নিম্নের কোন দেশটি জি-৮ এর সদস্য নয়?
A
জাপান
B
যুক্তরাজ্য
C
ফ্রান্স
D
সুইডেন
উত্তরের বিবরণ
জি-৭ (Group of Seven) হলো বিশ্বের সাতটি উন্নত অর্থনীতির দেশ নিয়ে গঠিত একটি গুরুত্বপূর্ণ আন্তর্জাতিক ফোরাম, যা বৈশ্বিক অর্থনীতি, রাজনীতি ও নিরাপত্তা সংক্রান্ত ইস্যুতে নীতি নির্ধারণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। শুরুতে এই সংগঠনটি জি-৮ নামে পরিচিত ছিল, তবে ২০১৪ সালে রাশিয়াকে বাদ দেওয়ার পর এর বর্তমান নাম হয় জি-৭।
-
প্রতিষ্ঠা: ১৯৭৩ সালে বিশ্বের প্রধান শিল্পোন্নত দেশগুলোর অর্থনৈতিক সহযোগিতা বৃদ্ধির উদ্দেশ্যে গঠিত হয়।
-
প্রথম সম্মেলন: অনুষ্ঠিত হয় ১৯৭৫ সালে, যেখানে সদস্য রাষ্ট্রগুলো আন্তর্জাতিক অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা ও তেল সংকট মোকাবিলা নিয়ে আলোচনা করে।
-
প্রতিষ্ঠাকালীন সদস্য দেশ: ফ্রান্স, যুক্তরাজ্য, জার্মানি, ইতালি, জাপান এবং যুক্তরাষ্ট্র — মোট ৬টি দেশ।
-
বর্তমান সদস্য দেশ: ৭টি — কানাডা, যুক্তরাষ্ট্র, ফ্রান্স, যুক্তরাজ্য, ইতালি, জাপান এবং জার্মানি।
-
রাশিয়ার যোগদান: ১৯৯৮ সালে রাশিয়া যুক্ত হয়ে সংগঠনটির নাম পরিবর্তিত হয় জি-৮ এ।
-
রাশিয়াকে বাদ দেওয়া: ২০১৪ সালে ক্রিমিয়া সংকটের কারণে রাশিয়ার সদস্যপদ স্থগিত করা হয়, এবং সংগঠনটি পুনরায় জি-৭ নামে কার্যক্রম শুরু করে।
-
সদর দপ্তর: জি-৭-এর কোনো স্থায়ী সদর দপ্তর নেই; প্রতি বছর সদস্য দেশগুলোর মধ্যে একটির উদ্যোগে সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
-
মূল উদ্দেশ্য: বৈশ্বিক অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা, জলবায়ু পরিবর্তন, নিরাপত্তা, বাণিজ্যনীতি ও উন্নয়ন সহযোগিতার মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে পারস্পরিক সমন্বয় সাধন করা।
বর্তমানে জি-৭ আন্তর্জাতিক রাজনীতি ও অর্থনৈতিক কৌশল নির্ধারণে অন্যতম প্রভাবশালী গোষ্ঠী হিসেবে বিবেচিত, যা বৈশ্বিক নীতি-নির্ধারণ প্রক্রিয়ায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
0
Updated: 4 hours ago
কোন যুদ্ধের প্রেক্ষাপটে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে Uniting for peace resolution গৃহীত হয়েছিল?
