নিম্নলিখিত কোনটি ‘International Mother Earth day’?
A
১৮ এপ্রিল
B
২০ এপ্রিল
C
২২ এপ্রিল
D
২৪ এপ্রিল
উত্তরের বিবরণ
‘International Mother Earth Day’ প্রতি বছর ২২ এপ্রিল সারা বিশ্বে পালিত হয়, যার লক্ষ্য পৃথিবীর পরিবেশ, প্রতিবেশ ও জীববৈচিত্র্য রক্ষায় বৈশ্বিক সচেতনতা বৃদ্ধি করা। এটি এমন একটি দিন, যেদিন মানুষ পৃথিবীর প্রতি তাদের দায়িত্ব ও ভূমিকা নতুনভাবে উপলব্ধি করে। দিনটি জাতিসংঘের উদ্যোগে পরিবেশ সংরক্ষণ ও টেকসই উন্নয়নের বার্তা ছড়িয়ে দিতে পালিত হয়।
-
উৎপত্তি ও ইতিহাস: ১৯৭০ সালে যুক্তরাষ্ট্রে প্রথম বৃহৎ পরিবেশ আন্দোলনের সূচনা হয়, যা আধুনিক পরিবেশ সচেতনতার ভিত্তি স্থাপন করে। সেই বছর থেকেই ২২ এপ্রিল ‘Earth Day’ হিসেবে পালিত হতে শুরু করে, পরে ২০০৯ সালে জাতিসংঘ আনুষ্ঠানিকভাবে এর নাম দেয় ‘International Mother Earth Day’।
-
উদ্দেশ্য: দিনটির প্রধান উদ্দেশ্য হলো পৃথিবী ও প্রাকৃতিক সম্পদের সুরক্ষা, জলবায়ু পরিবর্তনের বিরোধিতা, এবং মানুষের পরিবেশবান্ধব আচরণে উৎসাহ প্রদান।
-
জাতিসংঘের ভূমিকা: জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদ এই দিনটিকে ঘোষণা করে পৃথিবীকে একটি জীবন্ত সত্তা ও মানবজীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ হিসেবে স্বীকৃতি দেয়। এটি পৃথিবীর প্রতি শ্রদ্ধা ও দায়িত্ববোধের প্রতীক।
-
বর্তমান প্রেক্ষাপট: আজ পৃথিবী দিবস একটি বৈশ্বিক আন্দোলনে পরিণত হয়েছে, যেখানে বিশ্বের লাখো মানুষ বৃক্ষরোপণ, দূষণ নিয়ন্ত্রণ, পুনর্ব্যবহার, এবং নবায়নযোগ্য জ্বালানির ব্যবহারে অংশ নেয়।
অতএব, ২২ এপ্রিলের ‘International Mother Earth Day’ আমাদের স্মরণ করিয়ে দেয় যে মানবসভ্যতার টিকে থাকা সরাসরি পৃথিবীর সুস্থতার ওপর নির্ভরশীল, এবং এর সুরক্ষাই ভবিষ্যৎ প্রজন্মের প্রতি আমাদের নৈতিক দায়িত্ব।
0
Updated: 12 hours ago
নিচের কোন প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশের ২১শে ফেব্রুয়ারির শহিদ দিবসকে 'আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস' হিসেবে স্বীকৃতি প্রদান করে?
Created: 3 months ago
A
ইউনিসেফ
B
ইউনেসকো
C
ইউএন
D
এডিবি
২১ ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস
-
১৯৯৯ সালে ইউনেস্কোর সাধারণ অধিবেশনে ২১ ফেব্রুয়ারিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে ঘোষণা করা হয়।
-
১৯৯৯ সালের ১৭ নভেম্বর ফ্রান্সের প্যারিসে ইউনেস্কোর ৩০তম অধিবেশনে এই প্রস্তাবটি গৃহীত হয়।
-
২০০০ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি থেকে বিশ্বের প্রায় ১৮৮টি দেশে এই দিনটি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে পালিত হতে শুরু করে।
-
২০০৭ সালের ১৬ মে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে একটি প্রস্তাব উত্থাপিত হয়, যেখানে সব সদস্য দেশকে ২১ ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে পালনের আহবান জানানো হয়। সেই প্রস্তাবে ২০০৮ সালকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা বর্ষ হিসেবে ঘোষণা করা হয়।
-
পরবর্তীতে ২০১০ সালে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের ৬৫তম অধিবেশনে ২১ ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে পালনের প্রস্তাব পাস হয়।
সূত্র: ইউনেস্কো ও জাতিসংঘের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট।
0
Updated: 3 months ago
জাতিসংঘের কোন সংস্থা ২১ ফেব্রুয়ারীকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসাবে মর্যাদা দিয়েছে?
