কোনটি খাঁটি বাংলা উপসর্গ?
A
আভাস
B
অজানা
C
বেমালুম
D
বেমালুম
উত্তরের বিবরণ
খাঁটি বাংলা উপসর্গ হলো অ–।
-
“অ–” উপসর্গটি খাঁটি বাংলা শব্দগঠন থেকে উদ্ভূত এবং সম্পূর্ণ দেশজ উৎসের।
-
এটি কোনো মূল শব্দের আগে যুক্ত হয়ে তার বিপরীত বা অভাব প্রকাশ করে।
-
উদাহরণ: জানা → অজানা (যা জানা নয়), সুখ → অসুখ (যা সুখ নয়), নিয়ম → অনিয়ম (যা নিয়মিত নয়)।
-
“অ–” ব্যবহারে শব্দের অর্থ পরিবর্তিত হলেও মূল শব্দের ভাব স্পষ্ট থাকে।
-
অন্যদিকে, আভাস, গরমিল, বেমালুম—এগুলো উপসর্গ নয়, সম্পূর্ণ শব্দ, যা ভিন্ন অর্থ ও ব্যাকরণিক রূপ ধারণ করে।
-
বাংলা ভাষায় খাঁটি উপসর্গ হিসেবে “অ–” ব্যবহার বর্ণিত নিয়ম অনুযায়ী শব্দের অর্থ ও ভাব নির্ধারণে সাহায্য করে।
-
এটি ব্যাকরণিক রূপতত্ত্ব ও শব্দগঠন শাস্ত্রে গুরুত্বপূর্ণ একটি উপসর্গ।
0
Updated: 7 hours ago
কোনটি খাঁটি বাংলা উপসর্গ?
Created: 2 days ago
A
অব
B
অতি
C
ইতি
D
পরি
খাঁটি বাংলা উপসর্গ হলো ‘ইতি’, কারণ এটি মূলত বাংলার স্বতঃসিদ্ধ শব্দ এবং বাংলা অর্থকে পরিবর্তন বা বিশেষণ যোগ করার জন্য ব্যবহৃত হয়।
-
উপসর্গ হলো এমন অংশ যা মূল শব্দের আগে বসে অর্থ বা ভাব পরিবর্তন করে।
-
‘ইতি-’ উপসর্গ মূলত বাংলা শব্দের সাথে সংযুক্ত হয়ে বিশেষ অর্থ প্রদান করে।
-
অন্যান্য বিকল্প যেমন ‘অব’, ‘অতি’, ‘পরি’—এগুলো সংস্কৃত বা বিদেশী উৎসের, তাই খাঁটি বাংলা উপসর্গ নয়।
-
খাঁটি বাংলা উপসর্গের ব্যবহার বাংলা সাহিত্যে প্রচলিত এবং স্বতন্ত্র।
-
তাই সঠিক উত্তর হলো ইতি।
0
Updated: 2 days ago
'অজপাড়াগাঁ' শব্দে 'অজ' কোন ধরনের উপসর্গ?
Created: 2 months ago
A
বিদেশি উপসর্গ
B
সংস্কৃত উপসর্গ
C
খাঁটি বাংলা উপসর্গ
D
ফারসি উপসর্গ
খাঁটি বাংলা উপসর্গ
-
উদাহরণ – অজ:
-
খাঁটি বাংলা উপসর্গ ‘অজ’ যোগে গঠিত শব্দ যেগুলো নিতান্ত (মন্দ) অর্থ প্রকাশ করে:
-
অজপাড়াগাঁ
-
অজমূর্খ
-
অজপুকুর
-
-
-
খাঁটি বাংলা উপসর্গের তালিকা:
অ, অঘা, অজ, অনা, আ, আড়, আন, আব, ইতি, ঊন (ঊনা), কদ, কু, নি, পাতি, বি, ভর, রাম, স, সা, সু, হালক্ষ্য: আ, সু, বি, নি – এই চারটি উপসর্গ তৎসম শব্দেও পাওয়া যায়।
উৎস: বাংলা ভাষার ব্যাকরণ, নবম–দশম শ্রেণি (২০১৯ সংস্করণ)
0
Updated: 2 months ago
কোন শব্দ গঠনে বাংলা উপসর্গ ব্যবহৃত হয়েছে?
