‘ননীর পুতুল’ বাগধারাটি বাংলায় এমন একজন ব্যক্তিকে বোঝাতে ব্যবহৃত হয় যিনি সামান্য কষ্ট বা শ্রমে দুর্বল হয়ে পড়েন। এটি সাধারণত দুর্বল মানসিকতা বা শারীরিক কোমলতার প্রতীক হিসেবেও ব্যবহৃত হয়।

• ‘ননীর’ অর্থ ঘি বা মাখনজাতীয় নরম পদার্থ, যা গলনশীল ও কোমল। তাই ‘ননীর পুতুল’ মানে এমন কেউ যিনি একটু কষ্ট পেলে গলে যান বা ভেঙে পড়েন।

• এই বাগধারাটি রূপক অর্থে ব্যবহার করা হয়—যেমন কোনো দুর্বল বা সংবেদনশীল মানুষকে বোঝাতে বলা হয়, “ও তো ননীর পুতুল, একটু কাজ করলেই ঘাম ঝরে।”

• বাংলা সাহিত্য ও কথ্য ভাষায় এ বাগধারাটি ব্যবহার হয় এমন মানুষকে ঠাট্টা করে বোঝাতে, যারা কঠোর পরিশ্রম করতে পারে না।

• সমার্থক বাগধারা: ‘দুধে ধোয়া তুলসীপাতা’ বা ‘রেশমি ছেলে’ — যেগুলোও কোমলতা বা দুর্বলতার ভাব প্রকাশ করে।

• বিপরীতার্থক বাগধারা: ‘লোহা মানুষ’ বা ‘কঠিন মানুষ’।