আন্তর্জাতিক রেডক্রস-এর সদর দপ্তর-
A
ভিয়েনা
B
জেনেভা
C
প্যারিস
D
লন্ডন
উত্তরের বিবরণ
International Committee of the Red Cross (ICRC) হলো বিশ্বের অন্যতম প্রাচীন ও প্রভাবশালী মানবিক সংস্থা, যা ১৭ ফেব্রুয়ারি ১৮৬৩ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। এর প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন হেনরি ডুনান্ট (Henry Dunant, 1828–1910) এবং গুস্তাভ ময়নিয়ে (Gustave Moynier, 1826–1910)। সংস্থার প্রধান সদর দপ্তর অবস্থিত জেনেভা, সুইজারল্যান্ডে। ICRC গঠনের মূল লক্ষ্য ছিল যুদ্ধক্ষেত্রে আহত সৈনিক, শরণার্থী এবং দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত সাধারণ মানুষের মানবিক সহায়তা প্রদান করা।
এর প্রতীক হলো সাদা পটভূমিতে লাল ক্রস, যা মানবতা ও নিরপেক্ষতার প্রতীক। সংস্থার প্রথম কার্যক্রম শুরু হয় ১৮৬৪ সালের জেনেভা কনভেনশন অনুসারে, যেখানে যুদ্ধাহতদের সুরক্ষা নিশ্চিত করার বিধান গৃহীত হয়। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে সংস্থাটি বৈশ্বিক মানবিক কর্মকাণ্ডের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়। এর মৌলিক নীতিমালা হলো মানবতা, নিরপেক্ষতা, পক্ষপাতহীনতা, স্বাধীনতা, স্বেচ্ছাসেবা, একতা ও সার্বজনীনতা, যা আজও সংস্থার কার্যক্রম পরিচালনার মূল ভিত্তি হিসেবে বিবেচিত।
ICRC-এর সাংগঠনিক কাঠামো তিনটি প্রধান অংশে বিভক্ত—ICRC নিজস্ব সংস্থা, International Federation of Red Cross and Red Crescent Societies (IFRC), এবং বিভিন্ন দেশের জাতীয় শাখা। বর্তমানে (২০২৫ অনুযায়ী) এর সভাপতি মিরজানা স্পোলজারিক এগার (Mirjana Spoljaric Egger)। সংস্থাটি ইতিহাসের গুরুত্বপূর্ণ যুদ্ধ যেমন দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ, আফগান যুদ্ধ, ও সিরিয়া যুদ্ধ-এ মানবিক ত্রাণ ও পুনর্বাসনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে।
বাংলাদেশে ICRC-এর কার্যক্রম শুরু হয় ১৯৭৩ সালে, যখন প্রতিষ্ঠিত হয় বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি (Bangladesh Red Crescent Society)। এর সদর দপ্তর ঢাকায় অবস্থিত। এই সংগঠন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা, রক্তদান কার্যক্রম, শরণার্থী সহায়তা এবং কোভিড-১৯ প্রতিরোধে কার্যকর ভূমিকা পালন করেছে। ইসলামী দেশগুলোর মতো বাংলাদেশও “Red Crescent” (লাল অর্ধচন্দ্র) প্রতীক ব্যবহার করে। “Red Cross” নামটি এসেছে সুইজারল্যান্ডের পতাকা থেকে, যার উল্টো রঙ ব্যবহার করে এটি মানবতার প্রতীক হিসেবে গ্রহণ করা হয়েছে। বাংলাদেশ বর্তমানে আন্তর্জাতিক রেডক্রস আন্দোলনের সক্রিয় সদস্য হিসেবে কাজ করছে এবং বৈশ্বিক মানবিক সহযোগিতায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।
0
Updated: 12 hours ago
'দারিয়ুস দ্য গ্রেট' কোন সাম্রাজ্যের সম্রাট ছিলেন?