Created: 2 months ago
A
পরাকাষ্ঠা
B
অভিব্যক্তি
C
পরিশ্রান্ত
D
অনাবৃষ্টি
বাংলা ভাষায় কিছু শব্দাংশ থাকে, যেগুলো মূল শব্দ বা ধাতুর আগে বসে নতুন শব্দ গঠন করে। এসব শব্দাংশকে উপসর্গ বলে।
বাংলা ভাষার উপসর্গের ধরন
বাংলা ভাষায় ব্যবহৃত উপসর্গগুলোকে প্রধানত তিন ভাগে ভাগ করা যায়:
১. খাঁটি বাংলা উপসর্গ
২. সংস্কৃত (তৎসম) উপসর্গ
৩. বিদেশি উপসর্গ
খাঁটি বাংলা উপসর্গ
বাংলা ভাষার নিজস্ব উপসর্গগুলোকে খাঁটি বাংলা উপসর্গ বলা হয়। এদের সংখ্যা ২১টি।
🔹 যেমন:
অ, অনা, আ, আড়, আন, আব, ইতি, ঊন (ঊনা), কু, কদ, নি, পাতি, বি, ভর, রাম, স, সা, সু, হা ইত্যাদি।
উদাহরণ:
-
অনাবৃষ্টি = অনা (অভাব বোঝাতে) + বৃষ্টি
-
অনাদর = অনা + আদর
সংস্কৃত বা তৎসম উপসর্গ
সংস্কৃত ভাষা থেকে নেওয়া উপসর্গগুলো বাংলা ভাষায় ব্যবহৃত হলে সেগুলোকে তৎসম বা সংস্কৃত উপসর্গ বলা হয়। মোট প্রায় ২০টি।
যেমন:
প্র, পরা, অপ, সম, নি, অনু, অব, নির, দুর, বি, অধি, সু, উৎ, পরি, প্রতি, অতি, অভি, অপি, উপ, আ
উদাহরণ:
-
পরাকাষ্ঠা = পরা (আতিশয্য অর্থে) + কাষ্ঠা
-
অভিব্যক্তি = অভি (ভালভাবে বা সম্পূর্ণরূপে) + ব্যক্ত
-
পরিশ্রান্ত = পরি (সম্যক অর্থে) + শ্রান্ত
বিদেশি উপসর্গ
আরবি, ফারসি, উর্দু বা ইংরেজি ভাষা থেকে কিছু উপসর্গ বাংলায় ব্যবহার হয়ে থাকে। এগুলোর সংখ্যা নির্দিষ্ট নয়।
উদাহরণ:
-
আরবি উপসর্গ: আম, খাস, লা, গর, বাজে, খয়ের
-
ফারসি উপসর্গ: কার, দর, না, নিম, ফি, বে, বদ, বর, ব, কম
-
উর্দু উপসর্গ: হর
-
ইংরেজি উপসর্গ: হেড, সাব, ফুল, হাফ
বিশেষ দ্রষ্টব্য
আ, সু, বি, নি — এই চারটি উপসর্গ বাংলা ও সংস্কৃত— উভয় ক্ষেত্রেই ব্যবহৃত হয়।
এইভাবে উপসর্গের ধরণ, উদাহরণসহ সহজ ভাষায় বোঝা যায় এবং মনে রাখাও সহজ হয়।
উৎস: প্রমিত বাংলা ব্যাকরণ ও নির্মিতি – ড. হায়াৎ মামুদ
0
Updated: 2 months ago