Created: 1 month ago
A
ভিয়েতনাম যুদ্ধ
B
কোরীয় যুদ্ধ
C
পাক-ভারত যুদ্ধ
D
ইজরাইল- ফিলিস্তিন
কোরীয় যুদ্ধ শীতল যুদ্ধকালীন এক গুরুত্বপূর্ণ সংঘাত, যা কোরীয় উপদ্বীপকে উত্তর ও দক্ষিণে স্থায়ীভাবে বিভক্ত করে দেয়। এতে একদিকে সোভিয়েত ইউনিয়ন ও চীনের সমর্থনপ্রাপ্ত উত্তর কোরিয়া এবং অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্র ও পশ্চিমা মিত্রদের সমর্থনপ্রাপ্ত দক্ষিণ কোরিয়ার মধ্যে যুদ্ধ সংঘটিত হয়।
-
যুদ্ধকাল: ১৯৫০ থেকে ১৯৫৩ সাল।
-
বিবাদমান পক্ষ:
-
উত্তর কোরিয়া (সোভিয়েত ইউনিয়ন ও চীনের সমর্থিত)
-
দক্ষিণ কোরিয়া (মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও মিত্রদের সমর্থিত)
-
-
জাতিসংঘের ভূমিকা:
-
৩ নভেম্বর, ১৯৫০ সালে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ “Uniting for Peace” প্রস্তাব গ্রহণ করে, যা শান্তি প্রতিষ্ঠা ও উত্তেজনা প্রশমনের চেষ্টা চালায়।
-
-
যুদ্ধের সমাপ্তি: ২৭ জুলাই, ১৯৫৩ সালে কোরীয় যুদ্ধের আনুষ্ঠানিক সমাপ্তি ঘটে।
0
Updated: 1 month ago
থাইল্যান্ডের নতুন প্রধানমন্ত্রীর নাম কী? (সেপ্টেম্বর-২০২৫)
Created: 1 month ago
A
পেতংতার্ন সিনাওয়াত্রা
B
অনুতিন চার্নভিরাকুল
C
স্রেত্থা থাভিসিন
D
থাকসিন শিনাওয়াত্রা
থাইল্যান্ডের নতুন প্রধানমন্ত্রী
-
নাম: অনুতিন চার্নভিরাকুল
-
নির্বাচন: ৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫, পার্লামেন্ট ভোটাভুটি
-
ভোট: ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলির ৪৯২ সদস্যের মধ্যে ৩১১ ভোট পান
-
পদ গ্রহণ: পার্লামেন্টের অনুমোদনের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী
-
পেশাগত পটভূমি: নির্মাণ খাতের বড় ব্যবসায়ী; আগে দেশটির উপপ্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও স্বাস্থ্যমন্ত্রী
-
বিখ্যাত কর্মকাণ্ড: ২০২২ সালে গাঁজা আইন প্রণয়নের প্রতিশ্রুতি পূরণে সর্বাধিক পরিচিত
-
বয়স: ৫৮ বছর
0
Updated: 1 month ago
ফ্রান্স ও জার্মানির মধ্যে সীমারেখা-
Created: 1 month ago
A
সনোরা লাইন
B
ম্যাজিনো লাইন
C
লাইন অব ডিমারকেশন
D
হিন্ডারবার্গ লাইন
ম্যাজিনো লাইন হলো ফ্রান্স ও জার্মানির মধ্যে স্থাপনকৃত একটি প্রতিরক্ষা সীমারেখা, যা প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পর ফ্রান্সে নির্মিত হয়েছিল। এটি সম্ভাব্য আগ্রাসনের বিরুদ্ধে শক্ত প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা হিসেবে বিবেচিত হতো, কিন্তু দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় জার্মান বাহিনী এই লাইনকে পাশ কাটিয়ে প্রবেশ করতে সক্ষম হয়।
-
অবস্থান: ফ্রান্স ও জার্মানির সীমান্ত
-
উদ্দেশ্য: আগ্রাসন প্রতিহত করা
-
গঠন: শক্তিশালী কেল্লা, স্যান্ডব্যাগ, বাঙ্কার ও ট্যাঙ্ক বাধা
-
ফলাফল: দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে কার্যকরতা হারায়
অন্যান্য উল্লেখযোগ্য প্রতিরক্ষা লাইনসমূহ:
-
ম্যানারহেম রেখা: রাশিয়া ও ফিনল্যান্ড
-
লাইন অব ডিমারকেশন: পর্তুগাল ও স্পেন
-
ওডারনিস লাইন: জার্মানি ও পোল্যান্ড
-
সিগফ্রিড লাইন: জার্মানি ও ফ্রান্স
-
হিন্ডারবার্গ লাইন: জার্মানি ও ফ্রান্স
-
সনোরা লাইন: যুক্তরাষ্ট্র ও মেক্সিকো
0
Updated: 1 month ago