মোবাইল কমিউনিকেশনে 4G -এর ক্ষেত্রে 3G এর তুলনায় অতিরিক্ত বৈশিষ্ট্য কি?
A
ভয়েস টেলিফোনি
B
মোবাইল টিভি
C
ব্রডব্যান্ড
D
ইন্টারনেট সেবা
উত্তরের বিবরণ
মোবাইল কমিউনিকেশনে ৪জি প্রযুক্তি ৩জি-এর তুলনায় দ্রুত ও উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থা প্রদান করে। এর মূল বৈশিষ্ট্য হলো এটি শুধুমাত্র কণ্ঠ ও বার্তা সেবাই নয়, উচ্চ গতির ইন্টারনেট সুবিধা এবং ডেটা ট্রান্সফারের জন্য বিশেষভাবে ডিজাইন করা হয়েছে।
• ৪জি নেটওয়ার্কে ব্রডব্যান্ড সুবিধা পাওয়া যায়, যার মাধ্যমে ব্যবহারকারী দ্রুত ভিডিও স্ট্রিমিং, অনলাইন গেমিং ও বড় ফাইল ডাউনলোড করতে পারে।
• ৩জি মূলত সীমিত গতির ডেটা এবং কণ্ঠ যোগাযোগের উপর নির্ভরশীল, যেখানে ৪জি উচ্চ ব্যান্ডউইথ এবং লো লেটেন্সি প্রদান করে।
• এটি IP ভিত্তিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে, ফলে ভয়েস, ভিডিও এবং ডেটা একই নেটওয়ার্কে সহজে প্রেরণ সম্ভব।
তাহলে ৩জি থেকে ৪জির প্রধান অতিরিক্ত বৈশিষ্ট্য হলো ব্রডব্যান্ড সক্ষমতা, যা ব্যবহারকারীর অভিজ্ঞতাকে অনেক উন্নত করে।
0
Updated: 14 hours ago
চতুর্থ প্রজন্মের মোবাইল নেটওয়ার্কে প্রধানত কোন ধরনের নেটওয়ার্ক ব্যবহৃত হয়?
Created: 1 month ago
A
সার্কিট সুইচিং
B
MPLS নেটওয়ার্ক
C
IP ভিত্তিক নেটওয়ার্ক
D
ব্লুটুথ ভিত্তিক নেটওয়ার্ক
চতুর্থ প্রজন্মের মোবাইল নেটওয়ার্কে প্রধানত IP ভিত্তিক নেটওয়ার্ক ব্যবহৃত হয়।
চতুর্থ প্রজন্ম (4G):
-
প্রধান বৈশিষ্ট্য: সার্কিট সুইচিং বা প্যাকেট সুইচিংয়ের পরিবর্তে IP ভিত্তিক নেটওয়ার্ক ব্যবহার।
-
গতি: হাই মোবিলিটির জন্য প্রতি সেকেন্ডে ১০০ Mbps, লো মোবিলিটির জন্য প্রতি সেকেন্ডে ১ Gbps।
-
ব্যান্ডউইথ: সাধারণত ৫–২০ MHz, কিছু ক্ষেত্রে ৪০ MHz পর্যন্ত।
-
সুবিধা: সর্বোচ্চ গতিতে তথ্য আদান-প্রদান সম্ভব, হাই ডেফিনিশন টেলিভিশন এবং ভিডিও কনফারেন্সিং সমর্থন।
মোবাইল ফোনের ইতিহাস:
-
১৯৪০ সালে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় মার্কিন সামরিক বাহিনী প্রথম মোবাইল ফোন ব্যবহার শুরু করে।
-
যুক্তরাষ্ট্রে Motorola DynaTAC (Total Access Communication System) প্রথম হ্যান্ড মোবাইল সেট চালু করে।
-
১৯৭৯ সালে জাপানের NTTC প্রথম বাণিজ্যিকভাবে অটোমেটেড সেলুলার নেটওয়ার্ক চালু করে, যা 1G-এর সূচনা।
মোবাইল ফোনের প্রজন্মসমূহ:
১. প্রথম প্রজন্ম (1G): 1979–1990
২. দ্বিতীয় প্রজন্ম (2G): 1991–2000
৩. তৃতীয় প্রজন্ম (3G): 2001–2008
৪. চতুর্থ প্রজন্ম (4G): 2009–2020
৫. পঞ্চম প্রজন্ম (5G): 2020–বর্তমান
0
Updated: 1 month ago
মোবাইল নেটওয়ার্কে সাধারণত কোন ধরনের টপোলজি ব্যবহার করা হয়?
Created: 1 month ago
A
ট্রি টপোলজি
B
বাস টপোলজি
C
রিং টপোলজি
D
সেলুলার টপোলজি
মোবাইল নেটওয়ার্কে সেলুলার টপোলজি:
১. সংজ্ঞা
-
সেলুলার টপোলজি হলো একটি যোগাযোগ ব্যবস্থা, যেখানে একটি বৃহৎ ভৌগোলিক এলাকা ছোট ছোট অংশে ভাগ করা হয়।
-
প্রতিটি অংশকে "সেল" বা কোষ বলা হয়।
-
প্রতিটি সেলে একটি বেস স্টেশন থাকে যা সেই এলাকার মোবাইল ডিভাইসগুলোর সঙ্গে সংযোগ স্থাপন করে।
২. মূল বৈশিষ্ট্য
-
ভৌগোলিক বিভাজন: এলাকা ছোট ছোট সেলে বিভক্ত।
-
বেস স্টেশন সংযোগ: প্রতিটি সেল তার মোবাইল বা পোর্টেবল ডিভাইসের সাথে যোগাযোগ করে।
-
ফ্রিকোয়েন্সি পুনর্ব্যবহার: একাধিক সেলে একই ফ্রিকোয়েন্সি ব্যবহার করা যায়, যা নেটওয়ার্কের ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।
-
হ্যান্ডঅফ: কল চলাকালীন একটি সেল থেকে অন্য সেলে গেলে কল স্বয়ংক্রিয়ভাবে নতুন সেলের বেস স্টেশনে স্থানান্তরিত হয়।
-
ডিমান্ড অনুযায়ী বিভাজন: চাহিদা বাড়লে সেলগুলোকে ছোট করে ভাগ করা হয়।
৩. সুবিধা
-
বৃহৎ মেট্রোপলিটন এলাকায় অসংখ্য গ্রাহককে পরিষেবা দিতে সক্ষম।
-
অন্যান্য ওয়্যারলেস টেলিফোন সিস্টেমের তুলনায় দক্ষ এবং স্থিতিশীল কল সংযোগ নিশ্চিত করে।
0
Updated: 1 month ago