বাংলাদেশ ছাড়াও কোন জায়গায় মানুষের মুখের ভাষা বাংলা?
A
নদীয়া
B
আরাকান
C
পশ্চিমবঙ্গ ও আসাম
D
অযোধ্যা
উত্তরের বিবরণ
বাংলা ভাষা শুধু বাংলাদেশের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়, এটি ভারতের বিভিন্ন অঞ্চলেও বহুল ব্যবহৃত। বিশেষ করে পশ্চিমবঙ্গ ও আসামের মানুষের মুখের ভাষা বাংলা, তাই সঠিক উত্তর হলো পশ্চিমবঙ্গ ও আসাম।
-
পশ্চিমবঙ্গ হলো ভারতের একটি রাজ্য যেখানে বাংলা রাজ্যভাষা হিসেবে স্বীকৃত।
-
আসাম রাজ্যের কিছু অংশে, বিশেষত বরাক উপত্যকা অঞ্চলে, বিপুলসংখ্যক মানুষ বাংলা ভাষায় কথা বলেন।
-
এছাড়াও বাংলা ভাষাভাষী মানুষ বাস করেন ভারতের ত্রিপুরা, ঝাড়খণ্ড ও বিহার রাজ্যের কিছু এলাকাতেও।
-
বিশ্বের অন্যান্য দেশ যেমন যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র, সৌদি আরব, ও মালয়েশিয়াতেও প্রবাসী বাঙালিরা বাংলা ভাষাকে জীবিত রেখেছেন।
-
এই ভাষার প্রসার প্রমাণ করে যে, বাংলা শুধু একটি ভাষা নয়, বরং একটি সংস্কৃতি ও পরিচয়ের প্রতীক।
0
Updated: 9 hours ago
ভারতীয় আর্যের কোন অংশ থেকে বাংলা ভাষা উৎপত্তি লাভ করেছে?
Created: 1 month ago
A
প্রাচীন ভারতীয় আর্য
B
মধ্য ভারতীয় আর্য
C
নব্য ভারতীয় আর্য
D
কোনোটিই নয়
বাংলা ভাষার উৎপত্তি ও বিকাশ দীর্ঘ সময়ের বিবর্তনের মধ্য দিয়ে ঘটেছে। ইন্দো-ইউরোপীয় ভাষা গোষ্ঠী থেকে শুরু করে নব্য ভারতীয় আর্য ভাষার পর্যায়ে এসে বাংলা তার নিজস্ব রূপ লাভ করে। এর কালক্রমিক বিবর্তন নিচে দেওয়া হলো।
-
ইন্দো-ইউরোপীয় ভাষাগোষ্ঠী: আনুমানিক খ্রিস্টপূর্ব ৩৫০০ সালে এর উৎপত্তি ঘটে।
-
ইন্দো-ইরানীয় ভাষাগোষ্ঠী: আনুমানিক খ্রিস্টপূর্ব ১৮০০ সালে এর উদ্ভব হয়।
-
প্রাচীন ভারতীয় আর্য ভাষাগোষ্ঠী: খ্রিস্টপূর্ব ১৫০০ থেকে খ্রিস্টপূর্ব ৬০০ পর্যন্ত এ ভাষার বিকাশ ঘটে। এই পর্যায় থেকে বৈদিক ও সংস্কৃত ভাষার উৎপত্তি ঘটে।
-
মধ্য ভারতীয় আর্য ভাষাগোষ্ঠী: খ্রিস্টপূর্ব ৬০০ থেকে খ্রিস্টাব্দ ১০০০ পর্যন্ত এ গোষ্ঠীর বিকাশ লক্ষ্য করা যায়। এটি তিনটি পর্যায়ে বিভক্ত—
-
আদি-মধ্য ভারতীয় আর্য (খ্রিস্টপূর্ব ৬০০ – খ্রিস্টপূর্ব ২০০): অশোক-প্রাকৃত ও পালি ভাষার উদ্ভব।
-
মধ্য-মধ্য ভারতীয় আর্য (খ্রিস্টপূর্ব ২০০ – খ্রিস্টাব্দ ৬০০): আদি শিলালিপি, নাটকীয় প্রাকৃত, শৌরসেনি, মহারাষ্ট্রি, মাগধি, জৈন প্রাকৃত ও অর্ধমাগধি ভাষার ব্যবহার।
