সাধু রীতির বৈশিষ্ট্য কোনটি?
A
ক্রিয়ারূপ সংক্ষিপ্ত
B
ক্রিয়ারূপ দীর্ঘ
C
শব্দ প্রয়োগে চলিত ভাব
D
বাক্য গঠন সরল
উত্তরের বিবরণ
বাংলা ভাষার দুটি প্রধান রীতি হলো সাধু রীতি ও চলিত রীতি। সাধু রীতিতে ভাষার ব্যবহার অধিক গম্ভীর, সাহিত্যিক ও প্রাচীন ধাঁচের। এটি সাধারণত প্রাচীন বাংলা সাহিত্য, উপন্যাস, ধর্মীয় বা ঐতিহাসিক লেখায় ব্যবহৃত হয়েছে। নিচে এর প্রধান বৈশিষ্ট্যগুলো তুলে ধরা হলো—
-
ক্রিয়ারূপ দীর্ঘ হয়, যেমন — করিয়াছি, যাইতেছি, বলিয়াছিলাম ইত্যাদি।
-
শব্দচয়ন গম্ভীর ও প্রমিত, যা প্রাচীন ধাঁচের সৌন্দর্য বহন করে।
-
বাক্যগঠন জটিল ও অলঙ্কারপূর্ণ, যেখানে বিশ্লেষণধর্মী ভাষা ব্যবহৃত হয়।
-
সমাস ও তৎসম শব্দের আধিক্য দেখা যায়, যেমন — বিধাতা, মনুষ্য, প্রজাপতি।
-
ব্যবহার ক্ষেত্র মূলত প্রাচীন সাহিত্য, ধর্মীয় গ্রন্থ ও বক্তৃতামূলক ভাষায়।
-
চলিত রীতির সঙ্গে পার্থক্য হলো এর কৃত্রিমতা ও গাম্ভীর্য। চলিত রীতি তুলনামূলকভাবে সহজ, কথ্য ভাষার কাছাকাছি।
সুতরাং, সাধু রীতির মূল বৈশিষ্ট্য ক্রিয়ারূপ দীর্ঘ—এটি একে চলিত রীতি থেকে আলাদা করে।
0
Updated: 5 hours ago
কোনটি সাধুরীতির শব্দ?
Created: 2 months ago
A
আজ
B
জোসনা
C
মিনতি
D
জল
বাংলা ভাষায় সাধু রীতি (শাস্ত্রীয়/প্রাচীন ধারা) ও চলিত রীতি (আধুনিক ব্যবহার) – এই দুই ধরনের ভঙ্গি আছে।
-
আজ → চলিত রীতির শব্দ। সাধু রীতিতে বলা হয় "অদ্য"।
-
জোসনা → সাধু রীতির শব্দ। চলিত রীতিতে ব্যবহার হয় "আলো" বা "চাঁদের আলো"।
-
মিনতি → চলিত রীতির শব্দ। সাধু রীতিতে ব্যবহার হয় "প্রার্থনা" বা "অনুরোধ"।
-
জল → চলিত রীতি। সাধু রীতিতে বলা হয় "তোয়" বা "পানি" নয়, তবে "জল" সাধারণত চলিত রীতিতেই বেশি ব্যবহৃত।
তাই প্রদত্ত বিকল্পের মধ্যে ‘জোসনা’ হলো সাধু রীতির শব্দ।
0
Updated: 2 months ago
সাধু ভাষা রীতির ব্যবহার কোন ক্ষেত্রে অনুপযোগী?
Created: 1 month ago
A
নাটকের সংলাপে
B
কাব্য রচনায়
C
গদ্য-সাহিত্যে
D
কোনোটিই নয়
প্রখ্যাত ভাষাতত্ত্ববিদ ড. সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায়ের মতে, "সাধারণ গদ্য-সাহিত্যে ব্যবহৃত বাঙলা ভাষাকে সাধু ভাষা বলা হয়।" অর্থাৎ, বাংলা গদ্য-সাহিত্যে ব্যবহৃত সংস্কৃত শব্দবহুল, মার্জিত, নিয়মমাফিক এবং সর্বজনবোধ্য ভাষারূপ হলো সাধুভাষা।
-
সাধুভাষা মূলত লেখ্য ভাষা হিসেবে ব্যবহৃত হয় এবং বক্তৃতা, নাটক বা আলাপচারিতার জন্য অনুপযোগী, কারণ এটি কৃত্রিম রূপ ধারণ করে।
উদাহরণ: "যাহাকে তাহাকে মারিতে যাওয়া তোমার উচিত হয় নাই।" এখানে--
'যাহাকে', 'তাহাকে' = সর্বনাম পদ
-
'মারিতে' = ক্রিয়া পদ
-
'নাই' = নঞর্থক অব্যয় (যোজক) পদের পূর্ণরূপ
-
-
সাধুভাষায় ক্রিয়া, সর্বনাম ও নঞর্থক অব্যয় পদের পূর্ণরূপ বজায় রাখা হয় এবং এতে সহজ, সরল, তদ্ভব ও দেশি-বিদেশি শব্দের সমাবেশও হালকা রীতিতে ব্যবহৃত হতে পারে।
বাংলা ভাষার সাধু রীতির বৈশিষ্ট্য:
-
লেখ্য সাধু রীতি সুনির্ধারিত ব্যাকরণের নিয়ম অনুসরণ করে এবং পদবিন্যাস সুনিয়ন্ত্রিত ও সুনির্দিষ্ট।
-
এ রীতি গুরুগম্ভীর এবং তৎসম শব্দবহুল।
-
নাটকের সংলাপ বা বক্তৃতার জন্য অানুপযোগী।
-
সর্বনাম ও ক্রিয়া পদ এক বিশেষ গঠনপদ্ধতি মেনে চলে।
0
Updated: 1 month ago
সাধুরীতিতে কোন পদটি দীর্র্ঘরূপ হয় না?
Created: 2 months ago
A
বিশেষ্য
B
অব্যয়
C
সর্বনাম
D
ক্রিয়া
সাধুরীতিতে সর্বনাম ও ক্রিয়ার পূর্ণ ও দীর্ঘরূপ ব্যবহৃত হয় এবং সাধু রীতিতে অব্যয় পদটির দীর্ঘরুপ হয় না।
0
Updated: 2 months ago