Created: 2 months ago
A
সেলুসিড সাম্রাজ্য
B
রোমান সাম্রাজ্য
C
সাসানীয় সাম্রাজ্য
D
আকামেনিদ সাম্রাজ্য
আন্তর্জাতিক বিষয়াবলি
আন্তর্জাতিক বিষয়াবলী
আন্তর্জাতিক রাজনৈতিক সংস্থা
আন্তর্জাতিক রেড ক্রস
সাম্রাজ্যের পতন
দারিয়ুস দ্য গ্রেট (Darius the Great)
-
দারিয়ুস ছিলেন প্রাচীন পারস্য সভ্যতার একজন বিশিষ্ট সম্রাট।
-
বর্তমান ইরান অঞ্চলে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল পৃথিবীর অন্যতম প্রাচীন পরাশক্তি পারস্য সাম্রাজ্য।
-
পারস্যে খ্রিস্টপূর্ব ৫৫০ সাল থেকে খ্রিস্টাব্দ ৬৫১ সাল পর্যন্ত একাধিক সাম্রাজ্যের উদ্ভব ঘটে।
-
ঐতিহাসিকরা এই দীর্ঘ সময়কে চারটি প্রধান সাম্রাজ্যে ভাগ করেছেন:
-
আকামেনিদ সাম্রাজ্য (খ্রিস্টপূর্ব ৫৫০ – খ্রিস্টপূর্ব ৩৩০)
-
সেলুসিড সাম্রাজ্য (খ্রিস্টপূর্ব ৩১২ – খ্রিস্টপূর্ব ৬৩)
-
পার্থিয়ান সাম্রাজ্য (খ্রিস্টপূর্ব ২৪৭ – খ্রিস্টাব্দ ২২৪)
-
সাসানীয় সাম্রাজ্য (খ্রিস্টাব্দ ২২৬ – ৬৫১)
-
দারিয়ুস দ্য গ্রেট ও তাঁর কৃতিত্ব
-
দারিয়ুস ছিলেন আকামেনিদ সাম্রাজ্যের তৃতীয় সম্রাট।
-
তাঁর শাসনামলে সাম্রাজ্যের ভূখণ্ড সর্বাধিক বিস্তৃতি লাভ করে।
-
তিনি পার্সেপোলিস নগরীর গোড়াপত্তন করেন।
-
বিভিন্ন পরিমাপের একক নির্ধারণ করেন এবং অভিন্ন মুদ্রা চালু করেন।
-
পারসিকরা প্রথম জাতি যারা এশিয়া, ইউরোপ ও আফ্রিকার মধ্যে সড়কপথে যোগাযোগ স্থাপন করতে সক্ষম হয়।
-
বিশ্বের প্রথম ডাকসেবা দারিয়ুসের হাত ধরেই চালু হয়।
-
এসব কারণে তাঁকে পারস্য সাম্রাজ্যের সর্বশ্রেষ্ঠ শাসক হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
মৃত্যু
-
খ্রিস্টপূর্ব ৪৮৬ সালে সম্রাট দারিয়ুস মারা যান।
-
তাঁকে তাঁর নির্মিত সমাধিক্ষেত্র ‘নাকশে রুস্তম’-এ সমাধিস্থ করা হয়।
📖 উৎস:
i) Britannica
ii) বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয়, ষষ্ঠ শ্রেণি
0
Updated: 2 months ago
সর্বোচ্চ গ্রিন হাউজ গ্যাস নিঃসরণকারী দেশ কোন দুটি? [আগস্ট, ২০২৫]
Created: 2 months ago
A
চীন ও যুক্তরাষ্ট্র
B
চীন ও ভারত
C
ভারত ও যুক্তরাষ্ট্র
D
ভারত ও রাশিয়া
আন্তর্জাতিক বিষয়াবলি
আন্তর্জাতিক বিষয়াবলী
আন্তর্জাতিক রাজনৈতিক সংস্থা
আন্তর্জাতিক রেড ক্রস
গ্রিন হাউস
সাম্রাজ্যের পতন
গ্রিন হাউস গ্যাস (Greenhouse Gases)
-
সংজ্ঞা: গ্রিন হাউস ইফেক্টের জন্য দায়ী গ্যাসগুলোকে গ্রিন হাউস গ্যাস বলা হয়।
-
কার্যপ্রণালী:
-
এরা সূর্য থেকে আগত অতিবেগুনী (UV) ও অবলোহিত (IR) রশ্মির কিছু অংশ শোষণ করে।
-
পুনরায় মহাশূন্যে ফিরিয়ে দিয়ে পৃথিবীর তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে।
-
ফলে পৃথিবীতে জীববৈচিত্র্য টিকে থাকার মতো একটি স্থায়ী তাপমাত্রা বজায় থাকে।
-
-
প্রধান গ্রিন হাউস গ্যাস:
-
জলীয় বাষ্প (H₂O)
-
কার্বন ডাই-অক্সাইড (CO₂)
-
মিথেন (CH₄)
-
ওজোন (O₃)
-
নাইট্রাস অক্সাইড (N₂O)
-
ক্লোরোফ্লুরোকার্বনস (CFCs)
-
গ্রিন হাউস গ্যাস নিঃসরণে শীর্ষ দেশসমূহ (২০২৫ অনুযায়ী)
-
চীন 🌏
-
যুক্তরাষ্ট্র 🇺🇸
-
ভারত 🇮🇳
-
ইউরোপীয় ইউনিয়ন (EU) 🇪🇺
-
রাশিয়া 🇷🇺
উৎস:
i) Investopedia
ii) U.S. Environmental Protection Agency (EPA)
0
Updated: 2 months ago
মার্কিন গৃহযুদ্ধের সময় কে যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রপতি ছিলেন?
