মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বর্তমান পররাষ্ট্রমন্ত্রীর নাম কি?
A
জর্জ বুশ
B
মার্কো আন্তোনিও রুবিও
C
বরার্ট গেইট
D
কন্ডালিৎসা রাইস
উত্তরের বিবরণ
মার্কো আন্তোনিও রুবিও একজন আমেরিকান রাজনীতিবিদ, আইনজীবী ও কূটনীতিক, যিনি বর্তমানে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ৭২তম পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি ২০২৫ সালে রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসনের অধীনে এই পদে নিয়োগপ্রাপ্ত হন। দীর্ঘ রাজনৈতিক অভিজ্ঞতা ও পররাষ্ট্রনীতি সম্পর্কে দৃঢ় অবস্থানের কারণে তিনি মার্কিন কূটনৈতিক নীতির এক গুরুত্বপূর্ণ মুখ হিসেবে বিবেচিত।
-
পূর্ণ নাম: মার্কো আন্তোনিও রুবিও
-
রাজনৈতিক পরিচয়: রিপাবলিকান পার্টির সিনিয়র সদস্য
-
জন্মস্থান: মায়ামি, ফ্লোরিডা, যুক্তরাষ্ট্র
-
পেশাগত পটভূমি: রাজনীতিতে আসার আগে তিনি একজন আইনজীবী হিসেবে কাজ করেন এবং পরে ফ্লোরিডা হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভসের স্পিকার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
-
সিনেটর হিসেবে দায়িত্ব: ২০১১ সাল থেকে ২০২৫ সাল পর্যন্ত তিনি ফ্লোরিডা অঙ্গরাজ্যের সিনেটর ছিলেন, যেখানে তিনি জাতীয় নিরাপত্তা, অর্থনীতি ও অভিবাসন নীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখেন।
-
পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে ভূমিকা: ২০২৫ সালে পররাষ্ট্রমন্ত্রী হওয়ার পর তিনি যুক্তরাষ্ট্রের বৈদেশিক সম্পর্ক, প্রতিরক্ষা সহযোগিতা, এবং আন্তর্জাতিক কূটনৈতিক ভারসাম্য রক্ষায় সক্রিয় ভূমিকা রাখছেন। তাঁর নেতৃত্বে যুক্তরাষ্ট্র চীন, রাশিয়া ও মধ্যপ্রাচ্য সম্পর্কিত নীতি পুনর্বিবেচনা করছে।
-
নীতি ও দৃষ্টিভঙ্গি: রুবিও গণতন্ত্র, মানবাধিকার এবং বৈশ্বিক নিরাপত্তা রক্ষায় দৃঢ় অবস্থানের জন্য পরিচিত। তিনি আমেরিকার বৈদেশিক নীতিকে আরও বাস্তবমুখী ও জাতীয় স্বার্থনির্ভর করার পক্ষে মত দেন।
-
ব্যক্তিত্ব ও প্রভাব: দক্ষ বক্তা ও নীতিনির্ধারক হিসেবে তিনি রিপাবলিকান রাজনীতিতে একটি গুরুত্বপূর্ণ অবস্থান দখল করেছেন এবং বর্তমান প্রশাসনের অন্যতম প্রভাবশালী সদস্য হিসেবে বিবেচিত।
বর্তমানে মার্কো রুবিও মার্কিন পররাষ্ট্রনীতিতে একটি নির্ধারক ভূমিকা পালন করছেন, যিনি বিশ্ব মঞ্চে যুক্তরাষ্ট্রের কৌশলগত অবস্থানকে নতুন মাত্রায় উন্নীত করার প্রচেষ্টা চালাচ্ছেন।
0
Updated: 4 hours ago
সম্প্রতি, কোন দেশের মধ্যস্থতায় আর্মেনিয়া-আজারবাইজানের মধ্যে শান্তিচুক্তি স্বাক্ষরিত হয়? [সেপ্টেম্বর, ২০২৫]
Created: 1 month ago
A
রাশিয়া
B
ফ্রান্স
C
চীন
D
যুক্তরাষ্ট্র
