ভারতের বর্তমান প্রধানমন্ত্রীর নাম কি?
A
শ্রী নরেন্দ্র মোদী
B
রাহুল গান্ধী
C
ড. মনমোহন সিং
D
সোনিয়া গান্ধী
উত্তরের বিবরণ
নরেন্দ্র দামোদর দাস মোদী হলেন ভারতের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী এবং দেশের আধুনিক রাজনৈতিক ইতিহাসে অন্যতম প্রভাবশালী নেতা। তিনি ২৬ মে ২০১৪ সালে ভারতের ১৪তম প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ গ্রহণ করেন। তাঁর নেতৃত্বে ভারত অর্থনৈতিক, প্রযুক্তিগত ও পররাষ্ট্রনীতিতে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জন করেছে।
-
পূর্ণ নাম: নরেন্দ্র দামোদর দাস মোদী
-
প্রথমবার প্রধানমন্ত্রী পদে অধিষ্ঠিত হন: ২৬ মে ২০১৪, ভারতের ১৪তম প্রধানমন্ত্রী হিসেবে
-
দ্বিতীয় মেয়াদ: ২০১৯ সালে, সাধারণ নির্বাচনে ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি) বিপুল ভোটে বিজয় লাভ করার পর
-
তৃতীয় মেয়াদ: ২০২৪ সালে, টানা তৃতীয়বারের মতো প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হয়ে তিনি ভারতের ইতিহাসে অন্যতম দীর্ঘমেয়াদি জনপ্রিয় নেতৃত্বের প্রতীক হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হন
-
রাজনৈতিক দল: ভারতীয় জনতা পার্টি (BJP)
-
রাজনৈতিক যাত্রা: প্রধানমন্ত্রী হওয়ার আগে তিনি গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে ২০০১ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেন এবং রাজ্যের উন্নয়ন ও শিল্পায়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন।
-
নেতৃত্বের বৈশিষ্ট্য: মোদী তাঁর দৃঢ় নেতৃত্ব, জনসম্পৃক্ততা, ডিজিটাল উদ্যোগ, অবকাঠামো উন্নয়ন, ও বৈদেশিক সম্পর্ক জোরদারে বিশেষভাবে পরিচিত।
বর্তমানে নরেন্দ্র মোদী শুধুমাত্র ভারতের রাজনৈতিক নেতৃত্বের প্রতীক নন, বরং বৈশ্বিক অঙ্গনে ভারতকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাওয়ার অন্যতম স্থপতি হিসেবে বিবেচিত।
0
Updated: 4 hours ago
ভারতের কতটি ‘ছিটমহল’ বাংলাদেশের ভৌগোলিক সীমায় অন্তর্ভুক্ত হয়েছে?
Created: 2 weeks ago
A
১৬২টি
B
১১১টি
C
৫১টি
D
১০১টি
আন্তর্জাতিক বিষয়াবলি
বাংলাদেশের প্রান্তীয় ও সীমান্তবর্তী স্থান
ভারত
পিএসসি ও অন্যান্য নিয়োগ পরীক্ষা
উত্তর: খ) ১১১টি
ব্যাখ্যা:
ছিটমহল বলতে বোঝায়—একটি দেশের মূল ভূখণ্ড থেকে বিচ্ছিন্ন এমন একটি ভূমিখণ্ড, যা অন্য দেশের ভেতরে অবস্থিত। ভারত ও বাংলাদেশের সীমান্তে বহু বছর ধরে এমন ছিটমহল ছিল, যা দুই দেশের নাগরিকদের জন্য ছিল এক গভীর প্রশাসনিক ও মানবিক সমস্যা। এই সমস্যার স্থায়ী সমাধান হয় ২০১৫ সালে, “ভারত-বাংলাদেশ স্থলসীমা চুক্তি (Land Boundary Agreement – LBA)” বাস্তবায়নের মাধ্যমে।
এই ঐতিহাসিক চুক্তির মাধ্যমে দুই দেশের মধ্যে ভূমি-বিনিময় ঘটে এবং তখন—
-
ভারতের ১১১টি ছিটমহল বাংলাদেশের ভৌগোলিক সীমার মধ্যে অন্তর্ভুক্ত হয়,
-
অপরদিকে বাংলাদেশের ৫১টি ছিটমহল ভারতের ভৌগোলিক সীমায় অন্তর্ভুক্ত হয়।
বিষয়টি আরও স্পষ্টভাবে বোঝাতে কিছু মূল তথ্য নিচে তুলে ধরা হলো—
-
১৯৪৭ সালে ব্রিটিশ ভারতের বিভাজনের পর ভারত ও পূর্ব পাকিস্তানের (বর্তমান বাংলাদেশ) সীমান্তে ছিটমহল সমস্যা সৃষ্টি হয়। এর ফলে বাংলাদেশের ভেতরে ভারতের এবং ভারতের ভেতরে বাংলাদেশের ছিটমহল থেকে যায়।
