‘ঠাকুর’ পরিবারের আসল পদবি ছিল-
A
ঘোষ
B
কুশারী
C
মুখোপাধ্যায়
D
শাস্ত্রী
উত্তরের বিবরণ
‘ঠাকুর’ পরিবারের আসল পদবি ছিল মুখোপাধ্যায়।
-
ঠাকুর পদটি মূলত কুশারী সম্প্রদায়ের উচ্চ পদবী হিসেবে ব্যবহৃত হত।
-
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের পূর্বপুরুষ ছিলেন জগন্নাথ কুশারী, তাই তাদের আসল পদবি মুখোপাধ্যায় ছিল।
-
সময়ের সাথে সাথে ‘ঠাকুর’ সামাজিক ও সম্মানসূচক উপাধি হিসেবে প্রচলিত হয়।
-
এটি গৌরব ও মর্যাদা প্রদর্শনের জন্য ব্যবহৃত হলেও মূল পদবি ছিল পেশাগত ও পারিবারিক পরিচয়সূচক।
-
উদাহরণ: রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের পূর্ণ নামের ইতিহাস অনুযায়ী পূর্বপুরুষরা মুখোপাধ্যায় পদবী ধারণ করতেন।
-
ব্যাকরণিক ও ঐতিহাসিক দৃষ্টিকোণ থেকে, পরিবারিক পদবি ও সামাজিক উপাধির পার্থক্য স্পষ্টভাবে লক্ষ্য করা যায়।
-
বাংলা সাহিত্যে ও ইতিহাসে ‘ঠাকুর’ উপাধির সামাজিক গ্রহণযোগ্যতা এবং আসল পদবীর উল্লেখ গুরুত্বপূর্ণ।
0
Updated: 7 hours ago
"আমার সোনার বাংলা" গানটির সুরকার কে?
Created: 1 month ago
A
কাজী নজরুল ইসলাম
B
দ্বিজেন্দ্রলাল রায়
C
দেবাশীষ রায়
D
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
‘আমার সোনার বাংলা’ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর রচিত এক অনন্য দেশাত্মবোধক সঙ্গীত, যা পরবর্তীকালে বাংলাদেশের জাতীয় সঙ্গীত হিসেবে স্বীকৃতি পায়। এটি বাঙালির জাতীয় চেতনা, দেশপ্রেম ও মাতৃভূমির প্রতি গভীর অনুরাগের প্রতীক।
প্রকাশ ও প্রেক্ষাপট:
-
গানটি প্রথম প্রকাশিত হয় ১৩১২ বঙ্গাব্দে (১৯০৫ খ্রিস্টাব্দ) ‘বঙ্গদর্শন’ পত্রিকায়।
-
এটি রচিত হয়েছিল ব্রিটিশদের বঙ্গভঙ্গ প্রক্রিয়ার বিরোধিতা জানাতে। বঙ্গভঙ্গের সময় বাঙালির হৃদয়ে যে দেশপ্রেমের ঢেউ উঠেছিল, এই গান সেই আবেগের এক সজীব প্রকাশ।
-
‘আমার সোনার বাংলা’ সঙ্গীতটি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের স্বদেশ পর্যায়ের গান, যেখানে মাটির টান, প্রকৃতিপ্রেম ও মাতৃভূমির প্রতি ভক্তি একত্রে মিশে আছে।
সঙ্গীতের বৈশিষ্ট্য ও তাৎপর্য:
-
এই গানের প্রথম ১০ পঙ্ক্তি বাংলাদেশের জাতীয় সঙ্গীত হিসেবে গৃহীত হয়েছে।
-
গানটি রবীন্দ্রনাথের ‘গীতবিতান’-এর স্বরবিতান অংশে অন্তর্ভুক্ত।
-
গানের সুর করেছেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর নিজে, তবে এতে বাউল গগন হরকরা-এর জনপ্রিয় গান “আমার মন যে করে আয় রে উড়ু উড়ু”-এর সুরের প্রভাব বিদ্যমান।
-
এই গান বাংলার প্রকৃতি, মাটি, ধানক্ষেত, নদী ও বাতাসের মধ্য দিয়ে এক স্নিগ্ধ দেশপ্রেমের আবহ সৃষ্টি করে।
অতএব, ‘আমার সোনার বাংলা’ কেবল একটি দেশাত্মবোধক গান নয়, এটি বাঙালির স্বাধীনতা, ঐক্য ও মাতৃভূমির প্রতি অনন্ত ভালোবাসার প্রতীক।
0
Updated: 1 month ago
নিচের কোনটি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর রচিত 'শাস্তি' ছোটগল্পের বিখ্যাত চরিত্র?
