বাংলাদেশের মোট সীমান্ত দৈর্ঘ্য কত?
A
৪৯৭০ কিমি
B
৫০৪৫ কিমি
C
৫১৩৮ কিমি
D
৫২১০ কিমি
উত্তরের বিবরণ
বাংলাদেশ দক্ষিণ এশিয়ার একটি ছোট কিন্তু ভৌগোলিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ দেশ। এটি তিন দিক থেকে ভারতের দ্বারা বেষ্টিত এবং দক্ষিণ দিকে বঙ্গোপসাগর দ্বারা সীমাবদ্ধ। নিচে বাংলাদেশের সীমান্ত সংক্রান্ত মূল তথ্যগুলো তুলে ধরা হলো।
-
মোট সীমান্ত দৈর্ঘ্য: ৫১৩৮ কিলোমিটার।
-
ভারতের সঙ্গে সীমান্ত: প্রায় ৪,০৯৬ কিমি, যা মোট সীমান্তের প্রায় ৮০%।
-
মিয়ানমারের সঙ্গে সীমান্ত: প্রায় ২৭১ কিমি।
-
বঙ্গোপসাগর উপকূলরেখা: প্রায় ৭১০ কিমি, যা বাংলাদেশের দক্ষিণ সীমা নির্দেশ করে।
-
সর্বাধিক সীমান্তযুক্ত ভারতীয় রাজ্য: পশ্চিমবঙ্গ, এরপর ত্রিপুরা, মেঘালয়, মিজোরাম ও আসাম।
-
সীমান্ত নির্ধারণ সংক্রান্ত চুক্তি: ২০১৫ সালে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে “ল্যান্ড বাউন্ডারি এগ্রিমেন্ট (LBA)” সম্পাদিত হয়, যার মাধ্যমে দীর্ঘদিনের ছিটমহল সমস্যা সমাধান হয়।
-
সীমান্ত রক্ষা বাহিনী: বাংলাদেশে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (BGB) এই সীমান্তের নিরাপত্তা ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষার দায়িত্বে রয়েছে।
এই তথ্যগুলো থেকে বোঝা যায়, বাংলাদেশের ভূ-অবস্থান কৌশলগতভাবে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, যা দেশটির বাণিজ্য, নিরাপত্তা এবং আন্তর্জাতিক সম্পর্কের ওপর গভীর প্রভাব ফেলে।
0
Updated: 5 hours ago
দেশের কোন জেলায় সর্ববৃহৎ সৌরবিদ্যুৎ কেন্দ্র অবস্থিত?
Created: 1 month ago
A
চট্টগ্রাম
B
ফেনী
C
নরসিংদী
D
ময়মনসিংহ
দেশের বৃহত্তম সৌরবিদ্যুৎ কেন্দ্র ময়মনসিংহে অবস্থিত এবং এটি দেশের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ পুনর্নবীকরণযোগ্য শক্তি উৎস হিসেবে কাজ করছে।
এই কেন্দ্রের মাধ্যমে বাংলাদেশের বিদ্যুৎ উৎপাদন সক্ষমতা বাড়ানো হচ্ছে এবং পরিবেশ বান্ধব প্রযুক্তি ব্যবহার করে বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত করা হচ্ছে।
-
দেশের সর্ববৃহৎ সৌরবিদ্যুৎ কেন্দ্র ময়মনসিংহের গৌরীপুর উপজেলার সুতিয়াখালীতে অবস্থিত।
-
বাংলাদেশ, মালয়েশিয়া ও সিঙ্গাপুরের যৌথ উদ্যোগে এইচ ডি এফ সি সিন পাওয়ার লিমিটেড ১৭৪ একর জমির ওপর ৮০০ কোটি টাকা ব্যয়ে অত্যাধুনিক প্রযুক্তির পরিবেশ বান্ধব সৌর বিদ্যুৎ উৎপাদন প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে।
-
প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান Huawei Smart Photovoltaic (PV) Install এর মাধ্যমে জাতীয় গ্রিডের সঙ্গে এই সৌরবিদ্যুৎ কেন্দ্র যুক্ত হয়েছে।
-
এই কেন্দ্রের বিদ্যুৎ উৎপাদনের ক্ষমতা ৭৩ মেগাওয়াট, যা দেশের পুনর্নবীকরণযোগ্য শক্তি উৎপাদনে বড় ভূমিকা রাখে।
0
Updated: 1 month ago
চব্বিশের গণঅভ্যুত্থানের পর বাংলাদেশের জাতীয় সংসদের সংস্কার বিষয়ে ঐকমত্যের অন্যতম প্রস্তাব কি?
