।
-
‘ব্যাকরণ’ শব্দটি সরাসরি সংস্কৃত থেকে বাংলায় এসেছে, তাই এটি তৎসম শব্দের অন্তর্গত।
-
বাংলা ব্যাকরণের অধিকাংশ অধ্যায়ের নামও তৎসম, যেমন: ধনী, ভাষা, সন্ধি, বর্ণ, কারক, প্রত্যয়, বাক্য, সমাস, উপসর্গ, অনুসর্গ।
-
তৎসম শব্দ সাধারণত সংস্কৃত মূল থেকে অপরিবর্তিতভাবে বাংলায় গ্রহণ করা হয়।
-
এর বিপরীতে তদ্ভব শব্দ সংস্কৃত থেকে ধ্বনিগত পরিবর্তনের মাধ্যমে বাংলায় এসেছে।
-
তৎসম শব্দের ব্যবহার সাহিত্য ও শিক্ষাগত ভাষাকে প্রাঞ্জল ও পরিশীলিত করে।
-
‘ব্যাকরণ’ শব্দের ব্যবহার বাংলায় শিক্ষাদান, সাহিত্যচর্চা ও ভাষাতাত্ত্বিক বিশ্লেষণে অপরিহার্য।
-
বাংলা ব্যাকরণে তৎসম শব্দগুলি শব্দগঠন, অর্থ ও ব্যাকরণিক বিশ্লেষণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
0
Updated: 3 hours ago
'শাক-সবজি' শব্দটি নিচের কোন দুইয়ের মিলন?
Created: 5 days ago
A
তদ্ভব + ফারসি
B
পর্তুগিজ + আরবি
C
তৎসম + ফারসি
D
ফারসি + আরবি
‘শাক-সবজি’ শব্দটি দুটি ভিন্ন উৎসের শব্দের সংযোজনে গঠিত। এখানে ‘শাক’ শব্দটি তৎসম, আর ‘সবজি’ শব্দটি ফারসি। এই দুটি শব্দ যুক্ত হয়ে একটি সমাসবদ্ধ যৌগিক শব্দ তৈরি করেছে, যা বাংলা ভাষায় প্রচলিতভাবে ব্যবহৃত। এ ধরনের শব্দগঠনকে তৎসম-ফারসি যৌগ বলা হয়।
• বাংলা ভাষায় তৎসম ও ফারসি শব্দের মিলনে গঠিত শব্দকে দ্বিত্বমূলক বা সংকর শব্দ বলা হয়।
• ‘শাক’ শব্দটি সংস্কৃত থেকে আগত এবং মূল অর্থে ভোজ্য সবুজ পাতাযুক্ত উদ্ভিদ বোঝায়।
• ‘সবজি’ শব্দটি ফারসি ‘সবজ’ শব্দ থেকে এসেছে, যার অর্থও সবুজ শাক বা তরকারি।
• এই ধরনের সংকর শব্দ বাংলা ভাষার সমৃদ্ধি ও বৈচিত্র্যের নিদর্শন বহন করে।
• বাংলা ভাষায় এমন আরও সংকর শব্দ রয়েছে, যেমন ‘রাজকাজ’, ‘দরজাঘর’, ‘গরমিল’ ইত্যাদি।
0
Updated: 5 days ago
প্রাচীন ভারতীয় আর্যভাষা থেকে বিবর্তিত যেসব শব্দ বাংলা ভাষায় একেবারেই স্বতন্ত্র, সেগুলো হলো -
Created: 2 months ago
A
তৎসম শব্দ
B
তদ্ভব শব্দ
C
দেশি শব্দ
D
বিদেশি শব্দ
বাংলা
তদ্ভব শব্দ
তৎসম শব্দ
দেশি শব্দ
বাংলা উপন্যাস
বাংলা ব্যকরণ
বাংলা ভাষা (ব্যাকরণ)
শক্তির উৎস ও ব্যবহার
উৎস বিবেচনায় বাংলা শব্দের শ্রেণিবিভাগ
বাংলা ভাষার শব্দভাণ্ডারকে উৎসের ভিত্তিতে চারটি শ্রেণিতে ভাগ করা যায়— তৎসম, তদ্ভব, দেশি ও বিদেশি।
