‘মনস্তাপ’- এর সন্ধিবিচ্ছেদ –
A
মন + তাপ
B
মনস + তাপ
C
মনো + তাপ
D
মনঃ + তাপ
উত্তরের বিবরণ
মনস্তাপ = মনঃ+তাপ। বিসর্গ সন্ধি: পূর্বপদের শেষ ধ্বনি বিসর্গ হলে এবং পরপদের প্রথম ধ্বনি ব্যঞ্জন কিংবা স্বর হলে এ দুয়ের মধ্যে যে সন্ধি হয় তাকে বিসর্গ সন্ধি বলে। সংস্কৃত ভাষার নিয়মে সংস্কৃত শব্দের শেষে ‘স্’ বা ‘র্’ থাকলে ‘স’ বা ‘র’ লোপ পেয়ে বিসর্গ হয়। যেমন: র্-জাত বিসর্গ: নির্ >নিঃ; দুর্ >দুঃ; অন্তর্ >অন্তঃ ইত্যাদি। স্-জাত বিসর্গ: সরস্ >সরঃ; মনস্ >মনঃ; পুরস্>পুরঃ ইত্যাদি।

0
Updated: 2 months ago
‘ভাস্বর’ – এর সন্ধি বিচ্ছেদ কী?
Created: 1 month ago
A
ভাস্ + সর
B
ভাস + কর
C
ভাস্ + বর
D
ভা + স্বর
শব্দ: ভাস্বর
অর্থ: আলোকোজ্জ্বল, উজ্জ্বল, দীপ্তিমান।
সন্ধি বিচ্ছেদ ধাপে ধাপে:
-
"ভাস্বর" এসেছে ভাস্ + বর থেকে।
-
এখানে ভাস্ (√ভাস্ = জ্বলতে, আলো দিতে) ধাতুর সঙ্গে বর প্রত্যয় যুক্ত হয়েছে।
-
‘ভাস্’ + ‘বর’ = ভাস্বর (ধ্বনিগত কারণে "স্" + "ব" → "স্ব")
গ) ভাস্ + বর ✅

0
Updated: 1 month ago
'দ্বৈপায়ন' শব্দের শুদ্ধ সন্ধিবিচ্ছেদ কোনটি?
Created: 2 months ago
A
দ্বীপ + আয়ন
B
দ্বীপ + অয়ন
C
দ্বিপ + অনট
D
দ্বীপ + অনট
‘দ্বৈপায়ন’ শব্দটি সন্ধি নয়, এটি তদ্ধিত প্রত্যয় যুক্ত একটি শব্দ।
এটি সংস্কৃত ভাষার ‘আয়ন’ তদ্ধিত প্রত্যয় দ্বারা গঠিত।
এই 'আয়ন' প্রত্যয় সাধারণত বংশধর বোঝাতে ব্যবহার হয়। যেমন:
-
বাৎস্য + আয়ন = বাৎস্যায়ন
-
বদর + আয়ন = বাদরায়ণ
-
দ্বীপ + আয়ন = দ্বৈপায়ন
অর্থাৎ ‘দ্বৈপায়ন’ মানে ‘দ্বীপের বংশধর’।
যদিও এটি নিয়ে কিছু প্রশ্নে ভুলভাবে ‘সন্ধি’ হিসেবে উল্লেখ করা হয়, তবে ৩৫তম বিসিএস প্রিলিমিনারি পরীক্ষায় এই প্রশ্নটি এলে বহু পরীক্ষায় এটি অনুসরণ করা হয়।
তাই প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় এমন প্রশ্ন এলে সঠিক উত্তর হবে:
দ্বীপ + আয়ন = দ্বৈপায়ন
উৎস: ড. হায়াৎ মামুদের “ভাষা-শিক্ষা” গ্রন্থ।

0
Updated: 2 months ago
'সন্ধি' ব্যাকরণের কোন অংশের আলোচ্য বিষয়?
Created: 3 months ago
A
রূপতত্ত্ব
B
ধ্বনিতত্ত্ব
C
পদক্রম
D
বাক্য প্রকরণ
সন্ধি হলো শব্দ গঠনের একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রক্রিয়া, যা মূলত ধ্বনির বিন্যাসের মাধ্যমে শব্দ তৈরি করে। ফলে এটি ধ্বনিতত্ত্ব শাখার অন্তর্গত বিষয়।
বাংলা ব্যাকরণকে প্রধানত চারটি মৌলিক শাখায় বিভক্ত করা যায়:
১. ধ্বনিতত্ত্ব
এই শাখায় ভাষার মৌলিক একক ধ্বনি নিয়ে আলোচনা করা হয়। যেহেতু লিখিত ভাষায় ধ্বনিকে বর্ণ দ্বারা প্রকাশ করা হয়, তাই বর্ণমালা-সংক্রান্ত বিষয়গুলোও এর অন্তর্ভুক্ত।
ধ্বনিতত্ত্বের অন্তর্ভুক্ত বিষয়সমূহ:
-
বাগ্যন্ত্র ও তার উচ্চারণ প্রক্রিয়া
-
ধ্বনির প্রকারভেদ ও বিন্যাস
-
স্বরধ্বনি ও ব্যঞ্জনধ্বনির বৈশিষ্ট্য
-
ধ্বনিদল
-
সন্ধি ও এর প্রকারভেদ
২. রূপতত্ত্ব
এই অংশে ভাষার শব্দ ও শব্দের গঠনরীতি নিয়ে বিশ্লেষণ করা হয়। বিশেষ্য, বিশেষণ, সর্বনাম, ক্রিয়া, ক্রিয়া বিশেষণ প্রভৃতি পদ এই আলোচনার অন্তর্ভুক্ত।
রূপতত্ত্বের মূল আলোচ্য বিষয়:
-
শব্দ গঠনের ধারা
-
উপসর্গ, প্রত্যয়, মূল শব্দ
-
পদ ও তার শ্রেণিবিন্যাস
৩. বাক্যতত্ত্ব
বাক্য কিভাবে গঠিত হয় এবং তার উপাদানগুলোর বিন্যাস কেমন হবে, তা এই অংশে আলোচিত হয়। বাক্যের কাঠামো বিশ্লেষণের মাধ্যমে ভাষার গঠনশৈলী বোঝা যায়।
বাক্যতত্ত্বে আলোচ্য বিষয়:
-
বাক্যের শ্রেণিবিন্যাস
-
বাক্যের বাচ্য ও রূপান্তর
-
কারক নির্ণয়
-
বাক্যের যোগ্যতা ও উপাদান লোপ
-
যতিচিহ্ন ও তার ব্যবহার
৪. অর্থতত্ত্ব (বা বাগার্থ)
এই শাখায় শব্দ, পদ এবং বাক্যের অর্থ নিয়ে আলোচনা করা হয়। ভাষার অর্থবহ দিক বিশ্লেষণ করে অর্থতত্ত্ব।
অর্থতত্ত্বের আলোচ্য বিষয়:
-
বিপরীত শব্দ
-
প্রতিশব্দ
-
শব্দজোড়
-
বাগধারা ও প্রবাদপ্রবচন
উপসংহার:
সন্ধি যে কেবল ধ্বনি নিয়ে কাজ করে তাই নয়, এটি শব্দ গঠনের প্রক্রিয়ার সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে জড়িত। তাই এটি ধ্বনিতত্ত্ব শাখার আলোচ্য বিষয় হিসেবে বিবেচিত।
উৎস: বাংলা ভাষার ব্যাকরণ ও নির্মিতি, নবম-দশম শ্রেণি (২০২২ সংস্করণ)

0
Updated: 3 months ago