৮ আগস্ট, ২০২৫ সালে যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় ওয়াশিংটনের হোয়াইট হাউসে আর্মেনিয়া ও আজারবাইজানের মধ্যে এক ঐতিহাসিক শান্তিচুক্তি স্বাক্ষরিত হয়, যা দক্ষিণ ককেশাস অঞ্চলে দীর্ঘদিনের সংঘাতের অবসান ঘটায়।
-
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন আজারবাইজানের প্রেসিডেন্ট ইলহাম আলিয়েভ এবং আর্মেনিয়ার প্রধানমন্ত্রী নিকোল পাশনিয়ান।
-
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প আশা প্রকাশ করেন যে এই চুক্তি শুধু সংঘাতের অবসানই ঘটাবে না, বরং দুই দেশের মধ্যে দীর্ঘস্থায়ী মিত্রতা গড়ে তুলবে।
-
শান্তিচুক্তির পাশাপাশি করিডোর, বাণিজ্য ও আঞ্চলিক সহযোগিতা বিষয়ক পৃথক চুক্তিও স্বাক্ষরিত হয় যুক্তরাষ্ট্রের উদ্যোগে।
-
আর্মেনিয়া ও আজারবাইজান কয়েক দশক ধরে নাগোরনো-কারাবাখ অঞ্চল নিয়ে বিবাদে লিপ্ত ছিল।
-
নাগোরনো-কারাবাখ ভৌগোলিকভাবে আজারবাইজানের অংশ হলেও ১৯৯৪ সালের যুদ্ধের পর থেকে এটি আর্মেনিয়ার সমর্থনে জাতিগত আর্মেনীয় বাহিনীর নিয়ন্ত্রণে ছিল।
-
অঞ্চলটির দখল নিয়ে একাধিকবার রক্তক্ষয়ী সংঘাত ঘটে এবং উভয় দেশ ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির সম্মুখীন হয়।
-
২০২৩ সালে আজারবাইজান পুনরায় ওই অঞ্চলের নিয়ন্ত্রণ নেয়, যা আর্মেনিয়ার সঙ্গে নতুন করে উত্তেজনা সৃষ্টি করে।
-
এই শান্তিচুক্তির মাধ্যমে সীমান্তে স্থায়ী শান্তি, অর্থনৈতিক সহযোগিতা ও আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা নিশ্চিত হবে বলে প্রত্যাশা করা হচ্ছে।
-
বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, এই চুক্তি দক্ষিণ ককেশাসকে বাণিজ্য ও জ্বালানি করিডোরের কৌশলগত কেন্দ্রে পরিণত করতে সহায়ক হবে।
0
Updated: 1 month ago
তৈল উৎপাদনে যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান বিশ্বে কততম স্থানে?
Created: 2 weeks ago
A
দশম
B
প্রথম
C
পঞ্চম
D
তৃতীয়
বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বে তৃতীয় বৃহত্তম তেল উৎপাদনকারী দেশ হিসেবে বিবেচিত। দেশটি দীর্ঘদিন ধরে তেল উৎপাদনে অগ্রগামী ভূমিকা রাখছে এবং আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে উৎপাদন ক্রমাগত বৃদ্ধি করছে।
-
যুক্তরাষ্ট্রে প্রধান তেল উৎপাদন এলাকা হলো টেক্সাস, আলাস্কা, নিউ মেক্সিকো ও নর্থ ডাকোটা, যেখানে আধুনিক শেল অয়েল (shale oil) প্রযুক্তি ব্যবহৃত হয়।
-
দেশটি প্রচুর পরিমাণে ক্রুড অয়েল ও প্রাকৃতিক গ্যাস উৎপাদন করে, যা দেশীয় চাহিদা মেটানোর পাশাপাশি আন্তর্জাতিক বাজারেও সরবরাহ করে।
-
যদিও সৌদি আরব ও রাশিয়া ঐতিহ্যগতভাবে তেল উৎপাদনে শীর্ষস্থানীয়, যুক্তরাষ্ট্র সাম্প্রতিক বছরগুলোতে উৎপাদন বাড়ালেও মোট মজুদের পরিমাণ তুলনামূলকভাবে কম হওয়ায় উৎপাদন স্থিতি পরিবর্তনশীল।