Created: 1 month ago
A
চন্দরা, ছিদাম
B
রুপলেখা, অনন্ত
C
অনুরাধা, শ্রীবিলাস
D
অপর্ণা, সুরঞ্জিত
‘শাস্তি’ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর রচিত একটি বিখ্যাত ছোটগল্প, যেখানে গ্রামীণ জীবনের কঠোর বাস্তবতা এবং মানবিক সম্পর্কের টানাপোড়েন অত্যন্ত নিপুণভাবে তুলে ধরা হয়েছে। গল্পটির মূল কেন্দ্রবিন্দু হলো দুই ভাই দুখিরাম ও ছিদাম এবং তাদের স্ত্রী চন্দরা ও রাধা।
গল্পে দেখা যায়, দারিদ্র্য ও অভাবের তাড়নায় জর্জরিত এই পরিবারের সদস্যদের মধ্যে ক্রমে জন্ম নেয় সন্দেহ, অবিশ্বাস এবং মানসিক টানাপোড়েন। এক পর্যায়ে স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্কের জটিলতা এমন এক চরম অবস্থায় পৌঁছে যায়, যার ফলস্বরূপ ঘটে মর্মান্তিক পরিণতি। গল্পের মূল ভাব হলো— পারিবারিক সম্পর্কের টানাপোড়েন, মানবিক দুর্বলতা এবং সামাজিক বাস্তবতার নির্মম প্রকাশ।
মূল চরিত্র
-
চন্দরা
-
ছিদাম
-
দুখিরাম
-
রাধা
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
তাঁকে বাংলা ছোটগল্পের জনক বলা হয়। তিনি মোট ১১৯টি ছোটগল্প রচনা করেছেন, যেখানে সমাজ, মনুষ্যজীবন ও আবেগের সূক্ষ্ম বিশ্লেষণ দেখা যায়।
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের উল্লেখযোগ্য ছোটগল্পসমূহ
-
ভিখারিণী
-
দেনা পাওনা
-
মনিহারা
-
পোস্টমাস্টার
-
এক রাত্রি
-
ক্ষুধিত পাষাণ
-
স্ত্রীর পত্র
-
নষ্টনীড়
-
কাবুলিওয়ালা
-
হৈমন্তী
-
মুসলমানীর গল্প
0
Updated: 1 month ago
কোন সালে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্ম-শতবার্ষিকী পালিত হয়?
Created: 5 months ago
A
১৯৫১
B
১৯৬১
C
১৯৭১
D
১৯৮১
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
জন্ম ও পরিচয়
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর জন্মগ্রহণ করেন ১৮৬১ সালের ৭ মে (২৫শে বৈশাখ, ১২৬৮ বঙ্গাব্দ) কলকাতার জোড়াসাঁকোর খ্যাতনামা ঠাকুর পরিবারে। তাঁর পিতা ছিলেন মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর এবং পিতামহ প্রিন্স দ্বারকানাথ ঠাকুর। তিনি একাধারে কবি, সঙ্গীতজ্ঞ, কথাসাহিত্যিক, নাট্যকার, চিত্রশিল্পী, প্রাবন্ধিক, দার্শনিক, শিক্ষাবিদ ও সমাজ সংস্কারক— প্রকৃত অর্থেই এক বহুমাত্রিক প্রতিভা।
প্রথম সাহিত্যপ্রকাশ ও নোবেল প্রাপ্তি
শৈশবেই তাঁর সাহিত্যপ্রতিভার প্রকাশ ঘটে। মাত্র ১৫ বছর বয়সে তাঁর প্রথম কাব্যগ্রন্থ ‘বনফুল’ প্রকাশিত হয়। ১৯১৩ সালে তিনি ‘গীতাঞ্জলি’ কাব্যের জন্য সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার লাভ করেন, যা তাঁকে শুধু বাংলা সাহিত্যে নয়, সমগ্র এশিয়ার প্রথম নোবেল বিজয়ী হিসেবে স্বীকৃতি দেয়।
মৃত্যু
১৯৪১ সালের ৭ আগস্ট (২২শে শ্রাবণ, ১৩৪৮ বঙ্গাব্দ) জোড়াসাঁকোর নিজ বাসভবনে তিনি পরলোকগমন করেন।
১৫০তম জন্মবার্ষিকী
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৫০তম জন্মবার্ষিকী পালিত হয় ২০১১ সালে—not ১৯৬১ সালে।
উল্লেখযোগ্য সাহিত্যকর্ম
উপন্যাস:
-
চোখের বালি
-
গোরা
-
যোগাযোগ
-
শেষের কবিতা
-
চতুরঙ্গ
-
চার অধ্যায়
-
ঘরে-বাইরে
কাব্যগ্রন্থ:
-
মানসী
-
সোনার তরী
-
চিত্রা
-
চৈতালী
-
কল্পনা
-
ক্ষণিকা
-
গীতাঞ্জলি
-
বলাকা
-
পূরবী
-
পুনশ্চ
-
পত্রপুট
-
সেঁজুতি
-
শেষ লেখা
নাটক:
-
বিসর্জন
-
রাজা
-
ডাকঘর
-
অচলায়তন
-
চিরকুমার সভা
-
রক্তকরবী
-
তাসের দেশ
প্রবন্ধগ্রন্থ:
-
পঞ্চভূত
-
বিচিত্রপ্রবন্ধ
-
সাহিত্য
-
মানুষের ধর্ম
-
কালান্তর
-
সভ্যতার সংকট
উৎস:
-
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা, ড. সৌমিত্র শেখর
-
বাংলাপিডিয়া
0
Updated: 5 months ago