A
আরবি
B
ফারসি
C
সংস্কৃত
D
ইংরেজি
উত্তরের বিবরণ
সমাস হল দুটি বা তার অধিক শব্দকে একত্র করে একটি নতুন শব্দ গঠনের প্রক্রিয়া। এই রীতি প্রাচীন সংস্কৃত ভাষা থেকে এসেছে এবং বাংলা ভাষাতেও তা অনুসরণ করা হয়।

0
Updated: 4 weeks ago
'আলোছায়া' পদটি কোন সমাসের অন্তর্গত?
Created: 2 weeks ago
A
দ্বন্দ্ব সমাস
B
অব্যয়ীভাব সমাস
C
তৎপুরুষ সমাস
D
কর্মধারয় সমাস
দ্বন্দ্ব শব্দের সাধারণ অর্থ হলো সংঘাত বা বিবাদ। কিন্তু সমাসশাস্ত্রে দ্বন্দ্বের অর্থ “মিলন, জোড়া বা যুগল” বোঝায়। অর্থাৎ যে সমাসে সংযুক্ত প্রত্যেক পদের গুরুত্ব সমান থাকে, তাকে দ্বন্দ্ব সমাস বলা হয়।
উদাহরণ:
-
জায়া + পতি = দম্পতি
-
ক্ষুধা + পিপাসা = ক্ষুৎপিপাসা
-
আলো + ছায়া = আলোছায়া
লক্ষ্য করুন, এই সমাসে পূর্বপদ ও পরপদের সম্পর্ক বোঝাতে সাধারণত ‘ও’, ‘এবং’, ‘আর’-এর মতো সংযোজক ব্যবহার করা হয়।
দ্বন্দ্ব সমাসের প্রধান প্রকার:
-
মিলনার্থক দ্বন্দ্ব
-
বিরোধার্থক দ্বন্দ্ব
-
বিপরীতার্থক দ্বন্দ্ব
-
অঙ্গবাচক দ্বন্দ্ব
-
বহুপদবিশিষ্ট দ্বন্দ্ব
-
সংখ্যাবাচক দ্বন্দ্ব
-
সমার্থক দ্বন্দ্ব
-
একশেষ দ্বন্দ্ব
-
অলুক দ্বন্দ্ব
-
নিপাতনে সিদ্ধ দ্বন্দ্ব
উৎস: ভাষা-শিক্ষা, ড. হায়াৎ মামুদ

0
Updated: 2 weeks ago
'জজ সাহেব' কোন সমাসের উদাহরণ?
Created: 1 week ago
A
দ্বিগু
B
কর্মধারয়
C
দ্বন্দ্ব
D
বহুব্রীহি
কর্মধারয় সমাস
কর্মধারয় সমাস হলো সেই ধরনের সমাস যেখানে একটি বিশেষ্য বা বিশেষ্য ভাবাপন্ন পদ অন্য একটি বিশেষ্য বা বিশেষণ ভাবাপন্ন পদের সাথে যুক্ত হয়। এ সমাসে সমাসিত পদগুলোর মধ্যে দ্বিতীয় পদের অর্থ প্রধানরূপে প্রকাশ পায়। সহজ কথায়, প্রথম পদটি মূলত দ্বিতীয় পদকে বিশেষণ বা বর্ণনামূলকভাবে বর্ণনা করে।
উদাহরণ:
-
মাস্টার সাহেব → “যিনি মাস্টার তিনিই সাহেব”
-
নীলপদ্ম → “নীল যে পদ্ম”
-
শান্তশিষ্ট → “যে শান্ত, সেই শিষ্ট”
-
কাঁচাপাকা → “যা কাঁচা, তাই পাকা”
-
জজ সাহেব → “যিনি জজ, তিনিই সাহেব”
উৎস: বাংলা ভাষার ব্যাকরণ, নবম-দশম শ্রেণি (২০১৯ সংস্করণ), প্রমিত বাংলা ব্যাকরণ ও নির্মাণি – ড. হায়াৎ মামুদ ও ড. মোহাম্মদ আমীন।

0
Updated: 1 week ago
'লাঠালাঠি' শব্দটির সমাস -
Created: 2 months ago
A
দ্বন্দ্ব
B
বহুব্রীহি
C
কর্মধারায়
D
তৎপুরুষ
বহুব্রীহি সমাস হলো এমন একটি সমাস, যেখানে সমাসবদ্ধ পদ দুটির অর্থ সরাসরি বোঝানো হয় না; বরং এই সমাস অন্য কিছুর বা অন্য ব্যক্তির নির্দেশ করে। অর্থাৎ, সমাসের মিশ্র অর্থ নয়, বরং এতে ইঙ্গিত থাকে এক বহিরাগত বিষয়ের প্রতি।
🔸 সংজ্ঞা:
যে সমাসে পূর্বপদ ও পরপদের সম্মিলিত অর্থ অন্য কিছুর ইঙ্গিত দেয়, তাকে বহুব্রীহি সমাস বলে।
📘 উদাহরণ:
-
চতুরানন = চারটি মুখ যাঁর — বোঝানো হয়েছে ব্রহ্মাকে।
-
ত্রিনয়ন = তিনটি চোখ যাঁর — বোঝানো হয়েছে শিবকে।
এখানে ‘চতুরানন’ বা ‘ত্রিনয়ন’ বললে মুখ বা চোখ বোঝায় না, বরং বোঝানো হয় এমন এক ব্যক্তিকে যার সেই বৈশিষ্ট্য আছে।
🔁 ব্যতিহার বহুব্রীহি সমাস কী?
ব্যতিহার বহুব্রীহি সমাস হলো এক বিশেষ ধরণের বহুব্রীহি, যেখানে সমাসটি গঠিত হয় দুটি একরকম বিশেষ্য শব্দ দিয়ে, যা মিলে একজাতীয় কাজ বা পারস্পরিক আচরণ প্রকাশ করে।
🔸 সংজ্ঞা:
যে বহুব্রীহি সমাসে দুটি একরূপ বিশেষ্য শব্দ একত্র হয়ে একে অপরের প্রতি সংঘটিত কাজ বোঝায়, তাকে ব্যতিহার বহুব্রীহি সমাস বলে।
📘 উদাহরণ:
সমাস | বিশ্লেষণ | অর্থ |
---|---|---|
লাঠালাঠি | লাঠি + লাঠি | লাঠি দিয়ে একে অপরকে মারা (যুদ্ধ) |
কানাকানি | কান + কান | কানে কানে ফিসফিস করে কথা বলা |
কোলাকুলি | কোল + কোল | একে অপরকে জড়িয়ে ধরা (আলিঙ্গন) |
এই ধরণের শব্দে একই বস্তু বা অঙ্গের পুনরাবৃত্তি থাকে এবং তা পারস্পরিক কোনো কার্যক্রম নির্দেশ করে।
উৎস:
ভাষা-শিক্ষা – ড. হায়াৎ মামুদ

0
Updated: 2 months ago