প্রেসিডেন্ট উড্রো উইলসনের 14 points এ কত নম্বর point এ জাতিপুঞ্জের সৃষ্টির কথা উল্লেখ করা হয়েছে?
A
১
B
১২
C
১৩
D
১৪
উত্তরের বিবরণ
League of Nations বা জাতিপুঞ্জ ছিল আধুনিক আন্তর্জাতিক সংগঠনের সূচনা, যা বৈশ্বিক শান্তি প্রতিষ্ঠা এবং ভবিষ্যৎ যুদ্ধ প্রতিরোধে প্রথম প্রচেষ্টা হিসেবে বিবেচিত হয়। এর ধারণাটি আসে যুক্তরাষ্ট্রের ২৮তম প্রেসিডেন্ট উড্রো উইলসনের “চৌদ্দ দফা প্রস্তাব” থেকে, যা তিনি ১৯১৮ সালের ৮ জানুয়ারি মার্কিন কংগ্রেসে উপস্থাপন করেন। এই ভাষণের ১৪তম দফায় তিনি একটি আন্তর্জাতিক সংগঠন প্রতিষ্ঠার আহ্বান জানান, যা পরবর্তীতে League of Nations নামে বাস্তবায়িত হয়।
-
প্রতিষ্ঠার সাল ও স্থান: জাতিপুঞ্জ ১৯২০ সালের ১০ জানুয়ারি আনুষ্ঠানিকভাবে প্রতিষ্ঠিত হয়। এর সদর দপ্তর ছিল সুইজারল্যান্ডের জেনেভায়, যা তৎকালীন সময়ে নিরপেক্ষ আন্তর্জাতিক কেন্দ্র হিসেবে পরিচিত ছিল।
-
প্রধান উদ্দেশ্য:
-
বৈশ্বিক শান্তি ও নিরাপত্তা বজায় রাখা।
-
যুদ্ধ প্রতিরোধে সদস্য রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে সমঝোতা স্থাপন।
-
আন্তর্জাতিক সহযোগিতা ও কূটনৈতিক সম্পর্ক উন্নয়ন।
-
আন্তর্জাতিক শ্রম আইন, মানবাধিকার, মাদক চোরাচালান ইত্যাদি বিষয়ে উদ্যোগ গ্রহণ।
-
-
প্রথম সভা: ১৯২০ সালে অনুষ্ঠিত প্রথম অধিবেশনে ৪২টি দেশ সদস্য হিসেবে যোগ দেয়।
-
মূল কার্যক্রম:
-
আন্তর্জাতিক বিচার ও শান্তিরক্ষী নীতি প্রণয়ন।
-
যুদ্ধবিরোধী চুক্তি ও বিরোধ নিষ্পত্তির ব্যবস্থা।
-
শ্রম, স্বাস্থ্য ও মানবাধিকার সংরক্ষণে আন্তর্জাতিক উদ্যোগ গ্রহণ।
-
-
গুরুত্ব ও সীমাবদ্ধতা:
-
প্রথম বিশ্বযুদ্ধ-পরবর্তী ইউরোপে শান্তি রক্ষায় সংগঠনটি প্রাথমিকভাবে ইতিবাচক ভূমিকা রাখে।
-
তবে জার্মানি ও সোভিয়েত রাশিয়া প্রথমে সদস্য না হওয়ায় এর প্রভাব সীমিত হয়ে পড়ে।
-
অনেক দেশ জাতীয় স্বার্থ ও রাজনৈতিক মতপার্থক্যের কারণে সংগঠনের প্রতি আগ্রহ হারায়, ফলে কার্যকারিতা কমে যায়।
-
-
অবসান ও উত্তরসূরি:
-
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের ব্যর্থতা প্রমাণ করে যে জাতিপুঞ্জ তার উদ্দেশ্যে সফল হয়নি।
-
১৯৪৬ সালে জাতিপুঞ্জ বিলুপ্ত হয়, এবং তার স্থলাভিষিক্ত হয় জাতিসংঘ (United Nations), যা ১৯৪৫ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়ে নিউইয়র্কে সদর দপ্তর স্থাপন করে।
-
অতএব, League of Nations আন্তর্জাতিক কূটনীতি ও বৈশ্বিক শান্তির ধারণা প্রতিষ্ঠার এক প্রাথমিক প্রচেষ্টা ছিল, যা ব্যর্থ হলেও পরবর্তীতে জাতিসংঘের জন্মের ভিত্তি তৈরি করে।
0
Updated: 12 hours ago
চৌদ্দ দফার ১৪নং এ কোন প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠার কথা বলা হয়েছে?
