বাংলা ভাষার পদ কত প্রকার?
A
দুই প্রকার
B
তিন প্রকার
C
চার প্রকার
D
পাঁচ প্রকার
উত্তরের বিবরণ
বাংলা ভাষার পদকে সাধারণভাবে পাঁচ ভাগে ভাগ করা হয়। প্রতিটি পদের নিজস্ব ব্যবহার ও কাজ রয়েছে, যা বাক্যগঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
• বিশেষ্য: যে শব্দ দ্বারা কোনো বস্তু, ব্যক্তি, স্থান, প্রাণী বা ভাব বোঝানো হয়, তাকে বিশেষ্য বলে। যেমন—মানুষ, বই, ঢাকা, সুখ ইত্যাদি।
• বিশেষণ: যে শব্দ দ্বারা কোনো বিশেষ্যের গুণ, পরিমাণ বা অবস্থা প্রকাশ পায়, তাকে বিশেষণ বলে। যেমন—ভালো ছেলে, লাল ফুল, তিনটি বই ইত্যাদি।
• সর্বনাম: যে শব্দ বিশেষ্যের পরিবর্তে ব্যবহৃত হয়, তাকে সর্বনাম বলে। যেমন—আমি, তুমি, সে, আমরা ইত্যাদি।
• অব্যয়: যে শব্দের দ্বারা বাক্যের অন্য শব্দের সঙ্গে সম্পর্ক বোঝানো হয়, কিন্তু যার কোনো রূপান্তর ঘটে না, তাকে অব্যয় বলে। যেমন—এবং, কিন্তু, যদিও, তবু ইত্যাদি।
• ক্রিয়া: যে শব্দ দ্বারা কোনো কাজ, অবস্থা বা ঘটনার প্রকাশ ঘটে, তাকে ক্রিয়া বলে। যেমন—খাওয়া, লেখা, চলা, দেখা ইত্যাদি।
0
Updated: 9 hours ago
বাক্যে ব্যবহৃত বিভক্তিযুক্ত শব্দ ও ধাতুকে কী বলে?
Created: 1 month ago
A
কারক
B
প্রত্যয়
C
পদ
D
সমাস
পদ বাক্যে ব্যবহৃত বিভক্তিযুক্ত শব্দ ও ধাতুকে পদ বলা হয়।
পদ প্রধানত দুই প্রকার:
সব্যয় পদ
অব্যয় পদ
সব্যয় পদ আবার চার প্রকার:
বিশেষ্য
বিশেষণ
সর্বনাম
ক্রিয়া
এই শ্রেণিবিভাগ অনুসারে, পদ মোট পাঁচ প্রকার: বিশেষ্য, বিশেষণ, সর্বনাম, ক্রিয়া এবং অব্যয়।
0
Updated: 1 month ago
“এ যে আমাদের চেনা লোক“ - বাক্যে ‘চেনা‘ কোন পদ?
Created: 3 weeks ago
A
বিশেষ্য
B
অব্যয়
C
ক্রিয়া
D
বিশেষণ
উ. বিশেষণ
‘চেনা’ শব্দটি এখানে বিশেষণ পদ, কারণ এটি ‘লোক’-এর গুণ বা পরিচয় নির্দেশ করছে। এই শব্দটি লোকটির অবস্থা বা পরিচিতির ধারণা প্রকাশ করে।
-
বিশেষণ সেই পদ যা বিশেষ্যের গুণ, অবস্থা, পরিমাণ বা পরিচয় প্রকাশ করে।
-
এখানে ‘লোক’ বিশেষ্য এবং ‘চেনা’ তার গুণ বা বৈশিষ্ট্য বোঝাচ্ছে।
-
শব্দটি ক্রিয়ামূলক হলেও এখানে তা গুণবাচক রূপে ব্যবহৃত, যেমন— চেনা মুখ, চেনা রাস্তা ইত্যাদি।
-
তাই প্রসঙ্গে ‘চেনা’ বিশেষণ পদ হিসেবে কাজ করছে।
0
Updated: 3 weeks ago
'সাতজন লোক' – এখানে 'সাত' কোন পদ?
Created: 2 months ago
A
অবস্থাবাচক বিশেষণ
B
সংখ্যাবাচক বিশেষণ
C
নির্দিষ্টতাজ্ঞাপক বিশেষণ
D
উপাদানবাচক বিশেষণ
• 'সাতজন লোক' - এখানে 'সাতজন' সংখ্যাবাচক বিশেষণ পদ।
• নাম বিশেষণ: যে বিশেষণ পদ কোনো বিশেষ্য বা সর্বনাম পদকে বিশেষিত করে, তাকে নাম বিশেষণ বলে।
নাম বিশেষণের প্রকারভেদ:
ক. রূপবাচক: নীল আকাশ, সবুজ মাঠ, কালো মেঘ
খ. গুণবাচক: চৌকস লোক, দক্ষ কারিগর, ঠাণ্ডা হাওয়া
গ. অবস্থাবাচক: তাজা মাছ, রোগা ছেলে, খোঁড়া পা
ঘ. সংখ্যাবাচক: হাজার লোক, দশ দশা, শ টাকা
ঙ. ক্রমবাচক: দশম শ্রেণি, সত্তর পৃষ্ঠা, প্রথমা কন্যা
চ. পরিমাণবাচক: বিঘাটেক জমি, পাঁচ শতাংশ ভূমি, হাজার টনী জাহাজ, এক কেজি চাল, দু কিলোমিটার রাস্তা
ছ. অংশবাচক: অর্ধেক সম্পত্তি, ষোল আনা দখল, সিকি পথ
জ. উপাদানবাচক: বেলে মাটি, মেটে কলসি, পাথুরে মূর্তি
ঝ. প্রশ্নবাচক: কতদূর পথ? কেমন অবস্থা?
ঞ. নির্দিষ্টতাজ্ঞাপক: এই লোক, সেই ছেলে, ছাব্বিশে মার্চ
উৎস: বাংলা ভাষার ব্যাকরণ, নবম-দশম শ্রেণি (২০১৮ সংস্করণ)
0
Updated: 2 months ago