-
বিশ্ববাজারে তেলের দাম, আন্তর্জাতিক নীতি, এবং পরিবেশ সংক্রান্ত সীমাবদ্ধতা যুক্তরাষ্ট্রের উৎপাদনে প্রভাব ফেলে, যার কারণে এর অবস্থান তৃতীয় স্থানে স্থিতিশীল রয়েছে।
-
যুক্তরাষ্ট্রের তেল শিল্প বিশ্বের অর্থনীতিতে বড় ভূমিকা রাখে এবং আন্তর্জাতিক জ্বালানি নীতিতেও দেশটি গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব বিস্তার করে।
অতএব, বিশ্বে তেল উৎপাদনে যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান তৃতীয়, যা তাকে একটি শক্তিশালী জ্বালানি উৎপাদক রাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে।
0
Updated: 2 weeks ago
সম্প্রতি আর্মেনিয়া-আজারবাইজান স্বাক্ষরিত শান্তিচুক্তির মধ্যস্থতাকারী দেশ কোনটি? [আগস্ট, ২০২৫]
Created: 1 month ago
A
ইরান
B
ইরাক
C
যুক্তরাষ্ট্র
D
তুরস্ক
আর্মেনিয়া-আজারবাইজান শান্তিচুক্তি ২০২৫ হলো দক্ষিণ ককেশাস অঞ্চলের দুই রাষ্ট্রের মধ্যে স্বাক্ষরিত একটি গুরুত্বপূর্ণ ঐতিহাসিক চুক্তি, যা দশকব্যাপী সংঘাত শেষ করার এবং স্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠার প্রচেষ্টা হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। এই চুক্তিতে যুক্তরাষ্ট্র প্রধান মধ্যস্থতাকারী দেশ হিসেবে ভূমিকা পালন করেছে।
-
স্বাক্ষরের তারিখ ও স্থান: ৮ আগস্ট ২০২৫, হোয়াইট হাউস, যুক্তরাষ্ট্র
-
মধ্যস্থতাকারী: মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নেতৃত্বে
-
উপস্থিত প্রধান নেতা:
-
আজারবাইজানের প্রেসিডেন্ট ইলহাম আলিয়েভ
-
আর্মেনিয়ার প্রধানমন্ত্রী নিকোল পাশনিয়ান
-
-
চুক্তির মাধ্যমে আশা করা হচ্ছে কয়েক দশকের সংঘাতের অবসান এবং দীর্ঘস্থায়ী মিত্রতা গড়ে উঠবে।
-
শান্তিচুক্তির পাশাপাশি করিডোর ও বাণিজ্য সংক্রান্ত পৃথক চুক্তিও উভয় দেশের মধ্যে স্বাক্ষরিত হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায়।
পটভূমি:
-
বিতর্কিত নাগোর্নো-কারাবাখ অঞ্চল নিয়ে আর্মেনিয়া ও আজারবাইজান প্রায় কয়েক দশক ধরে বিবাদে লিপ্ত।
-
অঞ্চলটি আজারবাইজানের ভূখণ্ডের ভেতরে অবস্থিত, কিন্তু ১৯৯৪ সালের যুদ্ধের পর আর্মেনিয়ার সমর্থনে জাতিগত আর্মেনীয় বাহিনী এটি নিয়ন্ত্রণ করে আসছে।
-
আর্মেনিয়ার দখলের পর কয়েক দফা রক্তক্ষয়ী সংঘাত সংঘটিত হয়েছে।
-
২০২৩ সালে পুনরায় অঞ্চলটির নিয়ন্ত্রণ নেয় আজারবাইজান, যা এই অঞ্চলের স্থিতিশীলতার জন্য নতুন চ্যালেঞ্জ সৃষ্টি করেছিল।
-
শান্তিচুক্তি এবং মধ্যস্থতায় আশা করা হচ্ছে, দুই দেশের মধ্যে দীর্ঘমেয়াদী শান্তি ও অর্থনৈতিক সহযোগিতা বৃদ্ধি পাবে, যা দক্ষিণ ককেশাস অঞ্চলের স্থিতিশীলতার জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।
0
Updated: 1 month ago