এর মধ্যে তৎসম ও তদ্ভব শব্দকে নিজস্ব উৎসের এবং দেশি ও বিদেশি শব্দকে আগত উৎসের শব্দ ধরা হয়।
১. তৎসম শব্দ
-
সংজ্ঞা: প্রাচীন ভারতীয় আর্যভাষা থেকে বিবর্তিত এমন সব শব্দ, যেগুলোর রূপ প্রায় অবিকৃত থেকে গেছে এবং সংস্কৃত শব্দের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সাদৃশ্য বজায় রেখেছে।
-
উদাহরণ: পৃথিবী, আকাশ, গ্রহ, বৃক্ষ।
২. তদ্ভব শব্দ
-
সংজ্ঞা: প্রাচীন ভারতীয় আর্যভাষা থেকে বিবর্তিত হয়ে বাংলা ভাষায় স্বতন্ত্র রূপ নিয়েছে যে সব শব্দ।
-
উদাহরণ: হাত, পা, কান, নাক, দাঁত, জিভ; হাতি, ঘোড়া, সাপ, পাখি, কুমির ইত্যাদি।
৩. দেশি শব্দ
-
সংজ্ঞা: বাংলার স্থানীয় আদিবাসী জনগোষ্ঠীর ভাষা থেকে আগত শব্দ।
-
উদাহরণ: কুড়ি, পেট, চুলা, কুলা, ডাব, টোপর, ঢেঁকি।
৪. বিদেশি শব্দ
-
সংজ্ঞা: ঐতিহাসিক যোগাযোগের ফলে আরবি, ফারসি, ইংরেজি, পর্তুগিজ, ফরাসি, ওলন্দাজ, তুর্কি, হিন্দি প্রভৃতি ভাষা থেকে গৃহীত শব্দ।
-
উদাহরণ: আলু (পর্তুগিজ), কাগজ (আরবি), দপ্তর (ফারসি), স্কুল (ইংরেজি)।
উৎস: বাংলা ভাষার ব্যাকরণ ও নির্মিতি, নবম-দশম শ্রেণি (২০২১ সংস্করণ)
0
Updated: 2 months ago
তৎসম শব্দের সঙ্গে দেশীয় শব্দের প্রয়োগে কোন দোষে দুষ্ট হয়?
Created: 2 months ago
A
গুরুচণ্ডালী দোষে
B
দুর্বোধ্যতা-দোষে
C
বাহুল্য-দোষে
D
উপমার ভুল প্রয়োগ-দোষে
ভাষাগত দোষ ও উদাহরণ
-
গুরুচণ্ডালী দোষ
-
তৎসম + দেশীয় শব্দের ভুল সংযোগে সৃষ্টি হয়।
-
উদাহরণ:
-
গরুর গাড়ি → গরুর শকট
-
শবদাহ → শবপোড়া
-
মড়াপোড়া → মড়াদাহ
-
-
-
দুর্বোধ্যতা
-
অপ্রচলিত বা অজানা শব্দ ব্যবহারে বাক্যের যোগ্যতা হারায়।
-
উদাহরণ: তুমি আমার সঙ্গে প্রপঞ্চ করেছো। (প্রপঞ্চ অপ্রচলিত)
-
-
উপমার ভুল প্রয়োগ
-
উপমা অলংকার ঠিকভাবে ব্যবহার না করলে অর্থহানি ঘটে।
-
উদাহরণ: আমার হৃদয়-মন্দিরে আশার বীজ উপ্ত হলো → সঠিক: আমার হৃদয়-ক্ষেত্রে আশার বীজ উপ্ত হলো।
-
-
বাহুল্য-দোষ
-
প্রয়োজনের অতিরিক্ত শব্দ ব্যবহারে শব্দের যোগ্যতা কমে।
-
উদাহরণ: দেশের সব আলেমগণই এ ব্যাপারে আমাদের সমর্থন দান করেন → সঠিক: দেশের আলেমগণ এ ব্যাপারে আমাদের সমর্থন দান করেন।
-
0
Updated: 2 months ago