‘সুরঞ্জনা ওইখানে যেয়ো নাকো তুমি’ কোন কবি বলেছেন?
A
সুকান্ত ভট্টাচার্য
B
কামিনী রায়
C
বুদ্ধদেব বসু
D
জীবনানন্দ দাশ
উত্তরের বিবরণ
‘সুরঞ্জনা ওইখানে যেয়ো নাকো তুমি’ কবিটি বলেছেন জীবনানন্দ দাশ।
-
এটি জীবনানন্দ দাশের ‘আকাশনীলা’ কবিতার একটি অংশ।
-
জীবনানন্দ দাশ আধুনিক বাংলা কবিতার প্রধান প্রতিনিধি এবং তার কবিতায় প্রাকৃতিক সৌন্দর্য, নীরবতা ও অন্তর্মুখী অনুভূতির প্রকাশ লক্ষ্য করা যায়।
-
এই কবিতায় নদী, আকাশ, প্রকৃতি ও মানবিক অনুভূতির সংমিশ্রণ দেখা যায়।
-
জীবনানন্দের ভাষা সরল কিন্তু গভীর অর্থবহ, যা পাঠকের মনে স্থায়ী প্রভাব ফেলে।
-
‘সুরঞ্জনা ওইখানে যেয়ো নাকো তুমি’ অংশটি কবিতার নান্দনিক ও সুরম্য রূপকে ফুটিয়ে তোলে।
-
বাংলা সাহিত্যে জীবনানন্দ দাশের অবদান বিশেষভাবে আধুনিক কবিতার ধারাকে সমৃদ্ধ করেছে।
0
Updated: 7 hours ago
'সেইদিন এই মাঠ' কবিতার রচয়িতা কে?
Created: 1 month ago
A
রণেশ দাশগুপ্ত
B
বুদ্ধদেব বসু
C
জীবনানন্দ দাশ
D
হেমচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়
‘সেইদিন এই মাঠ’ জীবনানন্দ দাশের কাব্যগ্রন্থ ‘রূপসী বাংলা’-র প্রথম কবিতা। এই গ্রন্থটি প্রকাশিত হয় কবির মৃত্যুর পর, ১৯৫৭ সালে এবং উৎসর্গ করা হয়েছে **‘আবহমান বাংলা, বাঙালী’**কে। কবিতায় জীবনানন্দের বাংলা ও বাংলার প্রকৃতি, স্মৃতি ও সৌন্দর্যের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা ফুটে ওঠে।
জীবনানন্দ দাশ জন্মগ্রহণ করেন ১৮৯৯ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি বরিশালে, এবং তাঁদের আদি নিবাস ছিল বিক্রমপুরের গাওপাড়া গ্রামে। তাঁকে সাধারণত ধূসরতার কবি বলা হয়। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর তাঁর কবিতাকে চিত্ররূপময় কবিতা হিসেবে প্রশংসা করেছেন।
জীবনানন্দ দাশের রচিত উল্লেখযোগ্য কাব্যগ্রন্থসমূহ
-
ঝরাপালক (প্রথম প্রকাশিত)
-
ধূসর পান্ডুলিপি
-
বনলতা সেন
-
রূপসী বাংলা
-
মহাপৃথিবী
-
সাতটি তারার তিমির
-
বেলা অবেলা কালবেলা
0
Updated: 1 month ago
জীবনানন্দ দাশের জন্মস্থান কোন জেলায়?