-
অন্ত্য-মধ্য ভারতীয় আর্য (খ্রিস্টাব্দ ৬০০ – ১০০০): অপভ্রংশ ভাষার বিকাশ, যেমন পশ্চিমা অপভ্রংশ ও শৌরসেনি অপভ্রংশ।
-
-
নব্য ভারতীয় আর্য ভাষাগোষ্ঠী: খ্রিস্টাব্দ ১০০০ সালে এর সূচনা ঘটে। এই পর্যায় থেকে কাশ্মীরি, জিপসি, সিন্ধি, লাহন্দি, পাঞ্জাবি, মালদ্বীপি, সিংহলি, গুজরাটি, হিন্দি-উর্দু, আওধি, ভোজপুরি, মৈথিলি, ওড়িয়া, অসমিয়া, মারাঠি এবং বাংলা ভাষার উদ্ভব হয়।
0
Updated: 1 month ago
ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহর মতে বাংলা ভাষার উদ্ভব-
Created: 2 months ago
A
সংস্কৃত থেকে
B
গৌড়ীয় প্রাকৃত থেকে
C
মাগধী প্রাকৃত থেকে
D
মৈথিলী থেকে
বাংলা ভাষার উদ্ভব ড. মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ্ এর মতে গৌড়ীয় প্রাকৃত থেকে এবং ড. সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায়ের মতে মাগধী প্রাকৃত থেকে।
0
Updated: 2 months ago
বাংলা ভাষা ও সাহ্যিতের প্রাচীন নিদর্শন কোনটি?
Created: 1 month ago
A
বৈষ্ণবপদাবলী
B
শ্রীকৃষ্ণকীর্তন
C
চর্যাপদ
D
রামায়ণ
বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের প্রাচীন নিদর্শন হিসেবে চর্যাপদ একটি অমূল্য সম্পদ। এটি শুধু বাংলা ভাষারই প্রাচীনতম পদসংকলন নয়, নব্য ভারতীয় আর্যভাষার মধ্যেও অন্যতম প্রাচীন রচনা।
-
চর্যাপদ রচিত হয়েছিল খ্রিষ্টীয় অষ্টম থেকে দ্বাদশ শতাব্দীর মধ্যে।
-
এর রচয়িতারা ছিলেন সহজিয়া বৌদ্ধ সিদ্ধাচার্যগণ, যারা বৌদ্ধ ধর্মের গূঢ় অর্থ প্রকাশের জন্য সাংকেতিক ভাষার আশ্রয় নিয়েছিলেন।
-
১৯০৭ খ্রিস্টাব্দে মহামহোপাধ্যায় হরপ্রসাদ শাস্ত্রী নেপালের রাজদরবারের গ্রন্থশালা থেকে চর্যার একটি খণ্ডিত পুঁথি উদ্ধার করেন।
-
পরবর্তীতে আচার্য সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায় ভাষাতাত্ত্বিক বিশ্লেষণের মাধ্যমে চর্যাপদের সঙ্গে বাংলা ভাষার অনস্বীকার্য যোগসূত্র বৈজ্ঞানিকভাবে প্রমাণ করেন।
-
চর্যাপদের প্রধান কবি ছিলেন লুইপাদ, কাহ্নপাদ, ভুসুকুপাদ ও শবরপাদ প্রমুখ।
চর্যাপদ শুধু সাহিত্য নয়, ভাষাতত্ত্ব, ধর্মতত্ত্ব এবং সংস্কৃতির ইতিহাস বোঝার ক্ষেত্রেও এক অনন্য দলিল।
0
Updated: 1 month ago