Created: 4 weeks ago
A
দ্বি-স্তর বিশিষ্ট সংসদ
B
সংসদের আসন বৃদ্ধি
C
সংরক্ষিত নারী আসন বাতিল
D
পি আর (PR) চালু করা
চব্বিশের গণঅভ্যুত্থানের পর বাংলাদেশের জাতীয় সংসদ সংস্কার নিয়ে ঐকমত্যের অন্যতম প্রস্তাব ছিল দ্বি-স্তর বিশিষ্ট সংসদ গঠন। এ প্রস্তাবের উদ্দেশ্য ছিল সংসদীয় ব্যবস্থাকে আরও কার্যকর, ভারসাম্যপূর্ণ ও জনকেন্দ্রিক করা।
সংস্কার প্রস্তাবের মূল দিকগুলো হলো:
-
বর্তমান এককক্ষের পরিবর্তে নিম্নকক্ষ (জাতীয় সংসদ) ও উচ্চকক্ষ (সিনেট) গঠন করা হবে।
-
এই ব্যবস্থায় আইন প্রণয়ন প্রক্রিয়া হবে আরও সুষ্ঠু ও চেক-অ্যান্ড-ব্যালেন্স ভিত্তিক।
-
নিম্নকক্ষে ৪০০ সদস্য থাকবে (এর মধ্যে ৩০০ জন সরাসরি নির্বাচিত ও ১০০ জন নারী সংরক্ষিত আসনে সরাসরি নির্বাচিত)।
-
উচ্চকক্ষে ১০৫ সদস্য থাকবে (এর মধ্যে ১০০ জন সমানুপাতিক প্রতিনিধিত্বের মাধ্যমে নির্বাচিত, ৫ জন রাষ্ট্রপতির মনোনীত, এবং ৩০% নারী সংরক্ষিত আসন)।
অতিরিক্ত তথ্য:
-
২০২৪ সালের অক্টোবরের প্রথম সপ্তাহে সরকার ছয়টি সংস্কার কমিশন গঠন করে—সংবিধান, নির্বাচনব্যবস্থা, বিচার বিভাগ, দুর্নীতি দমন কমিশন, পুলিশ এবং জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন।
-
সংস্কার বিষয়ে ঐকমত্য গঠনের লক্ষ্যে ১৫ ফেব্রুয়ারি যাত্রা শুরু করে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন।
-
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস এই কমিশনের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
0
Updated: 4 weeks ago
‘গজল ডোবা বাধ’ বাংলাদেশের কোন নদীর উজানে অবস্থিত?
Created: 1 week ago
A
পদ্মা
B
মেঘনা
C
যমুনা
D
তিস্তা
‘গজল ডোবা বাধ’ বাংলাদেশের তিস্তা নদীর উজানে অবস্থিত। এটি তিস্তা নদীর উপর নির্মিত একটি গুরুত্বপূর্ণ বাঁধ যা বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চলে অবস্থিত। এই বাঁধের মূল উদ্দেশ্য হলো তিস্তা নদীর প্রবাহ নিয়ন্ত্রণ করা এবং বন্যার ঝুঁকি কমানো। এছাড়াও, এটি কৃষিকাজের জন্য জল সেচ সরবরাহ করতে সহায়ক ভূমিকা পালন করে। চলুন, তিস্তা নদী এবং গজল ডোবা বাধ সম্পর্কিত কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দেখে নিই।
-
তিস্তা নদী: তিস্তা নদী বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চলে প্রবাহিত প্রধান নদীগুলির মধ্যে অন্যতম। এটি হিমালয় পর্বতের পাদদেশ থেকে উৎপন্ন হয়ে ভারত এবং বাংলাদেশ সীমান্ত বরাবর প্রবাহিত হয়। তিস্তা নদী বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলে সেচ ব্যবস্থার জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে।
-
গজল ডোবা বাধ: গজল ডোবা বাধ তিস্তা নদীর উপর নির্মিত একটি বাঁধ, যা ১৯৮০-এর দশকে নির্মাণ করা হয়। এটি তিস্তার উজানে অবস্থিত এবং নদীর প্রবাহ নিয়ন্ত্রণে সহায়ক হিসেবে কাজ করে। এই বাঁধটির মাধ্যমে বন্যা নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হয়েছে এবং আঞ্চলিক কৃষিকাজের জন্য গুরুত্বপূর্ণ জল সেচ ব্যবস্থা নিশ্চিত করা হয়েছে।
-
উদ্দেশ্য ও গুরুত্ব: গজল ডোবা বাধের মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে তিস্তা নদীর প্রবাহ নিয়ন্ত্রণ, বন্যা প্রতিরোধ, এবং কৃষিক্ষেত্রে জল সেচের সুবিধা প্রদান করা। বাঁধটি পানি ব্যবস্থাপনা, কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধি এবং জলবিদ্যুৎ উৎপাদনে সাহায্য করে থাকে।
-
অর্থনৈতিক ও পরিবেশগত প্রভাব: এই বাঁধটি তিস্তা নদী বেসিনের ওপর ইতিবাচক প্রভাব ফেলেছে। তবে, কিছু সমালোচনাও রয়েছে, যেমন পরিবেশগত ক্ষতি এবং কিছু স্থানীয় জনগণের উপর এর প্রভাব। তবে, এখনও এটি নদী এলাকার অর্থনৈতিক উন্নয়নে অবদান রাখছে।
-
গজল ডোবা বাধের অবস্থান: এটি তিস্তা নদীর উপর সিলেট বিভাগের উত্তর-পশ্চিম অংশে অবস্থিত। এখান থেকে পানি সেচ কার্যক্রম এবং তিস্তার জলমগ্ন এলাকা থেকে কৃষিকাজের জন্য জল সরবরাহ করা হয়।
গজল ডোবা বাধের নির্মাণ তিস্তা নদীর উপর প্রভাব বিস্তার করেছে, যার ফলে এখানে থাকা জনগণ এবং কৃষকরা সুবিধা পাচ্ছেন। তিস্তা নদী এবং গজল ডোবা বাধ বাংলাদেশের কৃষি ও পানি ব্যবস্থাপনা ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে।
0
Updated: 1 week ago