Created: 5 months ago
A
বরিশাল জেলা
B
ফরিদপুর জেলা
C
ঢাকা জেলা
D
রাজশাহী জেলা
জীবনানন্দ দাশ
জীবনানন্দ দাশ ছিলেন বাংলা সাহিত্যের এক বিশিষ্ট কবি ও শিক্ষাবিদ। তিনি ১৮৯৯ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি বরিশালে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পৈতৃক নিবাস ছিল বিক্রমপুরের গাওপাড়া গ্রামে। পিতা সত্যানন্দ দাশ ছিলেন একজন স্কুলশিক্ষক ও সমাজসেবক, আর মাতা কুসুমকুমারী দাশ নিজেও একজন কবি ছিলেন।
১৯৫৪ সালের ১৪ অক্টোবর কলকাতায় এক ট্রাম দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত হয়ে তিনি ২২ অক্টোবর মৃত্যুবরণ করেন।
জীবনানন্দ দাশের উপাধি ও অভিধা:
-
ধুসরতার কবি
-
তিমির হননের কবি
-
রূপসী বাংলার কবি
-
নির্জনতার কবি
প্রধান রচনা:
কাব্যগ্রন্থসমূহ:
-
ঝরা পালক (প্রথম কাব্যগ্রন্থ)
-
ধূসর পাণ্ডুলিপি
-
বনলতা সেন
-
মহাপৃথিবী
-
সাতটি তারার তিমির
-
রূপসী বাংলা
-
বেলা অবেলা কালবেলা
উপন্যাস:
-
মাল্যবান
-
সুতীর্থ
প্রবন্ধ:
-
কবিতার কথা
উৎস:
বাংলা ভাষা সাহিত্য জিজ্ঞাসা, ড. সৌমিত্র শেখর; বাংলাপিডিয়া।
0
Updated: 5 months ago
জীবনানন্দ দাশের মৃত্যুর পর কোন কাব্যগ্রন্থটি প্রকাশিত হয়?
Created: 1 month ago
A
ঝরাপালক
B
রূপসী বাংলা
C
বনলতা সেন
D
সাতটি তারার তিমির
সঠিক উত্তর হলো: খ) রূপসী বাংলা। জীবনানন্দ দাশের ‘রূপসী বাংলা’ কাব্যগ্রন্থটি তাঁর মৃত্যুর তিন বছর পর ১৯৫৭ সালে প্রকাশিত হয়।
এই কাব্যগ্রন্থে জীবনের গ্রামীণ দৃশ্য, প্রকৃতি ও বাংলার সৌন্দর্যের প্রতি তাঁর গভীর ভালোবাসা ফুটে উঠেছে এবং এটি তাঁর অন্যতম শ্রেষ্ঠ কাব্য হিসেবে বিবেচিত।
• ‘রূপসী বাংলা’ কাব্যগ্রন্থের প্রকাশ:
-
জীবনানন্দ দাশ ১৯৫৪ সালের ২২ অক্টোবর মারা যান।
-
মৃত্যুর পর ১৯৫৭ সালে ‘রূপসী বাংলা’ প্রকাশিত হয়।
-
কাব্যগ্রন্থটি বাংলার প্রকৃতি, গ্রামীণ জীবন ও সৌন্দর্যের প্রতি কবির গভীর অনুরাগের প্রতিফলন।
• কাব্যগ্রন্থটির বৈশিষ্ট্য:
-
কবিতাগুলি মূলত সনেট আকারের।
-
বিষয়বস্তুতে রয়েছে বাংলার গ্রাম, নদীনালা, পশু-পাখি, উৎসব ও অনুষ্ঠান।
-
‘আবার আসিব ফিরে’ কাব্যটির একটি বিখ্যাত কবিতা।
• অন্যান্য কাব্যগ্রন্থের সংক্ষিপ্ত বিশ্লেষণ:
-
ঝরা পালক:
-
জীবনানন্দ দাশের প্রথম কাব্যগ্রন্থ, প্রকাশিত ১৯২৭ সালে।
-
গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী প্রকৃতিকে কবিতায় তুলে ধরা হয়েছে।
-
রবীন্দ্রনাথ, কাজী নজরুল ইসলাম ও সত্যেন্দ্রনাথ দত্তের প্রভাব লক্ষ্য করা যায়।
-
-
বনলতা সেন:
-
আধুনিক বাংলা সাহিত্যের খ্যাতনামা কাব্য, প্রকাশিত ১৯৪২ সালে।
-
‘বনলতা সেন’ কবিতাটি বাংলা সাহিত্যের অন্যতম শ্রেষ্ঠ কবিতা।
-
কাব্যে প্রেম, প্রকৃতি, ইতিহাস ও ব্যক্তিগত অনুভূতির সমাহার ফুটে উঠেছে।
-
-
সাতটি তারার তিমির:
-
জীবনানন্দের পঞ্চম কাব্যগ্রন্থ, প্রকাশিত ১৯৪৮ সালে।
-
প্রথম কবিতা ‘আকাশনীলা’।
-
বইটি হুমায়ুন কবিরকে উৎসর্গ করা।
-
0
Updated: 1 month ago