-
এই ভূমিগুলো প্রশাসনিকভাবে বিচ্ছিন্ন হওয়ায় বাসিন্দারা নাগরিক অধিকার, শিক্ষা, স্বাস্থ্যসেবা বা ভোটাধিকারের সুবিধা থেকে বঞ্চিত ছিলেন।
-
দীর্ঘ আলোচনার পর ২০১৫ সালের ৬ জুন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যৌথভাবে চুক্তি স্বাক্ষর করেন।
-
এই চুক্তি কার্যকর হয় ৩১ জুলাই ২০১৫ সালে, যখন উভয় দেশ তাদের নিজ নিজ ছিটমহলের বিনিময় সম্পন্ন করে।
-
বাংলাদেশের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত হওয়া ১১১টি ভারতীয় ছিটমহল মোট আয়তনে প্রায় ১৭,১৬০ একর জমি নিয়ে গঠিত।
-
এই বিনিময়ের মাধ্যমে ছিটমহলবাসীরা প্রথমবারের মতো নিজেদের পছন্দের দেশের নাগরিকত্ব গ্রহণের সুযোগ পান, যা ছিল মানবিক দিক থেকে এক ঐতিহাসিক পদক্ষেপ।
-
ফলে সীমান্তে প্রশাসনিক বিভ্রান্তি দূর হয়, আইন-শৃঙ্খলা জোরদার হয় এবং সীমান্তবর্তী মানুষের জীবনযাত্রায় আসে স্থিতিশীলতা ও নিরাপত্তা।
সবশেষে বলা যায়, ২০১৫ সালের স্থলসীমা চুক্তির মাধ্যমে ভারতের মোট ১১১টি ছিটমহল বাংলাদেশের ভৌগোলিক সীমার অন্তর্ভুক্ত হয়েছে, যা দুই দেশের কূটনৈতিক ইতিহাসে এক গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় হিসেবে স্মরণীয় হয়ে আছে।
0
Updated: 2 weeks ago
ভারত ও নেপালের মধ্যকার বিতর্কিত একটি অঞ্চল-
Created: 2 months ago
A
লাদাখ
B
কালাপানি
C
কাশ্মীর
D
তিনবিঘা করিডোর
• কালাপানি
-
কালাপানি হলো ভারত ও নেপালের মধ্যে বিতর্কিত একটি অঞ্চল, যা উত্তরাখণ্ডের পিথোরাগড় জেলায় অবস্থিত।
-
বর্তমানে এটি ভারত প্রশাসনের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।
-
নেপাল ও ভারতের মধ্যে ১৬ হাজার কিলোমিটারের বেশি খোলা সীমান্ত রয়েছে, যার মধ্যে কিছু অঞ্চল নিয়ে দ্বিপাক্ষিক বিরোধ আছে।
-
বিরোধের কেন্দ্রে থাকা ভূখণ্ডগুলোর মধ্যে কালাপানি, লিপুলেখ ও সুস্তা অন্যতম।
-
অবস্থান: নেপালের উত্তর-পশ্চিম অংশে; দক্ষিণে ভারতের কুমায়ুন, উত্তরে চীনের তিব্বত।
-
এই ভূখণ্ড হলো ভারত, নেপাল ও চীনের সংযোগস্থল।
অন্যান্য উল্লেখযোগ্য সীমান্ত
-
তিন বিঘা করিডোর: বাংলাদেশ ও ভারতের সংযোগ পথ।
-
কাশ্মীর: ভারত ও পাকিস্তান মধ্য অবস্থিত; কিছু অংশ ভারত শাসিত, কিছু পাকিস্তান শাসিত।
উৎস: BBC ও সংশ্লিষ্ট ওয়েবসাইট ✅
0
Updated: 2 months ago
ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে তাসখন্দ চুক্তি কত সালে স্বাক্ষরিত হয়?
Created: 1 month ago
A
১৯৬৩ সালে
B
১৯৬৪ সালে
C
১৯৬৫ সালে
D
১৯৬৬ সালে
তাসখন্দ চুক্তি
-
১৯৬৬ সালের ১০ জানুয়ারি স্বাক্ষরিত।
-
কাশ্মীরকে কেন্দ্র করে ১৯৬৫ সালের ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধের আপাত অবসান ঘটায়।
-
স্বাক্ষর স্থল: তাসখন্দ, উজবেকিস্তান (সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়ন)।
-
মধ্যস্থতাকারী: সোভিয়েত প্রধানমন্ত্রী আলেক্সি কোসিজিন।
-
স্বাক্ষরকারী: ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী লালবাহাদুর শাস্ত্রী ও পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট আইয়ূব খান।
0
Updated: 1 month ago