Created: 1 week ago
A
UNICEF
B
WHO
C
ILO
D
UNESCO
আন্তর্জাতিক বিষয়াবলি
বাংলাদেশ বিষয়াবলি
UNESCO- United Nations Educational, Scientific and Cultural Organization
আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস
পিএসসি ও অন্যান্য নিয়োগ পরীক্ষা
আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের স্বীকৃতি দেয় UNESCO, যা ভাষা ও সংস্কৃতির বৈচিত্র্য রক্ষার জন্য কাজ করে। ২১ ফেব্রুয়ারি বাঙালি জাতির আত্মত্যাগের স্মৃতি বহন করে, আর UNESCO এই দিনটিকে আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃতি দিয়ে সেই ত্যাগের গৌরবকে বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে দিয়েছে। এই সিদ্ধান্ত বাংলাদেশের ইতিহাস ও সংস্কৃতিকে বৈশ্বিক পরিসরে তুলে ধরেছে।
• UNESCO বা United Nations Educational, Scientific and Cultural Organization প্রতিষ্ঠিত হয় ১৯৪৫ সালে। এর প্রধান কার্যালয় প্যারিস, ফ্রান্সে অবস্থিত। সংস্থাটি শিক্ষা, বিজ্ঞান, সংস্কৃতি ও যোগাযোগের উন্নয়নের মাধ্যমে বিশ্ব শান্তি ও মানবতার কল্যাণে কাজ করে।
• ১৯৯৯ সালের ১৭ নভেম্বর UNESCO-র সাধারণ অধিবেশনে ২১ ফেব্রুয়ারিকে “International Mother Language Day” হিসেবে ঘোষণা করা হয়। ২০০০ সাল থেকে প্রতি বছর এই দিনটি বিশ্বব্যাপী পালিত হচ্ছে।
• এই প্রস্তাবটি প্রথম বাংলাদেশ সরকার ১৯৯৮ সালে উত্থাপন করে। জাতিসংঘের সদস্য রাষ্ট্রগুলোর সর্বসম্মত সমর্থনের পর এটি গৃহীত হয়।
• ২১ ফেব্রুয়ারি ১৯৫২ সালে ঢাকায় বাংলা ভাষার স্বীকৃতি দাবিতে আন্দোলনের সময় সালাম, বরকত, রফিক, জব্বার প্রমুখ শহীদ হন। এই ভাষা আন্দোলনই বিশ্বের প্রথম ভাষাভিত্তিক শহীদ দিবস হিসেবে ইতিহাসে স্থান পেয়েছে।
• UNESCO-র এই স্বীকৃতি শুধু ভাষা শহীদদের ত্যাগকেই সম্মান জানায়নি, বরং বিশ্বের সকল ভাষার অস্তিত্ব ও সংরক্ষণের প্রয়োজনীয়তাও স্মরণ করিয়ে দিয়েছে।
• বর্তমানে বিশ্বজুড়ে ৬,০০০-এর বেশি ভাষা ব্যবহৃত হচ্ছে, যার অনেকগুলো বিলুপ্তির পথে। UNESCO এই দিবসের মাধ্যমে ভাষাগত বৈচিত্র্য ও সাংস্কৃতিক পরিচয় রক্ষার গুরুত্ব তুলে ধরে।
• প্রতিবছর এই দিবসের জন্য একটি বিশেষ থিম বা প্রতিপাদ্য ঘোষণা করা হয়। যেমন, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে থিম ছিল— “Multilingual education – a necessity to transform education” অর্থাৎ বহু ভাষাভিত্তিক শিক্ষা ব্যবস্থার গুরুত্ব তুলে ধরা।
• বাংলাদেশে এই দিনটি গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে পালিত হয়। রাজধানীর শহীদ মিনারে ফুল দিয়ে ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানো হয়, এবং সারাদেশে আলোচনা সভা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও রচনা প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়।
• UNESCO-র এই উদ্যোগের ফলে ২১ ফেব্রুয়ারি আজ বিশ্বব্যাপী ভাষা ও সংস্কৃতির বহুত্বের প্রতীক হয়ে উঠেছে। এটি প্রমাণ করেছে যে বাংলা ভাষা আন্দোলন কেবল বাংলাদেশের নয়, মানবজাতির ইতিহাসে এক অবিনশ্বর অধ্যায়।
0
Updated: 1 week ago