Created: 2 months ago
A
ইউলিসিস এস. গ্রান্ট
B
জন টাইলার
C
আব্রাহাম লিংকন
D
টমাস জেফারসন
আন্তর্জাতিক বিষয়াবলি
আন্তর্জাতিক বিষয়াবলী
আন্তর্জাতিক রাজনৈতিক সংস্থা
আন্তর্জাতিক রেড ক্রস
আব্রাহাম লিংকন
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র
সাম্রাজ্যের পতন
মার্কিন গৃহযুদ্ধ (American Civil War)
-
সংজ্ঞা: যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণের ১১টি রাজ্য ও বাকি যুক্তরাষ্ট্রের রাজ্যগুলোর মধ্যে সংঘটিত যুদ্ধ ইতিহাসে "আমেরিকার গৃহযুদ্ধ" নামে পরিচিত।
-
সময়কাল: ১২ এপ্রিল, ১৮৬১ – ২৬ মে, ১৮৬৫ (মোট প্রায় ৪ বছর)।
-
রাষ্ট্রপতি: আব্রাহাম লিংকন (১৬তম রাষ্ট্রপতি, দায়িত্বকাল: ১৮৬১ – ১৮৬৫, মৃত্যুর আগ পর্যন্ত)।
যুদ্ধের মূল কারণ
-
দাসপ্রথা নিয়ে উত্তর ও দক্ষিণ আমেরিকার মধ্যে তীব্র মতবিরোধ।
-
উত্তরাঞ্চল: দাসপ্রথা বিলোপের পক্ষে।
-
দক্ষিণাঞ্চল: অর্থনীতির জন্য দাসপ্রথার উপর নির্ভরশীল।
-
১৮৬০ সালে দাসপ্রথাবিরোধী রিপাবলিকান নেতা আব্রাহাম লিংকনের রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হওয়ার পর দক্ষিণের ১১টি রাজ্য যুক্তরাষ্ট্র থেকে বিচ্ছিন্ন হয়।
-
প্রশ্ন ছিল—দক্ষিণাঞ্চল কি স্বাধীনভাবে দাসপ্রথা চালিয়ে যেতে পারবে, নাকি কেন্দ্রীয় সরকারের নীতি মানতে বাধ্য হবে।
গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা
-
১৮৬১: সাউথ ক্যারোলিনার ফোর্ট সামটার (Fort Sumter) আক্রমণের মাধ্যমে গৃহযুদ্ধের সূচনা।
-
১৮৬৩: আব্রাহাম লিংকনের Emancipation Proclamation—কনফেডারেট রাজ্যগুলোতে দাসদের মুক্ত ঘোষণা করা হয়। এর ফলে যুদ্ধের লক্ষ্য দাসপ্রথা বিলোপের দিকে মোড় নেয়।
-
১৮৬৫ (এপ্রিল): ভার্জিনিয়ার Appomattox Court House-এ কনফেডারেট জেনারেল রবার্ট ই. লি ইউনিয়ন জেনারেল ইউলিসিস এস. গ্রান্টের কাছে আত্মসমর্পণ করেন। এর মাধ্যমে যুদ্ধ কার্যত সমাপ্ত হয়।
উৎস:
i) Encyclopaedia Britannica
ii) BBC
0
Updated: 2 months ago