Created: 2 months ago
A
জাতিসংঘ
B
জাতিপুঞ্জ
C
ন্যাটো
D
ইউরোপীয় ইউনিয়ন
• চৌদ্দ দফা
-
চৌদ্দ দফা ছিল মার্কিন প্রেসিডেন্ট উড্রো উইলসনের প্রদত্ত একটি ঐতিহাসিক ভাষণ, যা তিনি ৮ জানুয়ারি, ১৯১৮ সালে কংগ্রেসে উপস্থাপন করেন।
-
এতে তিনি প্রথম বিশ্বযুদ্ধ-পরবর্তী বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য ১৪টি মূলনীতি উপস্থাপন করেন।
-
এর মধ্যে ছিল:
-
সমুদ্রের স্বাধীন নৌগমন,
-
জাতিস্বাধীনতার স্বীকৃতি,
-
সামরিক নির্মূলকরণ,
-
এবং জাতিসংঘের মতো একটি আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রস্তাব।
-
-
এ ভাষণটি মোট ১৪ দফা বিশিষ্ট ছিল।
-
প্রথম দফা: উন্মুক্ত কূটনীতি ও শান্তিপূর্ণ সমাধান।
-
১৪তম দফা: জাতিপুঞ্জ (League of Nations) প্রতিষ্ঠার প্রস্তাব।
উৎস: ব্রিটানিকা ✅
0
Updated: 2 months ago
জাতিপুঞ্জ গঠনের প্রস্তাবক কে ছিলেন?
Created: 2 months ago
A
ফ্রাঙ্কলিন ডি. রুজভেল্ট
B
উইনস্টন চার্চিল
C
উড্রো উইলসন
D
জোসেফ স্ট্যালিন
জাতিপুঞ্জ (League of Nations)
• প্রথম বিশ্বযুদ্ধ পরবর্তী বিশ্বশান্তি ও নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্যে আত্মপ্রকাশ করে
• প্রতিষ্ঠা ভার্সাই চুক্তির অংশ হিসেবে স্বাক্ষরিত হয়
• আত্মপ্রকাশের সাল: ১৯২০
• প্রতিষ্ঠাকালীন সদস্য সংখ্যা: ৪১টি
• সদর দপ্তর: জেনেভা, সুইজারল্যান্ড
• বিলুপ্ত হয়: ২০ এপ্রিল, ১৯৪৬
• গঠনের প্রস্তাবক: সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট উড্রো উইলসন
উল্লেখযোগ্য তথ্য:
• ১৯১৮ সালের ৮ জানুয়ারি উড্রো উইলসন মার্কিন কংগ্রেসে বক্তব্য প্রদান করেন
• বক্তব্যে ছিল ইউরোপে শান্তি প্রতিষ্ঠা ও জাতিপুঞ্জ গঠনের আহ্বান
• এটি ছিল তাঁর বিখ্যাত ‘চোদ্দ দফা (Fourteen Points)’
• ১৪ দফার ১৪ নং পয়েন্টে জাতিপুঞ্জ প্রতিষ্ঠার প্রস্তাব রাখা হয়েছিল
সূত্র: United Nations ওয়েবসাইট, পত্রিকা রিপোর্ট
0
Updated: 2 months ago
নিচের কোনটি পৃথিবীর সর্বাপেক্ষা খর্বাকার জাতি হিসেবে পরিচিত?
Created: 1 month ago
A
পিগমি
B
জুলু
C
তাতার
D
মাউরি
পিগমি জাতি (Pygmy):
-
পৃথিবীর সর্বাপেক্ষা খর্বাকৃতি জাতি হিসেবে পরিচিত।
-
প্রাপ্তবয়স্ক পুরুষদের গড় উচ্চতা ১৫০ সেন্টিমিটার (৫৯ ইঞ্চি) এর কম।
-
যাদের উচ্চতা কিছুটা বেশি, তাদের পিগময়েড (Pygmoid) বলা হয়।
-
সবচেয়ে পরিচিত পিগমি গোষ্ঠী বসবাস করে মধ্য আফ্রিকার ইটুরি বনাঞ্চলে (বর্তমান কঙ্গো)।
-
কঙ্গো নদীর দক্ষিণের জলাভূমিতে এরা বসবাস করে।
-
অধিকাংশ পিগমি জনগোষ্ঠী শিকার ও সংগ্রহকৃত খাদ্য নির্ভর জীবন যাপন করে।
অন্য প্রধান উপজাতি ও জাতি:
-
দক্ষিণ আফ্রিকার প্রধান অধিবাসী: জুলু।
-
নিউজিল্যান্ডের আদিবাসী: মাউরি।
-
তাতার জাতি: তুর্কি জাতিগোষ্ঠীর অন্তর্ভুক্ত, যারা ইউরোপ ও এশিয়ায় বসবাস করে।
0
Updated: 1 month ago